শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

পদ্মা সেতু বাঙালির বীরত্ব ও গৌরবের প্রতীক

পদ্মা সেতু শুধু অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রতীকই নয়, পদ্মা সেতু বাঙালির বীরত্বের, গৌরবের অন্যতম প্রতীক। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বৃহৎ শত্রুর অন্যায় অপবাদকে উপেক্ষা করে, অসীম সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে রাষ্ট্রনায়োকচিত প্রজ্ঞা নিয়ে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, আজ তারই বাস্তবরূপ আমরা দেখতে পেলাম। পদ্মা সেতু উদ্ভোধন হলো। বহু কাঙ্ক্ষিত, বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্ভোধন হয়ে গেল। এটি আমাদের জন্য খুবই আনন্দের বিষয় সন্দেহ নাই।

ব্যক্তিগতভাবে আমার সৌভাগ্য হয়েছিল পদ্মা সেতু উদ্বোধন আয়োজনে অংশগ্রহণ করার। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার নয়। মনে হয়েছিল যেন বাঙালির বীরত্বের নতুন আরেকটি পালক যুক্ত হলো। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যে আনন্দ উপভোগ করেছিলাম, কেন যেন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় সেই একইরকম আনন্দ উপভোগ করেছিলাম। আমি আগেও বলেছি যে, এই সেতু শুধুমাত্র সেতু নয়। এটি পৃথিবীর কততম বড় অথবা দীর্ঘ সেতু সেটিও মুখ্য নয়। মূখ্য বিষয় হলো, বৃহৎ শক্তির চোখ রাঙানো,ধমক, হুমকি যে বাঙালি পরোয়া করে না, এই দেশের ত্রিশ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়ে রক্ত দিয়ে যে দেশ স্বাধীন করেছে, যে রাষ্ট্রের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তারই কন্যা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায়, তখন এই চোখ রাঙানোকে যে বাংলাদেশ গ্রহণ করবে না, বীরত্বের সঙ্গে পাল্টা জবাব দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে, বাংলাদেশ বীরের জাতি, তারা কারও কাছে আত্মসমর্পণ করে না। পদ্মা সেতু হচ্ছে সেই বীরত্বের প্রতীক। আমাদের সাহসের প্রতীক। সততার প্রতীক। সক্ষমতার প্রতীক। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা যে আমাদের আছে, তার প্রতীক। এই মিশনে শেখ হাসিনা সম্মুখ থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, জাতি তার সঙ্গে একসঙ্গে হাজির হয়েছে, সহযোগিতা করেছে, সাহস যুগিয়েছে। সুতরাং আমরা আশা করি, এই পদ্মা সেতু যতদিন থাকবে, বাঙালি জাতির গৌরবের ইতিহাস ততদিন সমুজ্জ্বল থাকবে।

অর্থনৈতিকভাবে এটি আমাদের জন্য একটি বড় অবকাঠামো হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবে। সে আলোচনা হয়তো আরও বড় আঙ্গিকে করা যাবে। কিন্তু আমি যেটি বলতে চাই, পদ্মা সেতু আমাদের একটি বিজয়গাঁথা। আমরা সেই জাতি, যারা রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে, লক্ষ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়েও আত্মসমর্পণ করেনি।

এর বাইরে বলতে গেলে, এই সেতু নিয়ে হয়তো অনেক অপবাদ মিথ্যাচার আছে। সেটিকে আমি সমালোচনা বলব না। আমি বলব সেগুলো কুৎসা রটনা। অনেকে বলছে, এই সেতুতে অর্থের ব্যয় অনেক বেশি হয়েছে। এখন যারা এসব বলছেন, তারা এক্সপার্ট না। তারা জানে না এখানে কত হাজার পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। যারা মিথ্যাচার করতে চায়, তারা সমালোচনা করতে জানে না। সমালোচনা এক জিনিস, আর মিথ্যাচার করে কুৎসা রটনা করে একটি বড় অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা আরেক জিনিস। আমি প্রধানমন্ত্রীকে এই সফলতার জন্য যেমন সাধুবাদ জানাই, তেমনি এসব অপবাদ সৃষ্টিকারীদের আমি তীব্র নিন্দা জানাই।

লেখক: সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট

Header Ad
Header Ad

আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের মানুষ যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ তাদের একটি সমুদ্র আছে যা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে উদ্বুদ্ধ করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারে বিআইএএম অডিটোরিয়ামে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের একটি সমুদ্র আছে। ব্যবসার জন্য সমুদ্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বাংলাদেশের দীর্ঘ সমুদ্রতীরের কথা উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রামের সমুদ্রতীরের যেকোনো স্থানে সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা সম্ভব।

তিনি বলেন, কক্সবাজারে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং এটি কেবল একটি পর্যটন শহরই নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রও। তিনি আরও বলেন, নেপাল ও ভারতের সেভেন সিস্টার্সের কোনো সমুদ্র নেই, তাই তাদের জন্য বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ‘আমরা ব্যবসা করতে পারলে সবার ভাগ্য বদলে যাবে।’

ড. ইউনূস লবণ উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে জানতে চান বিদেশি আমদানিকারকরা বাংলাদেশ থেকে লবণ আমদানিতে আগ্রহী কিনা, কারণ কক্সবাজারের কৃষকদের উৎপাদিত লবণ এখন রফতানির সক্ষমতা অর্জন করেছে।

এছাড়া, তিনি পাইলট ভিত্তিতে কক্সবাজারে বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা নিয়েও খোঁজ নেন।

প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় জনগণকে ভবিষ্যতের সুযোগগুলো কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কক্সবাজার অর্থনীতির একটি বৃহৎ শক্তি এবং এটি তথ্যপ্রযুক্তিরও একটি শহর হতে পারে।’

মতবিনিময় সভায় কক্সবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রধান উপদেষ্টার সামনে তাদের প্রস্তাব ও দাবি পেশ করেন।

Header Ad
Header Ad

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়। এজন্য মিয়ানমারে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকালে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

গুতেরেস বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে আমি দুটি স্পষ্ট বার্তা পেয়েছি। প্রথমত, আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই মিয়ানমারে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে হবে এবং রোহিঙ্গাদের অধিকার নিশ্চিত করে বৈষম্যের শিকার হওয়া থেকে রক্ষা করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে আরও ভালো পরিবেশ চায়। দুর্ভাগ্যবশত, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ সম্প্রতি নাটকীয়ভাবে মানবিক সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে খাবারের রেশন কমাতে বাধ্য হয়েছি। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যতটা সম্ভব দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলব, যাতে করে ফান্ড পাওয়া যায় এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ না হয়।’

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবে না এমন আশা প্রকাশ করে গুতেরেস বলেন, ‘সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার জন্য এই সম্প্রদায়ের মানবিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।’

Header Ad
Header Ad

আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেফতার

রূপালি । ছবি: সংগৃহীত

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও শেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আয়েশা সিদ্দিকা রূপালিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভোরে ঝিনাইগাতী উপজেলার তেঁতুলতলার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আয়শা সিদ্দিকা রূপালির বিরুদ্ধে ঝিনাইগাতী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা রয়েছে। ওই মামলার আসামি হিসেবে তাকে তেঁতুলতলার আব্দুর রহিম পাগলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল আমীন জানান, গ্রেফতারের পর আয়েশা সিদ্দিকা রূপালিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব
আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেফতার
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পেতে আধা ঘণ্টায় ২০ লাখ হিট
দুই বছরের কন্যাকে হারালেন আফগান ক্রিকেটার হজরতউল্লাহ জাজাই
রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব
কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ
সুন্দরবনের গহীন থেকে বৃদ্ধা নারী উদ্ধার
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো সাত লাশ উদ্ধার
জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন ড. ইউনূস
গালি দেয়া সেই উপস্থাপিকার চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান হাসনাতের
প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে: রিজভী
৬০তম জন্মদিনে নতুন প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে আনলেন আমির খান
গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
আমেরিকান এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ভয়াবহ আগুন, ডানা দিয়ে নামলেন যাত্রীরা
চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর সীমান্তে ৯ লাখ টাকার মাদক ও চোরাচালানি মালামাল জব্দ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাক্ষাৎ
৩ ম্যাচ পর মাঠে ফিরেই মেসির দুর্দান্ত গোল, কোয়ার্টারে ইন্টার মিয়ামি (ভিডিও)
মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না: তারেক রহমান