মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ২২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গ্রন্থহীন লেখক কবি গোপেন্দ্রনাথ সরকার

গোপেন্দ্রনাথ সরকার গল্প-প্রবন্ধ লিখলেও মূলত তিনি কবি। ‘প্রবাসী’, ‘ভারতবর্ষ’, ‘মানসী’, ‘ভারতী’, ‘বসুমতী’, ‘পূর্বাশা’ থেকে শুরু করে শিশু কিশোরদের বার্তা ‘মৌচাক’, ‘সন্দেশ’ অর্থাৎ সেকালের প্রায় সব প্রধান পত্রপত্রিকাতেই তাঁর লেখা নিয়মিত প্রকাশ পেত। অপ্রকাশিত লেখার সংখ্যাও ছিল প্রচুর। কিন্তু বিস্ময়কর বিয়ষ হলো, শেষপর্যন্ত তিনি ছিলেন গ্রন্থহীন লেখক। ব্রিটিশশাসিত ভারতবর্ষের অখণ্ড বাংলায় অর্থাৎ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির নদীয়া জেলার কুষ্টিয়া মহকুমার নওপাড়া থানার খয়েরপুর গ্রামে ৩০ ডিসেম্বর ১৮৮৮ খ্রিষ্টাব্দে গোপেন্দ্রনাথ সরকার জন্মগ্রহণ করেন। এখন অবশ্য নওপাড়া থানা হিসেবে পরিচিত নয়, শিমুলিয়া বা খয়েরপুরের মতোই মিরপুর উপজেলারই একটি গ্রাম মাত্র। পিতা কালিদাস ও মাতা মানদাসুন্দরী। গোপেন্দ্রনাথ ছিলেন পিতা-মাতার চতুর্থ সন্তান। খুব অল্প বয়সে তিনি পিতৃহারা হন।

গোপেন্দ্রনাথের প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শুরু হয় গ্রামে যদু পণ্ডিতের পাঠশালায়। মিরপুরের আমলা সদরপুর হাইস্কুল থেকে ১৯০৯ সালে দ্বিতীয় বিভাগে এন্ট্রান্স পাস করেন। উল্লেখ্য, ঐ বছরই ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় সর্বশেষ প্রবেশিকা পরীক্ষা। অর্থাভাবে গোপেন্দ্রনাথের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এরপর বলতে গেলে আর তেমন এগোয়নি। প্রায় তিন দশক পরে গোপেন্দ্রনাথ সংস্কৃত ভাষাসাহিত্যে আবার পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯১৫ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত বঙ্গীয় সংস্কৃত পরিষদ-‘সংস্কৃত ও পালিতে’ আদ্য, মধ্য ও উপাধি পরীক্ষা পরিচালনা করত। গোপেন্দ্রনাথ তারই অধিভুক্ত ভেড়ামারার চণ্ডীপুরের পণ্ডিত রাধারমণ বেদান্তভূষণের সংস্কৃত টোলে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখান থেকে ১৯৩৭ ও ১৯৩৮ সালে বঙ্গীয় সংস্কৃত শিক্ষা পরিষদের সংস্কৃত সাহিত্য বিষয়ে যথাক্রমে আদ্য ও মধ্যতীর্থ পর্যায়ে উত্তীর্ণ হন, কিন্তু শেষ পরীক্ষা কাব্যতীর্থে অবতীর্ণ হননি। তাঁর নামে ছাপানো এক প্যাডে পরিচয় লেখা রয়েছে ‘(অনুত্তীর্ণ) কাব্যতীর্থ’।

গোপেন্দ্রনাথের বর্ণময় কর্মজীবনে বিচিত্র পেশা ও বহুল কর্মস্থল ছিল বিশেষ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে। কর্মজীবন শুরু হয় আমলার চ্যারিটেবল ডিসপেনসারিতে ডা. নৃসিংহ মুখোপাধ্যায় এর কম্পাউণ্ডার হিসেবে। এরপর কলকাতার খিদিরপুর ডকইয়ার্ডের হেডক্লার্ক মি. লয়ার্ডের অধীনে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে কেরানি গিরি। পরবর্তিতে প্রেসিডেন্সি ও বর্ধমান বিভাগের অধীনে ডাক বিভাগের কুষ্টিয়া বাজার পোস্ট অফিসে পোস্টমাস্টারের দায়িত্ব পালন করেন কিছুদিন। এরপর কয়েক বছর রেলওয়ে বিভাগে চাকুরি করেন। পাকশীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের সময় রয়্যাল ইঞ্জিনিয়ার কর্নেল হারভিঙের অধীনে করণিকের কাজ করেছেন। দিনাজপুরে বেঙ্গল-নাগপুর রেল সেকশনে যোগ দিয়ে বিহার ও উড়িষ্যার বিভিন্ন স্টেশনে রেল স্থাপনের কাজে চিফ ইঞ্জিনিয়ার সি এস নেপিয়ারের অধীনে চাকুরি করেন। গোপেন্দ্রনাথ সহজাতভাবে ছিলেন অস্থিরচিত্ত। সবমিলিয়ে তার এসব চাকুরি যেমন স্থায়ী ছিল না, তেমনি তিনিও একস্থানে স্থির থাকতে পারতেন না। অফিসের চাকুরি থেকে শুরু করে জীবিকা অর্জনের জন্যে গৃহশিক্ষকতার পথও বেছে নিয়েছিলেন কোন এক সময়। বর্তমান রাজবাড়ি জেলার পাংশার দুর্গাপুরের জমিদার বাড়িতে, কলকাতায় কয়লাঘাটের রেল ইঞ্জিনিয়ার কে বি রায়ের বাসায় ছাত্র পড়িয়েছেন কিছুকাল। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি শিক্ষকই হয়েছিলেন। শিক্ষকতা পেশায় তিনি আমলা সদরপুর হাইস্কুল, কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, রংপুরের সাদুল্লাপুর মাইনর স্কুল, দিনাজপুরের (বর্তমান ভারতভুক্ত, পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর) কালিয়াগঞ্জ মিলনময়ী বালিকা মাইনর স্কুল, নাটোরের বাসুদেবপুর শ্রীশচন্দ্র বিদ্যানিকেতন, কুষ্টিয়ার চারুলতা বালিকা মাইনর স্কুল, কুষ্টিয়া হাইস্কুল এবং শেষে চাঁদ সুলতানা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। গোপেন্দ্রনাথের পেশা ও নেশা উভয়টিতেই ওরিয়েন্টাল সেমিনারিতে শিক্ষককাল ছিল এক সুবর্ণ সময়। এটি ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেখানে পাঠ করে শিশু রবীন্দ্রনাথের মনে শিক্ষক হওয়ার সাধ জেগেছিল। সহকর্মীদের মধ্যে বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেশ হৃদ্যতা জন্মেছিল। তাঁর সাথেই বিভিন্ন সাহিত্যিকের সান্নিধ্যে কিংবা বিখ্যাত সব সাহিত্যসভায় যেতেন। তাদের মধ্যে পরিচয় ঘটে প্রাবন্ধিক গুরুদাস বন্দোপাধ্যায়, পণ্ডিত বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ, কবি শেখর কালিদাস রায়, কবি চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, কবি গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ এমদাদ আলী প্রমুখের সাথে।

গোপেন্দ্রনাথ সরকারের শ্রদ্ধানিবেদন করতে গিয়ে বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, গবেষক ড. আবুল আহসান চৌধুরী বলেছিলেন: “শ্রীযুক্ত গোপেন্দ্রনাথ সরকার আজীবন শিক্ষাব্রতী। দীর্ঘ ৬০ বছর শিক্ষকতা করেছেন। এর পাশাপাশি নীরবে সাহিত্যচর্চাও করেছেন। তাঁর কবিখ্যাতিও জুটেছিল একসময়। শ্রাবণ ১৩২৯ মাসিক প্রবাসী পত্রিকায় তাঁরই লেখা ‘রণরঙ্গ’ কবিতার কিছু অংশ:

আজি গগনে গগনে ঘন-গরজনে রণঝঞ্ঝা বাজে,তড়িৎ মেঘে অসির ফলক ঝলকে জলদ মাঝে।ভূমিতলে আজি জীমুতমন্দ্রে বাজিল তুমুল রণ,কাঁপিল বিশ্ব, কি ঘোর দৃশ্য, ভয়াতুর জীবগণ।মহা ব্যোম ঘিরি’ নিকষকৃষ্ণ নীরধর নিনাদিল,বাত্যাতাড়িত ধুলায় অন্ধ-ধরা আঁখি নিমীলিল।বিহগ কুলায়ে আশ্রয় নিল, নরনারী নিল ঘরে,জননীর ক্রোড়ে লুকাইল শিশু বিপুল শঙ্কা ভরে।...

কার্তিক ১৩২৭ ত্রৈমাসিক বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকায় গোপেন্দ্রনাথ সরকারের ‘সার্থক’ কবিতার কিছু অংশ:


আমি অধিক যতনে নূতন করিয়া বাঁধিনু বীণাটি সাহানায়,রচিনু কোমল কুসুম শয়ন সাজিনু কুসুম গহনায়।জ্যোৎস্না প্লাবন আকাশে মরতে করিয়া দিয়াছে একাকার,বহিছে মধুর মলয় বাতাস বহিয়া সুরভি অনিবার।মোহিনী রজনী সাজায়ে রেখেছে কাননে কত যে শত ফুল,নিখিল রাজার চরণ পুড়িবে তাই হাসি এত প্রেমাকুল।...

শিক্ষক ও কবি এই পরিচয়েই তিনি শ্রদ্ধেয় ও স্মরণার্হ। রুচির দুর্ভিক্ষ, মূল্যবোধের সমস্যা আর চরিত্রের সংকট আজ আমাদের জাতীয় চরিত্রের বৈশিষ্ট্য। এই ক্রান্তিলগ্নে মৃদু কণ্ঠে হলেও, জ্ঞানতাপস শ্রীযুক্ত সরকারকে আজ তাঁর ৮৭তম জন্মজয়ন্তীতে আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদন করি।” আবদুর রশীদ চৌধুরী ঢাকার দৈনিক সংবাদে ‘কুষ্টিয়ার একজন অবহেলিত কবি ও শিক্ষকের কাহিনি’ (১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬) শীর্ষক প্রবন্ধে গোপেন্দ্রনাথের জীবন ও কবিতা নিয়ে যে আলোচনা করেছিলেন, সেটিই এককভাবে এই সাহিত্যিকের ওপর রচিত দীর্ঘতম এবং জাতীয় পর্যায়ের প্রকাশনায় মুদ্রিত একমাত্র লেখা। গোপেন্দ্রনাথ সরকারের পুত্র মিলন সরকারের মন্তব্য: জীবনযুদ্ধে বিপর্যস্ত, অকালে পিতৃবিয়োগ, আত্মীয়-পরিজনের ক্রমাগত মৃত্যু, জ্ঞাতি ষড়যন্ত্র, দুর্দিনে স্বজন বিচ্ছিন্নতা, আর্থিক দীনতা সম্ভবত তাঁকে ব্যথিত, উদাসীন করে তুলেছিল। স্থান থেকে স্থানান্তরে, কর্ম থেকে কর্মান্তরে তাঁকে বিতাড়ন করেছে তাঁর অমোঘ বাস্তবতা। সার্বিকভাবে নির্জিত এই কবি তাই যেন সবকিছু থেকে হয়ে পড়েছিলেন বিভক্ত। সমগ্র জীবনে বৈপরীত্যের সাথে না বুঝে নিজেকে সংকুচিত করে নিয়ে অপমানাহত স্বেচ্ছানির্বাসিত হয়ে প্রাতিস্বিক বলয়ে আত্মসমর্পণ ছিল তাঁর স্বভাবজ, কবিতা তাঁর সেই প্রাতিস্বিকতার এক একটি নির্মোক। খণ্ডিত এবং গতানুগ, তবু তিনি কবি এবং আমাদের বাংলাকাব্যধারায় এক নি:সঙ্গ পদচারক। গোপেন্দ্রনাথ সরকার কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়ায় ১৪ ফেব্রæয়ারি ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।


লেখক: ইতিহাস গবেষক ও প্রাবন্ধিক 

Header Ad
Header Ad

পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নানা সমালোচনা ও দলীয় চাপের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (৬ জানুয়ারি) তিনি এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি মোকাবেলায় ব্যর্থতার অভিযোগে তিনি ব্যাপক চাপের মুখে পড়েন। এ ছাড়া দেশের রাজনীতিতেও ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েন ট্রুডো। তার জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ায় বিরোধী দলগুলো এবং তার নিজ দল লিবারেল পার্টির ভেতর থেকেও পদত্যাগের দাবি উঠে।

ট্রুডো এর আগে লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়ান। তার এ সিদ্ধান্ত দলটির জন্য বড় ধরনের সংকট তৈরি করেছে, বিশেষ করে আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য পার্লামেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। ট্রুডোর পদত্যাগের ফলে লিবারেল পার্টি এখন নতুন নেতৃত্ব খুঁজতে বাধ্য হবে।

ট্রুডোর এ সিদ্ধান্ত কানাডার রাজনৈতিক অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। দীর্ঘদিন ধরে কানাডার রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী এই নেতার এভাবে পদত্যাগের ঘটনা দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে স্থান পাবে।

Header Ad
Header Ad

আন্দোলনে নিহত ছাত্রদল নেতার সন্তানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মাগুরা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদি হাসান রাব্বির সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যার দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) মাগুরা শহরের বরুণাতৈল গ্রামে রাব্বির বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের খোঁজখবর নেয় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল। এ সময় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শিশুটির দেখভালের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সহ-সম্পাদক এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল। তিনি জানান, তারেক রহমানের নির্দেশনায় চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে নিহত রাব্বির পরিবারের পাশে থাকার বার্তা নিয়ে তারা এসেছেন। ইঞ্জিনিয়ার বকুল বলেন, "দেশের জন্য ছাত্র আন্দোলনে জীবন দিয়েছেন রাব্বি। তার মৃত্যুর সাড়ে চার মাস পর তার সন্তানের জন্ম হয়েছে। তারেক রহমান এই শিশুর দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।"

রাব্বির সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের জন্য তারেক রহমানের পাঠানো উপহার সামগ্রীও পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ইঞ্জিনিয়ার বকুল আরও বলেন, "রাব্বির পরিবার যাতে আত্মমর্যাদা নিয়ে সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, সে জন্য আমরা সব সময় তাদের পাশে থাকব।"

প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকসেদুল মোমিন মিথুন, মাগুরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আকতার হোসেন, খান হাসান ইমাম সুজা, আলমগীর হোসেন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কুতুবুদ্দিন, এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবদুর রহিমসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট মাগুরা শহরের ঢাকা রোডব্রিজ এলাকায় ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত হন রাব্বি। তার মৃত্যুতে ছাত্রদলের পাশাপাশি স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।

Header Ad
Header Ad

তামিমের ব্যাটে জয়ে ফিরলো ফরচুন বরিশাল

ছবি: সংগৃহীত

তামিম ইকবালের ব্যাটিং জাদুতে দুর্দান্ত জয় পেল ফরচুন বরিশাল। মিরপুরে প্রথম দুই ম্যাচে বড় অবদান রাখতে না পারলেও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজ রূপে ফিরেছেন বরিশাল অধিনায়ক। তার অসাধারণ ৮৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১৫ বল বাকি রেখেই দুর্বার রাজশাহীকে ৭ উইকেটে হারায় ফরচুন বরিশাল।

সোমবার বিপিএলের দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহী প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে। জবাবে তামিমের দায়িত্বশীল ইনিংসের সুবাদে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে বরিশাল। তামিমের ৪৮ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১টি চার এবং ৩টি ছক্কায়। তার সঙ্গে মুশফিকুর রহিমের ২৪ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসও ছিল জয় নিশ্চিত করার পথে সহায়ক।

এদিন বরিশাল দল একাদশে পরিবর্তন এনে শান্তকে বাদ দিয়ে তামিমের সঙ্গে প্রিতম কুমারকে ওপেনিংয়ে পাঠায়। যদিও প্রিতম ব্যর্থ হন এবং কাইল মেয়ার্স ২৪ রান যোগ করলেও তার বিদায়ের পর তামিমের সঙ্গে তাওহিদ হৃদয়ের ৪০ রানের এবং মুশফিকের সঙ্গে অপরাজিত ৭৬ রানের জুটি জয় নিশ্চিত করে।

রাজশাহীর ইনিংসে অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ৩৫ বলে ৩৯ রান করলেও তার ধীর গতির ব্যাটিং দলের রান সংগ্রহে বাধা সৃষ্টি করে। ইয়াসির আলী ২৩ বলে ৩৯ রান এবং জিসান আলম ২৭ বলে ৩৮ রান করেন। বরিশালের বোলারদের মধ্যে শাহিন শাহ আফ্রিদি ছিলেন সেরা, ২০ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন।

তামিমের নেতৃত্বে এই জয়ে ফরচুন বরিশাল ফের জয়ের ধারায় ফিরলো এবং দলটির আত্মবিশ্বাসও বেড়ে গেলো। বিপিএলের বাকি ম্যাচগুলোতেও তামিম ও তার দলের কাছ থেকে আরও শক্তিশালী পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করছেন সমর্থকরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো
আন্দোলনে নিহত ছাত্রদল নেতার সন্তানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
তামিমের ব্যাটে জয়ে ফিরলো ফরচুন বরিশাল
লন্ডন যাত্রায় খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হচ্ছেন যারা
মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট অব্যাহতি দিল এনবিআর
কলকাতায় বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন ২২০ বাংলাদেশি
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরোপুরি চালু হবে ই-পাসপোর্ট
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু ১০ এপ্রিল
চট্টগ্রামে কোতোয়ালি থানার সাবেক ওসিকে মারধর, পুলিশে সোপর্দ
বিদেশে বাংলাদেশ নিয়ে প্রচার বাড়াতে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদ
বিদেশে পালানোর সময় চট্টগ্রামের শিল্পপতি গ্রেপ্তার
এবার সুখবর দিলেন মিথিলা
মাওবাদী হামলায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ৯ সদস্য নিহত
মেজর ডালিমের এক হাতে একটি আঙুল নেই কেন? কী ঘটেছিল?
উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে উত্তাল রাঙ্গামাটি বিশ্ববিদ্যালয়
আমার ছেলে দেশের জন্য অনেক কষ্ট করে: পিনাকী ভট্টাচার্যের মা
হেলসের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে রংপুরের দাপুটে জয়
একাধিক পদে ১৩১ জনকে নিয়োগ দিচ্ছে বিটিসিএল
অবশেষে পেঁয়াজের রফতানি মূল্য কমিয়ে দিলো ভারত
চলতি সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা, হতে পারে বৃষ্টি