বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গ্রন্থহীন লেখক কবি গোপেন্দ্রনাথ সরকার

গোপেন্দ্রনাথ সরকার গল্প-প্রবন্ধ লিখলেও মূলত তিনি কবি। ‘প্রবাসী’, ‘ভারতবর্ষ’, ‘মানসী’, ‘ভারতী’, ‘বসুমতী’, ‘পূর্বাশা’ থেকে শুরু করে শিশু কিশোরদের বার্তা ‘মৌচাক’, ‘সন্দেশ’ অর্থাৎ সেকালের প্রায় সব প্রধান পত্রপত্রিকাতেই তাঁর লেখা নিয়মিত প্রকাশ পেত। অপ্রকাশিত লেখার সংখ্যাও ছিল প্রচুর। কিন্তু বিস্ময়কর বিয়ষ হলো, শেষপর্যন্ত তিনি ছিলেন গ্রন্থহীন লেখক। ব্রিটিশশাসিত ভারতবর্ষের অখণ্ড বাংলায় অর্থাৎ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির নদীয়া জেলার কুষ্টিয়া মহকুমার নওপাড়া থানার খয়েরপুর গ্রামে ৩০ ডিসেম্বর ১৮৮৮ খ্রিষ্টাব্দে গোপেন্দ্রনাথ সরকার জন্মগ্রহণ করেন। এখন অবশ্য নওপাড়া থানা হিসেবে পরিচিত নয়, শিমুলিয়া বা খয়েরপুরের মতোই মিরপুর উপজেলারই একটি গ্রাম মাত্র। পিতা কালিদাস ও মাতা মানদাসুন্দরী। গোপেন্দ্রনাথ ছিলেন পিতা-মাতার চতুর্থ সন্তান। খুব অল্প বয়সে তিনি পিতৃহারা হন।

গোপেন্দ্রনাথের প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শুরু হয় গ্রামে যদু পণ্ডিতের পাঠশালায়। মিরপুরের আমলা সদরপুর হাইস্কুল থেকে ১৯০৯ সালে দ্বিতীয় বিভাগে এন্ট্রান্স পাস করেন। উল্লেখ্য, ঐ বছরই ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় সর্বশেষ প্রবেশিকা পরীক্ষা। অর্থাভাবে গোপেন্দ্রনাথের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এরপর বলতে গেলে আর তেমন এগোয়নি। প্রায় তিন দশক পরে গোপেন্দ্রনাথ সংস্কৃত ভাষাসাহিত্যে আবার পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯১৫ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত বঙ্গীয় সংস্কৃত পরিষদ-‘সংস্কৃত ও পালিতে’ আদ্য, মধ্য ও উপাধি পরীক্ষা পরিচালনা করত। গোপেন্দ্রনাথ তারই অধিভুক্ত ভেড়ামারার চণ্ডীপুরের পণ্ডিত রাধারমণ বেদান্তভূষণের সংস্কৃত টোলে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখান থেকে ১৯৩৭ ও ১৯৩৮ সালে বঙ্গীয় সংস্কৃত শিক্ষা পরিষদের সংস্কৃত সাহিত্য বিষয়ে যথাক্রমে আদ্য ও মধ্যতীর্থ পর্যায়ে উত্তীর্ণ হন, কিন্তু শেষ পরীক্ষা কাব্যতীর্থে অবতীর্ণ হননি। তাঁর নামে ছাপানো এক প্যাডে পরিচয় লেখা রয়েছে ‘(অনুত্তীর্ণ) কাব্যতীর্থ’।

গোপেন্দ্রনাথের বর্ণময় কর্মজীবনে বিচিত্র পেশা ও বহুল কর্মস্থল ছিল বিশেষ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে। কর্মজীবন শুরু হয় আমলার চ্যারিটেবল ডিসপেনসারিতে ডা. নৃসিংহ মুখোপাধ্যায় এর কম্পাউণ্ডার হিসেবে। এরপর কলকাতার খিদিরপুর ডকইয়ার্ডের হেডক্লার্ক মি. লয়ার্ডের অধীনে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে কেরানি গিরি। পরবর্তিতে প্রেসিডেন্সি ও বর্ধমান বিভাগের অধীনে ডাক বিভাগের কুষ্টিয়া বাজার পোস্ট অফিসে পোস্টমাস্টারের দায়িত্ব পালন করেন কিছুদিন। এরপর কয়েক বছর রেলওয়ে বিভাগে চাকুরি করেন। পাকশীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের সময় রয়্যাল ইঞ্জিনিয়ার কর্নেল হারভিঙের অধীনে করণিকের কাজ করেছেন। দিনাজপুরে বেঙ্গল-নাগপুর রেল সেকশনে যোগ দিয়ে বিহার ও উড়িষ্যার বিভিন্ন স্টেশনে রেল স্থাপনের কাজে চিফ ইঞ্জিনিয়ার সি এস নেপিয়ারের অধীনে চাকুরি করেন। গোপেন্দ্রনাথ সহজাতভাবে ছিলেন অস্থিরচিত্ত। সবমিলিয়ে তার এসব চাকুরি যেমন স্থায়ী ছিল না, তেমনি তিনিও একস্থানে স্থির থাকতে পারতেন না। অফিসের চাকুরি থেকে শুরু করে জীবিকা অর্জনের জন্যে গৃহশিক্ষকতার পথও বেছে নিয়েছিলেন কোন এক সময়। বর্তমান রাজবাড়ি জেলার পাংশার দুর্গাপুরের জমিদার বাড়িতে, কলকাতায় কয়লাঘাটের রেল ইঞ্জিনিয়ার কে বি রায়ের বাসায় ছাত্র পড়িয়েছেন কিছুকাল। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি শিক্ষকই হয়েছিলেন। শিক্ষকতা পেশায় তিনি আমলা সদরপুর হাইস্কুল, কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, রংপুরের সাদুল্লাপুর মাইনর স্কুল, দিনাজপুরের (বর্তমান ভারতভুক্ত, পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর) কালিয়াগঞ্জ মিলনময়ী বালিকা মাইনর স্কুল, নাটোরের বাসুদেবপুর শ্রীশচন্দ্র বিদ্যানিকেতন, কুষ্টিয়ার চারুলতা বালিকা মাইনর স্কুল, কুষ্টিয়া হাইস্কুল এবং শেষে চাঁদ সুলতানা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। গোপেন্দ্রনাথের পেশা ও নেশা উভয়টিতেই ওরিয়েন্টাল সেমিনারিতে শিক্ষককাল ছিল এক সুবর্ণ সময়। এটি ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেখানে পাঠ করে শিশু রবীন্দ্রনাথের মনে শিক্ষক হওয়ার সাধ জেগেছিল। সহকর্মীদের মধ্যে বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেশ হৃদ্যতা জন্মেছিল। তাঁর সাথেই বিভিন্ন সাহিত্যিকের সান্নিধ্যে কিংবা বিখ্যাত সব সাহিত্যসভায় যেতেন। তাদের মধ্যে পরিচয় ঘটে প্রাবন্ধিক গুরুদাস বন্দোপাধ্যায়, পণ্ডিত বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ, কবি শেখর কালিদাস রায়, কবি চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, কবি গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ এমদাদ আলী প্রমুখের সাথে।

গোপেন্দ্রনাথ সরকারের শ্রদ্ধানিবেদন করতে গিয়ে বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, গবেষক ড. আবুল আহসান চৌধুরী বলেছিলেন: “শ্রীযুক্ত গোপেন্দ্রনাথ সরকার আজীবন শিক্ষাব্রতী। দীর্ঘ ৬০ বছর শিক্ষকতা করেছেন। এর পাশাপাশি নীরবে সাহিত্যচর্চাও করেছেন। তাঁর কবিখ্যাতিও জুটেছিল একসময়। শ্রাবণ ১৩২৯ মাসিক প্রবাসী পত্রিকায় তাঁরই লেখা ‘রণরঙ্গ’ কবিতার কিছু অংশ:

আজি গগনে গগনে ঘন-গরজনে রণঝঞ্ঝা বাজে,তড়িৎ মেঘে অসির ফলক ঝলকে জলদ মাঝে।ভূমিতলে আজি জীমুতমন্দ্রে বাজিল তুমুল রণ,কাঁপিল বিশ্ব, কি ঘোর দৃশ্য, ভয়াতুর জীবগণ।মহা ব্যোম ঘিরি’ নিকষকৃষ্ণ নীরধর নিনাদিল,বাত্যাতাড়িত ধুলায় অন্ধ-ধরা আঁখি নিমীলিল।বিহগ কুলায়ে আশ্রয় নিল, নরনারী নিল ঘরে,জননীর ক্রোড়ে লুকাইল শিশু বিপুল শঙ্কা ভরে।...

কার্তিক ১৩২৭ ত্রৈমাসিক বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকায় গোপেন্দ্রনাথ সরকারের ‘সার্থক’ কবিতার কিছু অংশ:


আমি অধিক যতনে নূতন করিয়া বাঁধিনু বীণাটি সাহানায়,রচিনু কোমল কুসুম শয়ন সাজিনু কুসুম গহনায়।জ্যোৎস্না প্লাবন আকাশে মরতে করিয়া দিয়াছে একাকার,বহিছে মধুর মলয় বাতাস বহিয়া সুরভি অনিবার।মোহিনী রজনী সাজায়ে রেখেছে কাননে কত যে শত ফুল,নিখিল রাজার চরণ পুড়িবে তাই হাসি এত প্রেমাকুল।...

শিক্ষক ও কবি এই পরিচয়েই তিনি শ্রদ্ধেয় ও স্মরণার্হ। রুচির দুর্ভিক্ষ, মূল্যবোধের সমস্যা আর চরিত্রের সংকট আজ আমাদের জাতীয় চরিত্রের বৈশিষ্ট্য। এই ক্রান্তিলগ্নে মৃদু কণ্ঠে হলেও, জ্ঞানতাপস শ্রীযুক্ত সরকারকে আজ তাঁর ৮৭তম জন্মজয়ন্তীতে আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদন করি।” আবদুর রশীদ চৌধুরী ঢাকার দৈনিক সংবাদে ‘কুষ্টিয়ার একজন অবহেলিত কবি ও শিক্ষকের কাহিনি’ (১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬) শীর্ষক প্রবন্ধে গোপেন্দ্রনাথের জীবন ও কবিতা নিয়ে যে আলোচনা করেছিলেন, সেটিই এককভাবে এই সাহিত্যিকের ওপর রচিত দীর্ঘতম এবং জাতীয় পর্যায়ের প্রকাশনায় মুদ্রিত একমাত্র লেখা। গোপেন্দ্রনাথ সরকারের পুত্র মিলন সরকারের মন্তব্য: জীবনযুদ্ধে বিপর্যস্ত, অকালে পিতৃবিয়োগ, আত্মীয়-পরিজনের ক্রমাগত মৃত্যু, জ্ঞাতি ষড়যন্ত্র, দুর্দিনে স্বজন বিচ্ছিন্নতা, আর্থিক দীনতা সম্ভবত তাঁকে ব্যথিত, উদাসীন করে তুলেছিল। স্থান থেকে স্থানান্তরে, কর্ম থেকে কর্মান্তরে তাঁকে বিতাড়ন করেছে তাঁর অমোঘ বাস্তবতা। সার্বিকভাবে নির্জিত এই কবি তাই যেন সবকিছু থেকে হয়ে পড়েছিলেন বিভক্ত। সমগ্র জীবনে বৈপরীত্যের সাথে না বুঝে নিজেকে সংকুচিত করে নিয়ে অপমানাহত স্বেচ্ছানির্বাসিত হয়ে প্রাতিস্বিক বলয়ে আত্মসমর্পণ ছিল তাঁর স্বভাবজ, কবিতা তাঁর সেই প্রাতিস্বিকতার এক একটি নির্মোক। খণ্ডিত এবং গতানুগ, তবু তিনি কবি এবং আমাদের বাংলাকাব্যধারায় এক নি:সঙ্গ পদচারক। গোপেন্দ্রনাথ সরকার কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়ায় ১৪ ফেব্রæয়ারি ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।


লেখক: ইতিহাস গবেষক ও প্রাবন্ধিক 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত