রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সংকট মোকাবিলায় স্থানীয় জনসাধারণের ক্ষমতায়ন জরুরি

এ বছর ৬০ শতাংশ বৃষ্টি কম হয়েছে। আমি মনে করি কথাটি অসম্পূর্ণ। কোথায় কম হয়েছে? গড় হিসেবে যদি বলি, নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে যে বৃষ্টি হওয়ার কথা, তার তুলনায় দশগুণ বেশি বৃস্টি হয়েছে। জুলাই আগস্ট মাসে যে বৃষ্টি হওয়ার কথা তার তুলনায় অর্ধেক হয়েছে। তার মানে এটির প্রথম কথা আপেক্ষিক। মানুষ ও পরিবেশের জন্য আপেক্ষিক। এখন শরৎকাল শুরু হয়েছে।

এই সময়েও কিন্তু বৃষ্টি হয়। দক্ষিণ বাংলাদেশে বৃষ্টি হয় জুনের ১৫ তারিখ। ঢাকায় বৃষ্টি হয় জুলাইয়ের ৪/৫তারিখের দিকে। দিনাজপুরে বৃষ্টি হতো জুলাই মাসে। জুলাই আগস্ট বৃষ্টি হতো কিন্তু সেপ্টেম্বরে বৃষ্টি হতো না। ঢাকাতে সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ভালো বৃষ্টি হতো। বাংলাদেশের একেক জায়গায় বৃষ্টিপাতের বৈশিষ্ট্য একেক রকম। যেমন সুনামগঞ্জের উত্তরে মেঘালয়ে এপ্রিল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। এখন বৃষ্টি এবং বৃষ্টির সঙ্গে রিলেট করে বন্যা তার সঙ্গে বাংলাদেশের জন্য জরুরি যেটি সেটি হচ্ছে ফসলের সময়কাল।

বাংলাদেশে বিদেশিরা বোঝে না আমাদের কথা। কারণ, আমাদের কমপক্ষে তিনটি ফসলের সময়কাল আছে। ধানের জন্য আমরা বলি, আউশ, আমন ও বোরো। চৈত্র মাসের শেষ থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত। নভেম্বর মাস থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত শুকনা মৌসুম। বৃষ্টি হওয়ার কথা নয়। বোরো ধান লাগানোর সময় সেজন্য সেচ দিতে হবে। সেচ আসবে কোথা থেকে? সেচ আসবে ভূগর্ভস্থ পানি থেকে। বর্তমানে আমরা গ্রাউন্ড ওয়াটারের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল। যে কারণে বর্তমান সরকার বলছে ভূগর্ভস্থ পানি কমিয়ে সারফেস ওয়াটার ব্যবহার করতে হবে। দ্বিতীয় সময়কাল হচ্ছে আউশের সময়। এটি এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে মে পর্যন্ত। যেটি জুলাই আগস্ট পর্যন্ত ধান কাটা হবে। এটির পরিমাণ খুব কম এবং নিচু জায়গাতে এটি হয় এবং এই জায়গাগুলোতে পাট হয়। এখন বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ মাসে বৃষ্টি হলে পাট এবং আউশ করা সম্ভব।

আমাদের প্রধান ফসল হচ্ছে আমন। ইদানিং প্রধান ফসল হচ্ছে বোরো। আমন ধান লাগানো হয় জুলাইয়ের ১৫ তারিখ থেকে কোনো কোনো জায়গায়। বেশির ভাগ জায়গায় আগস্টের ১ তারিখ থেকে আগস্টের ৩১ তারিখ পর্যন্ত এ আমনের আবাদ চলে। এটি সেপ্টেম্বরের ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে লাগালেও হবে। যত দেরি করে লাগাবে ফলন তত কমতে থাকে। এই ফসলটি হচ্ছে বৃষ্টি নির্ভর ফসল। আমরা যদি জুলাই মাসের ১৫ তারিখে লাগাতে পারতাম। রোপা ধান জুলাই আগস্টের বৃষ্টি এবং সেপ্টেম্বরে যতটুকু বৃষ্টি হয় তার উপর নির্ভর করে। আমার মতে এই যে ঋতু নির্ভর ফসল, পুরোনো বাংলায়, এখন থেকে পঞ্চাশ বছর আগে, প্রত্যেকটি ফসলের সঙ্গে, ঋতুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। আম পাকবে কখন, তাল পাকবে কখন, প্রত্যেকটি ধানের ভ্যারাইটি সময়ের সঙ্গে, বৃষ্টির সঙ্গে নির্ভরশীল ছিল। আমাদের বৃষ্টি মোটামোটি জুনের মাঝামাঝি থেকে জুলাই আগস্ট সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত প্রচুর বৃষ্টি হতো।

এই সময়ের ফসল ছিল আমন ধান।কৃষক আমন ধান পেত, তার জন্য সেচ অল্প দিলেও দিতে হতো, কিন্তু আল্লাহ বিনা পয়সায় পানি দেন বৃষ্টির মাধ্যমে। আমরা বোরো ধানের প্রচলন করেছি। যেটি ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারিতে লাগানো হয় এবং এপ্রিল-মে মাসে কাটি এবং এই সময়ে প্রাকৃতিকভাবে বৃষ্টি হওয়ার কথা নয়। যে কারণে এর জন্য পুরো সেচ দিতে হয়।

এ বছর ধানের জন্য ভয় নেই। কারণ, এ বছর ধানের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। বন্যা হয়েছে মে মাসের শেষে, জুলাই মাসে। তখন বোরো ধান কেটে নিয়ে চলে আসছি। আমন ধান লাগানো হয়নি। এখন লাগানো হচ্ছে।

এ বছর ২০২২সালে বর্ষাকালে বৃষ্টি স্বাভাবিক থেকে অনেক কম হওয়ার কারণে রোপা ধান ঠিকমত তৈরি করতে পারেনি। গত ১৫ দিন ধরে দেখছি স্থানীয় পর্যায়ে বৃষ্টি হচ্ছে।

আমাদের বর্ষাকালে বৃষ্টি যখন নামে তখন সারাদেশ জুড়ে নামে। শরৎকালে বৃষ্টি যখন নামে তখন উত্তরায় বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু আজিমপুরে বৃষ্টি নেই। আজিমপুরে বৃষ্টি হচ্ছে তো সাভারে বৃষ্টি নেই। টুকরো টুকরো জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। আবার যেখানে সেচের ব্যবস্থা আছে, কৃষক বাধ্য হয়ে বর্ষাকালে সেচের ব্যবস্থা করছে। আমাদের ভয় হচ্ছে এই সেচটি হচ্ছে ভূগর্ভস্ত পানি থেকে। তাহলে এখনই যদি ভূগর্ভস্থ পানি দিয়ে সেচ করি, তাহলে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে যখন বোরো ধানের জন্য সেচ করতে যাব, তখন কিন্তু ভূগর্ভস্থ পানির সমস্যা হতে পারে।

আরেকটি বিষয় হচ্ছে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে যতটুকু পানি আসত গঙ্গা, মধুমতি ও কুমার দিয়ে তার পরিমাণ খুব কমে গেছে। দক্ষিণ পশ্চিম বাংলায় সাতক্ষীরা বরগুনা বাগেরহাট দিয়ে প্রচণ্ড লবনাক্ততা বেড়েছে।

আকাশের দিকে তাকালে দেখবেন একদম নীল আকাশ। কিন্তু এই সময়ে কিছু কালো মেঘ থাকবার কথা। কাজেই নীল আকাশ নিয়ে রবীন্দ্রনাথের ভাষায় কাব্য করা যেতে পারে। কিন্তু খাদ্যের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে সজাগ। যে কারণে চালের উপরে ট্যাক্স কমিয়ে খাদ্য আমদানি করছে। দেশে প্রচুর চাল আমদানি হচ্ছে। সরকার ধারণা করছে বাংলাদেশে চালের মজুত এ পর্যন্ত যত ছিল তার চেয়ে বেশিই আছে। অর্থাৎ আমাদের খাদ্য ঘাটতির ভয় নেই বলেই সরকার আশ্বস্ত করছে।

আমাদের সারাদেশ জুড়েই সবজি হয়। কৃষকরা সবজি লাগানো শুরু করেছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি শিম ইত্যাদি লাগানো শুরু হয়ে গিয়েছে এবং আগাম ফসল বাজারে আসা শুরু হয়েছে। সরকারকে শুধু এটুকুই বলতে চাই যে, তারা যেন মাঠ পর্যবেক্ষণ করেন। সে অনুযায়ী সেচের ব্যবস্থা, জলাবদ্ধতার ব্যবস্থা, বন্যার ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী হাতে ধরতে হবে, স্থানীয় জনসাধারণকে ক্ষমতায়ন করে এ কাজ করতে হবে। এ ছাড়া কোনো উপায় নেই।

লেখক: শিক্ষাবিদ,পরিবেশবিদ ও পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ

 

Header Ad
Header Ad

নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা

হুমায়ুনের মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক। ছবি: সংগৃহীত

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নরসিংদীর মেহেরপাড়ায় এক ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১২টার দিকে নরসিংদীর পাঁচদোনা মেহেরপাড়া বাড়ি আগিণার খেলার মাঠ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

নিহত হুমায়ুন কবির (২৬) মেহেরপাড়া ইউনিয়নের নাগরারহাট এলাকার একরামুল হকের ছেলে। তিনি মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য।

নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একই এলাকার বাদল মিয়া, শাহআলম ও আতাউর মেম্বারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল হুমায়ুন কবিরের। দ্বন্দ্বের জেরে ইতোমধ্যে দুই পক্ষ একাধিক মামলা করেছে। গতকাল শনিবার দিনগত রাতে নিহত হুমায়ুন বাড়ির পাশের আঙ্গিনায় ব্যাডমিন্টন খেলছিল। রাত ১২টার দিকে দুটি মোটরসাইকেল যোগে শাহ আলম ও টিপুসহ চারজন হুমায়ুনের বাড়ির সামনে আসে। ওই সময় তারা হুমায়ুনকে ব্যাডমিন্টন খেলা থেকে ডেকে পাঁচদোনা বাজার মাছের আড়ৎ মসজিদের দিকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে সন্ত্রাসীরা তার বুকে, পিঠে ও ঘারে পরপর তিনটি গুলি করে। এ সময় সে মাটিতে লুটিয়ে পরে। গুলির শব্দ শুনে খেলার মাঠ থেকে লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে তারা মটোরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় হুমায়ুনকে হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, হুমায়ুন হত্যার বিচার দাবিতে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এলাকাবাসী।

নিহত হুমায়ুনের বন্ধু ও মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সুজন ভূইয়া বলেন, ‘স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা ছিল নিহত হুমায়ুনের। তার নেতৃত্বেই পাঁচদোনা মেহেরপাড়া ও মাধবদী আন্দোলন হয়েছিল। এসব ঘটনা নিয়ে সে এলাকার অনেকের রোষানলে পড়ে। এসবের জেরে তার বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। প্রাণ বাঁচাতে সে পালিয়ে থাকে। ৫ তারিখের পর এলাকায় আসে। এর মধ্যেই গতকাল তাকে বাড়ির আঙ্গিনা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হলো।’

নিহতের বড় ভাই আল মামুন বলেন, ‘আমাদের ১৭ শতাংশ একটি জমি দখল করে নেয় বাদল মিয়ারা। পরে মামলার রায় পাওয়ার পর আমরা জমিটি দখলে নিই। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তীব্র হয়। এরই জের ধরে তারা আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে। এ ছাড়া স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। এসব নিয়ে অনেকে তাকে দমানোর চেষ্টা করছিল।’

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাডমিন্টন খেলা শেষে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনসহ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।’

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার প্রধান আসামি পলাতক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির মাধ্যমে হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের ফেরত আনতে চায় সরকার।

এর আগে, গত ১০ নভেম্বর আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল গণমাধ্যমকে বলেন, শেখ হাসিনাসহ জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় অভিযুক্ত পলাতক সব আসামিকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার।

পরে ১২ নভেম্বর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা গণহত্যা, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত এবং মামলার আসামি। তবে তিনি পালিয়ে গেছেন এবং বর্তমানে দেশের সীমানার বাইরে অবস্থান করছেন। এরকম একজন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে বা তার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে ইন্টারপোলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

১২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন সংস্থা থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মামলায় পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা,ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অন্যান্য যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় তারা হলেন, শেখ হাসিনা বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, দীপু মনি, আ ক ম মোজাম্মেল হক, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ সেলিম, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলে শামস পরশ, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ মামুন, ডিবি হারুন, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, সাবেকডিএমপি হাবিবুর রহমান, সাবেক র‌্যাব ডিজি হারুন অর রশিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা তারেক আনাম সিদ্দিকী,বিচারপতি মানিক, ড. জাফর ইকবাল, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামসহ ৪৬ জন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অপর দুই জন হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে পৃথক মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

Header Ad
Header Ad

ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

ছবি: সংগৃহীত

দারুণ সব জয়ে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ফাইনালে উঠেছিলও বাংলাদেশ। একমাত্র হারটি ছিলো ভারতের কাছে। সেই ভারতকে ফাইনালে পেয়ে প্রতিশোধ নিতে পারেনি সুমাইয়া আক্তারের দল। কুয়ালালামপুরে ভারত আজ ৪১ রানের জয়ে বাংলাদেশের স্বপ্ন ভেঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

বেউয়েমাস ওভালের ফাইনালে বাংলাদেশের বোলাররা ভারতকে আটকে রেখেছিলেন নাগালের মধ্যে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১১৭ রানের পূঁজি পায় ভারত।

সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন গঙ্গাদি তৃষা। বল হাতে ফারজানা ইয়াসমিন ৩১ রানে চার উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন। ১১৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রানের খাতা খুলতে পারেননি মোসাম্মত ইভা। দলীয় ৮ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙ্গার পর সুমাইয়া আক্তারকে নিয়ে ১৬ ও জুয়াইরা ফেরদৌসের সঙ্গে ২০ রানের জুটি গড়েন ফাহমিদা ছোয়া। এই ওপেনার ২৪ বলে ১৮ করে আউট হতেই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ১৮ ওভার তিন বল পর্যন্ত টিকে থেকে ৭৬ রানে অলআউট হয় তারা।

৪১ রানের জয়োৎসবে মাতে ভারতীয় মেয়েরা। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন জুয়াইরা। এই দুজন ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পারেননি। ভারতের বোলিংয়ে আয়ুশি শুক্লা ১৭ রানে তিন উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট পান পারুনিকা সিসোদিয়া ও সোনাম যাদব।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি
ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
এক দশক পর ফিরলো ‘আমার দেশ’ পত্রিকা
৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার: হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু দুদকের
ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন বিমান হামলা
লোকসানের মিথ্যা গল্প শোনাচ্ছে ব্রিডার ফার্মগুলো
একজন ঢাকা অন্যজন কলকাতায় সংসার ভাঙছে মিথিলার
আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ
যে কোন সময় বাংলাদেশের পাশে নতুন দেশ
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না: ড. ইউনূস
  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল
ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে উঠবে বাংলাদেশ
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক
শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০