বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ ‍অর্পিতার যত টাকা

টানা প্রশ্নপর্বের দিনরাত্রি শেষে শনিবার সকালে ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করল ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টেড (ইডি)। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ পার্থের নাকতলার বাড়িতে জিঞাসাবাদের জন্য যায় ইডির একটি দল। সারাদিন তো বটেই, রাতভর মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি শুধু শিক্ষামন্ত্রীই নন, একাধারে শিল্পমন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তুণমূলের মহাসচিবও।শুক্রবার সাতসকালে কলকাতার নাকতলায় প্রান্তন শিক্ষামন্ত্রী (বর্তমানে শিল্পমন্ত্রী) পাথ চট্টোপাধ্যায়ের দরজায় হাজির হয়।

সকালে ঘুম থেকে তুলে দফায় দফায় চলে জজ্ঞাসাবাদ। সারারাত ইডির আধিকারিকেরা মন্ত্রীর বাড়িতে ছিলেন কেন্দ্রীয়বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় মন্ত্রীর বাড়ি। সুত্রের খবর টানা জি্াসাবাদের মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন পার্থ। দু'বার তার বাড়িতে পৌঁছান চিকিৎসকেরা। কিন্তু তাতেও প্রশ্ন -পর্ব থামেনি।একই সঙ্গে ইডির দাবি, দঞ্ছিণ কলকাতায় পাথের ঘনিষ্ঠ' অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ২১ কোটি টাকা নগদ পাওয়া গিয়েছে। দুবস্থায় ভরা ছিল ২০০০ ও ৫০০ টাকার বান্ডিল। ওই বাড়ি থেকে ২০টি মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে বলে ইডির দাবি। যে নগদ উদ্ধার হয়েছে, তা ব্যাংক কর্মীদের দিয়ে যন্ত্রের সাহায্যে শনিবার সকাল পর্যন্ত গোনার কাজ চলেছে। প্রাথমিকভাবে নথি সংগহ ও জিজ্ঞাসাবাদ করে তা যাচাই করা হয় বলে ইডি সুত্রের খবর। কোনো রকম নোটিশ ছাড়াই শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটায় পার্থকে ঘুম থেকে তুলে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্ত কারীরা। নাকতলার বাড়িতে পৌঁছানোর পরেই মন্ত্রীর নিরাপত্তা রক্ষী ও দেহরক্ষীদের মোবাইল বন্ধ করার নির্দেশ দেন তদন্তকারীরা।

ইডি সুত্রে র দাবি, একই নির্দেশ দেওয়া হয় পার্থকেও। দুপুরে দু'জন আইনজীবীকে বাড়িতে ডেকে পাঠান পার্থ। তবে সুত্রে র খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে তাদের হাজির থাকার অনুমতি দেননি তদন্তকারীরা। ইডি সুত্র জানাচ্ছে, দুপুরে পুলিশের সঙ্গে এসে পার্থের পারিবারিক চিকিৎসক তদন্তকারীদের সামনেই তার শারীরিক পরীক্ষা করেন। পরে এসএসকেএম থেকে তিন জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মন্ত্রীকে দেখ যান। তার পরেও চলে জিজ্ঞাসাবাদ । রাতভর চলে সেই প্রশ্ন-পর্ব। সেই পর্ব মিটতেই শনিবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পার্থকে । শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকেরা। শনিবার সকাল ১০টা।এখনো পর্যন্ত তদন্তকারীরা সেখান থেকে বেরোননি। বাড়ির বাইরে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশকর্মীরা। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ইডির গাড়িগুলো। সারারাত কেউই বাড়ির বাইরে বেরোননি। রাতে দুয়েক বার বেরিয়েছেন পার্থের আইনজীবী অনিন্দকিশোর রাউত। তাকে পুলিশকমীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। তবে ভেতরে কী হচ্ছে, তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি পার্থের আইনজীবী। শনিবার সকালে তিনি অসুস্থবোধ করেন বলে দাবি করেন তার আইনজীবী অনিন্দ্যকিশোর রাউত। সকালেই চিকিৎসকদের খবর দেওয়া হয়। সকাল ৮টা নাগাদ নাকতলায় বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায় এক চিকিৎসককে। পরে জানা যায় দু’জন চিকিৎসক শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে তার বাড়িতে এসেছেন। এর মধ্যে ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ২০ কোটি টাকা উদ্ধার হয় বলে জানায় ইডি। শুরুবার রাতে সে উদ্ধার হওয়া টাকা গুণতেই কার্যত রাত কাবার হয়। এখনো পর্যন্ত ২১ কোটি টাকা গুণতে পেরেছেন ব্যাংক কর্মীরা। টাকা গোনার কাজ চলছে।

প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ২০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করেছে ইডি। সুত্রের দাবি, জাতীয় প্রতীকের ছবি লাগানো রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের এনভেলপে ওই টাকা মিলেছে।' টুইট করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মোহম্মদ সেলিমও। তিনি লেখেন, ‘যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা হিমশৈলের চূড় মাত্র। যথেষ্ট সময় অতিবাহিত করার পর, অজস্র টাকা দেশে-বিদেশে পাচার হওয়ার পরেও হাত দিতেই এই পরিমাণ টাক পাওয়া যাচ্ছে। এই টাকা আসলে লুটের টাকা, তোলাবাজি-সহ অসহায় চাকরিপ্রার্থীদের থেকে মোটা ঘুষ নেওয়া টাকা সব জমা করা হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী টাকা বিলোবার গল্প শোনান আর দেশের প্রধানমন্ত্রী ক্যাশলেস ইকোনমির বাণী ছড়াচ্ছেন। অন্যদিকে, সেই নগদ টাকার পাহাড়ের ছবিতে তৃণমূলের দুর্নীতির চিত্র ফুটে উঠছে এই রাজ্যে! টাকার পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ ‍অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হলো ৫০ লক্ষ টাকার সোনা। এমনটাই জানা গিয়েছে ইডি সুত্রে।

অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ইতিমধ্যেই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি। ইডি আধিকারিকরা আরও দাবি করেছেন, জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করছেন না ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা । ইডি সুত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, বেলঘরিয়ার রথতলা এলাকায় একটি অভিজাত আবাসনে দু’টি ফ্ল্যাটও রয়েছে অর্পিতার। সেখানকার আবাসিকদের দাবি, কয়েক মাস আগেও ওই ফ্ল্যাটে নিয়মিত দেখা যেত অর্পিতাকে। তারা আরও দাবি করেছেন, এই আবাসনে লালবাতির গাড়ি চড়ে মাঝেমধ্যে কেউ কেউ আসতেন। কিন্ত তারা অর্পিতার কাছেই আসতেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তারা জানিয়েছেন, ওই আবাসনে কে আসছে-যাচ্ছে, তা রেজিস্টারে লেখা থাকে। তা দেখলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। পাশাপাশি, ইডি সূত্রে খবর হাওড়ার দেওয়ানপাড়াতেও একটি বাড়ি রয়েছে অর্পিতার। সেই বাড়িতে অর্পিতার মা এবং অন্য আত্মীয়েরা থাকেন। তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে অর্পিতার আয়ের উৎস । ইডি সুত্রে জানা গিয়েছে, অর্পিতার দাবি তিনি অভিনেতা। তবে প্রশ্ন উঠছে, অভিনয় করে কত টাকা আয় করেন অর্পিতা? ইডি সুত্রে খবর, ‘পার্থ-ঘনিষ্ট’ অর্পিতার আয়ের উৎস জানতে তার আয়কর সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুক্রবার রাতভর অর্পিতার ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাটে চলে টাকা গোনার কাজ । নিয়ে আসা হয় নোট গোনার ৪টি যন্ত্র । তবে অর্পিতার কাছে সব প্রশ্নের উত্তর মিললেও, টাকার উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করলে কোনো উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না বলেও ইডি সূত্রে খবর ।

লেখক: ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত