বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অর্থনৈতিক অবকাঠামোগত সমস্যা দূর করা জরুরি

অর্থনীতির বর্তমান কঠিন সময় নিয়ে অনেকের অনেক কথা আছে। আমি বিষয়টিকে দুই ভাগে ভাগ করে দেখতে চাই। প্রথমত, বর্তমান মূল্যস্ফীতি, ইউক্রেন যুদ্ধ, খাদ্য ও জ্বালানি সংকট, রিজার্ভের উপর চাপ বা টাকার মান কমে যাওয়ার মতো দিকগুলো সামাল দেওয়ার বিষয়টি আমাদের সরকারের ব্যবস্থাপনা ও নীতির ওপর নির্ভর করছে। নানা কৌশল অবলম্বন করে অনেক দেশ এগুলো সামাল দিচ্ছে, দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। মুদ্রার মান বা রিজার্ভ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আমাদের সরকারও কিছু কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এটা একটা দিক। এর সঙ্গে আমি যেটাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি, তা হলো বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ ও এসডিজির লক্ষ্য অর্জনের বিষয়টি। শুধু সংকট মোকাবিলার দিকে সব নজর দিয়ে আমরা যেন অর্থনৈতিক উত্তরণের বিষয়টিকে বাধাগ্রস্ত না করি।

আমি মনে করি, বর্তমান সংকট মোকাবিলা ও অর্থনৈতিক উত্তরণ মানে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর ও এসডিজির লক্ষ্য অর্জন-এই দুটি ক্ষেত্রে সমান্তরালভাবে কাজ করতে পারাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আমি গত এক দশকের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার কাঠামোগত সমস্যাকেও দায়ী করতে চাই।

আমার মতে তিনটি সংকট আমাদের রয়েছে। প্রথমত, উন্নয়নের একমাত্রিক দর্শনে আমরা বাংলাদেশকে আটকে ফেলেছি। উন্নয়ন বলতে আমরা বৃহৎ অবকাঠামোকে ধরে নিয়েছি। কিন্তু উন্নয়নের অনেক সূচক রয়েছে। স্বাস্থ্য সূচকে আমরা কোথায় আছি? স্বাস্থ্যসেবা নিতে মানুষের নিজের পকেট থেকে খরচ বাড়ছে, সেবার মান খারাপ হচ্ছে। দূষণের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে, শিক্ষার মানের অবনতি হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে নজর দেওয়াকে আমরা উন্নয়ন দর্শনের বাইরে রেখেছি। এই যে পরিস্থিতি, এটা শুধু সংকট নয়, এটা আসলে স্ব-আরোপিত একটি ফাঁদ। সুষম উন্নয়নদর্শন থেকে আমরা দূরে সরে গেছি।

রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনার সংকট। দীর্ঘ সময় ধরে এটা চলে আসছে। সবকিছুতে রাজনৈতিক বিচার-বিবেচনার কারণে মেধা ও দক্ষতার মূল্যায়ন হচ্ছে না। সবকিছু হচ্ছে দলীয় বিবেচনা থেকে। মেধা ও দক্ষতার মূল্যায়ন না হওয়ায় অর্থনৈতিক ক্ষতি রয়েছে। আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বা আমলাদের বেতন-ভাতা কম ছিল। যেকোনো বিবেচনায় তাদের এখন মাত্রাতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, আমলাতন্ত্রের দক্ষতা কি বেড়েছে? এডিপি বাস্তবায়নের অবস্থা দেখলেই তা টের পাওয়া যায়। দক্ষতার ঘাটতি, লাগামহীন খরচ, যথাসময় প্রকল্প শেষ না হওয়া-এসব চলছেই। বিনিয়োগ ২২ থেকে ২৩ শতাংশে আটকে আছে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের উদ্যোগের কথা শুনেছি কত আগে। এর কোনো অগ্রগতি নেই। তৃতীয়টি হচ্ছে সামাজিক পুঁজি কাঠামোয় ধস। রাজনৈতিক কারণেই এমনটি হয়েছে। এক সময় আমাদের অন্যতম পুঁজি হিসেবে বিবেচিত ছিল সামাজিক পুঁজি। উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় এর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জনগোষ্ঠী এখন সামাজিক কোনো উদ্যোগে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে না। রাজনৈতিক বিভক্তি, সংঘাত, সহিংসতা, দৃশ্যমান ও অদৃশ্য নানা ভয়ের কারণে মানুষ সতর্ক হয়ে গেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বা পুলিশি হয়রানির ঝামেলা এড়াতে অনেকেই উদ্যোগহীন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সরকারব্যবস্থা সামাজিক পুঁজির অন্যতম বাহন হিসেবে কাজ করে।

দরিদ্র মানুষকে সহায়তার কিছু কর্মসূচি চালু আছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধু দরিদ্ররা নয়, মধ্যবিত্তরাও চাপে পড়েছে। করোনার কারণে দারিদ্র্যের পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, সেই পরিসংখ্যান নেই, কিন্তু টিসিবির ট্রাকের সামনের লাইন দেখে আমরা অনেক কিছুই বুঝতে পারি। এটা হচ্ছে দারিদ্র্যের দৃশ্যমান সূচক। দেশের গ্রামাঞ্চলে সাড়ে ৬২ লাখ গরিব পরিবারকে কম দামে চাল দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতে নগর দরিদ্রদের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। টিসিবির কার্যক্রম বাড়াতে হবে। এখানে দক্ষতার বিষয়টির দিকে নজর দিতে হবে। কারণ, সহায়তা দিতে চাইলেও কাকে দেওয়া হবে বা হবে না, তা ঠিক করা এক বড় সমস্যা। সঠিক তালিকা তৈরি করতে হবে। কাজটি দলীয়ভাবে করলে হবে না। অনেক এনজিও আছে, যাদের এসব কাজে দক্ষতা রয়েছে, তাদের কাজে লাগানো জরুরি। আরেকটি কাজ সরকার করতে পারে। বর্তমানে ৭৮ লাখ প্রাথমিক শিক্ষার্থীকে সরকার বৃত্তি দেয়। এই টাকা পরিবারের কাছে চলে যায় ব্যাংকিং-ব্যবস্থার মাধ্যমে। এর মানে প্রায় ৭৮ লাখ পরিবারের কাছে পৌঁছানোর মতো একটি ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে। সেই বৃত্তির টাকা বাড়ানো হলে পরিবারগুলো উপকৃত হবে। অথবা সাময়িক পদক্ষেপ হিসেবে সেই পরিবারগুলোয় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সহায়তার অর্থ পাঠানো যায়।

করোনার কারণে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কতটা বেড়েছে বা কত মানুষ দরিদ্র থেকে অতি দরিদ্র হয়েছে-এসব সংখ্যা ও তথ্য নিয়ে মতভেদ আছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করতে হলে বা তাদের জন্য বরাদ্দ রাখতে হলে তো যথাযথ তথ্য-উপাত্ত প্রয়োজন। তথ্যের ঘাটতি আছে-এটা সত্য। আবার যে তথ্য আছে, তার ওপর ভিত্তি করে সরকার কাজ করবে কি না, সেটাও একটি বিষয়। এখানে নিয়তটা বড় বিষয়। করোনার সময় দারিদ্র্যের পরিস্থিতি, সংখ্যা ও নতুন দারিদ্র্যের ধরন বোঝার জন্য আমরা নিজেদের মতো কাজ করেছি। আরও কেউ কেউ করেছে। সরকার তখন বলেছিল যে তারা একটি জরিপ করবে, কিন্তু দুই বছর পার হয়ে গেছে, তারা কিছু করেনি। আমাদের পরিসংখ্যান ব্যুরোর সক্ষমতা ও দক্ষতা অনেক বেড়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক কর্তৃত্বের অধীন তাদের চলতে হয়। সরকারের চাওয়ার সঙ্গে মিলিয়ে তাদের কাজ করতে হয়। কোনটা করবে বা কোনটা করবে না, সেই সিদ্ধান্ত সরকারের ওপর নির্ভর করে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে যে তথ্য সরকারের উন্নয়ন বয়ানের সঙ্গে মেলে না, তা নিয়ে সরকার অস্বস্তিতে ভোগে। আসলে তথ্য নিয়ে দ্বিধা থাকা উচিত নয়। আর তথ্যের জগৎকে দুর্নীতি থেকে মুক্তি দেওয়া জরুরি।

আর্থসামাজিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে অর্থনীতির কাঠামোগত সমস্যা দেখা দিয়েছে। অর্থনীতিতে তিন লৌহ ত্রিভুজ গেড়ে বসেছে। ক্ষমতাসীন ও প্রভাবশালীরা একমাত্রিক উন্নয়নের দর্শন আটকে দিয়েছেন। স্বার্থের দ্বন্দ্বভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা তৈরি হয়েছে। আইনিভাবে অনিয়ম তৈরি করা হয়েছে।এসব অবিচারের খাটুনির বোঝা গরিব, স্বল্প ও সীমিত আয়ের মানুষের ওপর পড়ছে।

লেখক: সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত