শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

অর্থনৈতিক অবকাঠামোগত সমস্যা দূর করা জরুরি

অর্থনীতির বর্তমান কঠিন সময় নিয়ে অনেকের অনেক কথা আছে। আমি বিষয়টিকে দুই ভাগে ভাগ করে দেখতে চাই। প্রথমত, বর্তমান মূল্যস্ফীতি, ইউক্রেন যুদ্ধ, খাদ্য ও জ্বালানি সংকট, রিজার্ভের উপর চাপ বা টাকার মান কমে যাওয়ার মতো দিকগুলো সামাল দেওয়ার বিষয়টি আমাদের সরকারের ব্যবস্থাপনা ও নীতির ওপর নির্ভর করছে। নানা কৌশল অবলম্বন করে অনেক দেশ এগুলো সামাল দিচ্ছে, দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। মুদ্রার মান বা রিজার্ভ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আমাদের সরকারও কিছু কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এটা একটা দিক। এর সঙ্গে আমি যেটাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি, তা হলো বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ ও এসডিজির লক্ষ্য অর্জনের বিষয়টি। শুধু সংকট মোকাবিলার দিকে সব নজর দিয়ে আমরা যেন অর্থনৈতিক উত্তরণের বিষয়টিকে বাধাগ্রস্ত না করি।

আমি মনে করি, বর্তমান সংকট মোকাবিলা ও অর্থনৈতিক উত্তরণ মানে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর ও এসডিজির লক্ষ্য অর্জন-এই দুটি ক্ষেত্রে সমান্তরালভাবে কাজ করতে পারাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আমি গত এক দশকের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার কাঠামোগত সমস্যাকেও দায়ী করতে চাই।

আমার মতে তিনটি সংকট আমাদের রয়েছে। প্রথমত, উন্নয়নের একমাত্রিক দর্শনে আমরা বাংলাদেশকে আটকে ফেলেছি। উন্নয়ন বলতে আমরা বৃহৎ অবকাঠামোকে ধরে নিয়েছি। কিন্তু উন্নয়নের অনেক সূচক রয়েছে। স্বাস্থ্য সূচকে আমরা কোথায় আছি? স্বাস্থ্যসেবা নিতে মানুষের নিজের পকেট থেকে খরচ বাড়ছে, সেবার মান খারাপ হচ্ছে। দূষণের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে, শিক্ষার মানের অবনতি হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে নজর দেওয়াকে আমরা উন্নয়ন দর্শনের বাইরে রেখেছি। এই যে পরিস্থিতি, এটা শুধু সংকট নয়, এটা আসলে স্ব-আরোপিত একটি ফাঁদ। সুষম উন্নয়নদর্শন থেকে আমরা দূরে সরে গেছি।

রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনার সংকট। দীর্ঘ সময় ধরে এটা চলে আসছে। সবকিছুতে রাজনৈতিক বিচার-বিবেচনার কারণে মেধা ও দক্ষতার মূল্যায়ন হচ্ছে না। সবকিছু হচ্ছে দলীয় বিবেচনা থেকে। মেধা ও দক্ষতার মূল্যায়ন না হওয়ায় অর্থনৈতিক ক্ষতি রয়েছে। আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বা আমলাদের বেতন-ভাতা কম ছিল। যেকোনো বিবেচনায় তাদের এখন মাত্রাতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, আমলাতন্ত্রের দক্ষতা কি বেড়েছে? এডিপি বাস্তবায়নের অবস্থা দেখলেই তা টের পাওয়া যায়। দক্ষতার ঘাটতি, লাগামহীন খরচ, যথাসময় প্রকল্প শেষ না হওয়া-এসব চলছেই। বিনিয়োগ ২২ থেকে ২৩ শতাংশে আটকে আছে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের উদ্যোগের কথা শুনেছি কত আগে। এর কোনো অগ্রগতি নেই। তৃতীয়টি হচ্ছে সামাজিক পুঁজি কাঠামোয় ধস। রাজনৈতিক কারণেই এমনটি হয়েছে। এক সময় আমাদের অন্যতম পুঁজি হিসেবে বিবেচিত ছিল সামাজিক পুঁজি। উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় এর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জনগোষ্ঠী এখন সামাজিক কোনো উদ্যোগে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে না। রাজনৈতিক বিভক্তি, সংঘাত, সহিংসতা, দৃশ্যমান ও অদৃশ্য নানা ভয়ের কারণে মানুষ সতর্ক হয়ে গেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বা পুলিশি হয়রানির ঝামেলা এড়াতে অনেকেই উদ্যোগহীন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সরকারব্যবস্থা সামাজিক পুঁজির অন্যতম বাহন হিসেবে কাজ করে।

দরিদ্র মানুষকে সহায়তার কিছু কর্মসূচি চালু আছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধু দরিদ্ররা নয়, মধ্যবিত্তরাও চাপে পড়েছে। করোনার কারণে দারিদ্র্যের পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, সেই পরিসংখ্যান নেই, কিন্তু টিসিবির ট্রাকের সামনের লাইন দেখে আমরা অনেক কিছুই বুঝতে পারি। এটা হচ্ছে দারিদ্র্যের দৃশ্যমান সূচক। দেশের গ্রামাঞ্চলে সাড়ে ৬২ লাখ গরিব পরিবারকে কম দামে চাল দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতে নগর দরিদ্রদের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। টিসিবির কার্যক্রম বাড়াতে হবে। এখানে দক্ষতার বিষয়টির দিকে নজর দিতে হবে। কারণ, সহায়তা দিতে চাইলেও কাকে দেওয়া হবে বা হবে না, তা ঠিক করা এক বড় সমস্যা। সঠিক তালিকা তৈরি করতে হবে। কাজটি দলীয়ভাবে করলে হবে না। অনেক এনজিও আছে, যাদের এসব কাজে দক্ষতা রয়েছে, তাদের কাজে লাগানো জরুরি। আরেকটি কাজ সরকার করতে পারে। বর্তমানে ৭৮ লাখ প্রাথমিক শিক্ষার্থীকে সরকার বৃত্তি দেয়। এই টাকা পরিবারের কাছে চলে যায় ব্যাংকিং-ব্যবস্থার মাধ্যমে। এর মানে প্রায় ৭৮ লাখ পরিবারের কাছে পৌঁছানোর মতো একটি ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে। সেই বৃত্তির টাকা বাড়ানো হলে পরিবারগুলো উপকৃত হবে। অথবা সাময়িক পদক্ষেপ হিসেবে সেই পরিবারগুলোয় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সহায়তার অর্থ পাঠানো যায়।

করোনার কারণে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কতটা বেড়েছে বা কত মানুষ দরিদ্র থেকে অতি দরিদ্র হয়েছে-এসব সংখ্যা ও তথ্য নিয়ে মতভেদ আছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করতে হলে বা তাদের জন্য বরাদ্দ রাখতে হলে তো যথাযথ তথ্য-উপাত্ত প্রয়োজন। তথ্যের ঘাটতি আছে-এটা সত্য। আবার যে তথ্য আছে, তার ওপর ভিত্তি করে সরকার কাজ করবে কি না, সেটাও একটি বিষয়। এখানে নিয়তটা বড় বিষয়। করোনার সময় দারিদ্র্যের পরিস্থিতি, সংখ্যা ও নতুন দারিদ্র্যের ধরন বোঝার জন্য আমরা নিজেদের মতো কাজ করেছি। আরও কেউ কেউ করেছে। সরকার তখন বলেছিল যে তারা একটি জরিপ করবে, কিন্তু দুই বছর পার হয়ে গেছে, তারা কিছু করেনি। আমাদের পরিসংখ্যান ব্যুরোর সক্ষমতা ও দক্ষতা অনেক বেড়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক কর্তৃত্বের অধীন তাদের চলতে হয়। সরকারের চাওয়ার সঙ্গে মিলিয়ে তাদের কাজ করতে হয়। কোনটা করবে বা কোনটা করবে না, সেই সিদ্ধান্ত সরকারের ওপর নির্ভর করে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে যে তথ্য সরকারের উন্নয়ন বয়ানের সঙ্গে মেলে না, তা নিয়ে সরকার অস্বস্তিতে ভোগে। আসলে তথ্য নিয়ে দ্বিধা থাকা উচিত নয়। আর তথ্যের জগৎকে দুর্নীতি থেকে মুক্তি দেওয়া জরুরি।

আর্থসামাজিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে অর্থনীতির কাঠামোগত সমস্যা দেখা দিয়েছে। অর্থনীতিতে তিন লৌহ ত্রিভুজ গেড়ে বসেছে। ক্ষমতাসীন ও প্রভাবশালীরা একমাত্রিক উন্নয়নের দর্শন আটকে দিয়েছেন। স্বার্থের দ্বন্দ্বভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা তৈরি হয়েছে। আইনিভাবে অনিয়ম তৈরি করা হয়েছে।এসব অবিচারের খাটুনির বোঝা গরিব, স্বল্প ও সীমিত আয়ের মানুষের ওপর পড়ছে।

লেখক: সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা

Header Ad
Header Ad

জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টি (জাপা) কোনো সুবিধাবাদী দল নয় বলে দাবি করেছেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের নামে অনেক ধরনের অপপ্রচার করা হচ্ছে। কিছু মানুষ আমাদেরকে নানাভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যমে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে জানাশোনা কথাকে তারা ভুলভাবে তুলে ধরছেন। তাদের কথা হলো- আমরা সুবিধাবাদী, সুবিধাভোগী।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বলতে চাই জাতীয় পার্টির সিংহভাগ মানুষ সব সময় জনগণের পাশে ছিল। জনগণের স্বার্থে তারা সংগ্রাম করেছে। আগামীতেও তারা জনগণের পাশেই থাকবে।

 

Header Ad
Header Ad

প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় নির্মাতা সৃজিত মুখার্জিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর সমস্যা নিয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। পরে চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য আইসিইউতে নিয়ে যান।

পরিচালকের ঘনিষ্ঠ সুত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল রাতে হঠাৎই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় সৃজিতের। সেই সঙ্গে বুকে হালকা ব্যথাও অনুভব করছিলেন পরিচালক। এরপর রাত সাড়ে ১২ টার দিকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে।

সেখানে রাতেই বেশ কিছু টেস্ট করানো হয়। শনিবার টেস্টের রিপোর্ট পাওয়ার কথা রয়েছে। আর তা দেখে চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেবেন কতদিন পরিচালককে হাসপাতালে থাকতে হবে।

আরও পড়ুন: অন্তরঙ্গ দৃশ্যের আগে প্রেমিক ও পরিবারের অনুমতি নিয়েছিলেন কৌশানি। তবে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, সৃজিতের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।

সদ্যই লিমকা বুক অফ রেকর্ডসের তালিকায় স্থান দখল করেছে সৃজিতের ‘অতি উত্তম’। ইনস্টাগ্রামে গর্বের কথা শেয়ার করেছেন তিনি। তাছাড়া এই নির্মাতার নতুন সিনেমা ‘কিলবিল সোসাইটি’ মুক্তি পেয়েছে গত ১১ এপ্রিল।

Header Ad
Header Ad

জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা ৯০ গণঅভ্যুত্থানের কথা বইয়ে পড়েছি, কিন্তু যে আকাঙ্ক্ষায় জনগণ রাস্তায় নেমে আসে, সে আকাঙ্ক্ষাগুলো বিভিন্ন সময় আমরা দেখেছি, ব্যর্থ হয়েছে।

সেই ব্যর্থতার ফলেই ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদের শাসন ব্যবস্থার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল। তাই আমরা চাই, এবারের জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয়।

তিনি বলেন, জনগণের মধ্যে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, তা অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এটা জাতির প্রতি আমাদের সবারই অঙ্গীকার।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।

২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান আজকের বৈঠকে বসার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, যে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট শাসককে পলায়ন করতে বাধ্য করেছিল বাংলাদেশের জনগণ। হাজারো মানুষের শাহাদাত বরণ ও আহত হওয়ার বিনিময়েই আজকের এই প্রেক্ষাপট।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় একটি নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এনসিপি। যে দলের প্রধান শক্তি ও ভিত্তির জায়গাটা হচ্ছে এই দেশের তরুণরা। সেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের যে বক্তব্য ছিল, আমরা ফ্যাসিবাদের বিলোপ ও একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

নাহিদ ইসলাম বলেন, এই গণঅভ্যুত্থান কেবল কোনো ব্যক্তির পরিবর্তন নয়, ক্ষমতা থেকে একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে বসানোর পরিকল্পনা ছিল না। বরং কীভাবে রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক ও গুণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার রক্ষা করবে, এরকম একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা ছিল।

এনসিপি সংস্কার বলতে মৌলিক সংস্কার বোঝানো হচ্ছে। নাহিদ আরও বলেন, যে সংস্কার করলে রাষ্ট্র কাঠামো গুণগত আমূল পরিবর্তন সম্ভব হবে। কারণ আমরা দেখেছি, বিগত সময়ে আমাদের সংবিধান থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দলীয়করণ ঘটেছিল। আমাদের সংবিধানে এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক কাঠামোর বীজ বপন ছিল। ফলে সেই রাষ্ট্র কাঠামোকে অক্ষুণ্ন রেখে যে ক্ষমতায় যাক, তার ভেতরেও ফ্যাসিবাদী প্রবণতা থাকবে, স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে উঠার প্রবণতা থাকবে। সেই জায়গায় রাষ্ট্রের সংস্কার, সংবিধান, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে আমরা এনসিপি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।

তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে যে সুপারিশ আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে, সেগুলোতে আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা একমত হয়েছি। যে সব জায়গায় আমরা আংশিক একমত বা দ্বিমত হয়েছি, সেখানে আমরা আমাদের সুপারিশ সংক্ষিপ্তভাবে দিয়েছি। আজকে হয়তো আমরা বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ পাবো। সেই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

এনসিপির ভাবনার কথা উল্লেখ করে দলটির আহ্বায়ক বলেন, এইবার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে আমাদের জাতির সামনে, জাতীয় ঐকমত্য প্রয়োজন, জুলাই সনদ প্রয়োজন। জাতির সামনে আমাদের সবাই সেই অঙ্গীকার রাখতে হবে যেন আরেকটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা, আরেকটি ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশে আসবে তার সব রাস্তা আমরা বন্ধ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবো। একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান ও রাষ্ট্র কাঠামো তৈরিতে আমরা সবাই যার যার জায়গা থেকে কাজ করবো।

বৈঠকে আরও উপস্থিত আছেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী, হাসনাত আব্দুল্লাহ, শামান্তা শারমীন, নাহিদা সারওয়ার নিভা, জাবেদ রাসিন এবং সারোয়ার তুষার।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার
লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ
ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবি
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত
গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক
বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি