পদ্মা সেতু আমাদের সক্ষমতার প্রতীক

পদ্মা সেতু নির্মাণ এটি একটি সক্ষমতার প্রতীক বলে আমি মনে করি। নিজস্ব অর্থায়নে আমরা এটি নির্মাণ করতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রী যে সাহস করে উদ্যোগ নিয়েছেন সেটি খুব প্রশংসনীয়। সবাই প্রথমে নিরুৎসাহিত করার চেস্টা করেছিল যে এটি নিজস্ব অর্থায়নে করা হয়তো সম্ভব নয়। কিন্তু সকলের সহযোগিতায় এটি সম্ভব হয়েছে। সুতরাং এতে করে আমাদের যে একটি সক্ষমতা ক্ষেত্র তৈরি হলো, সেটি আমরা দেখাতে পেরেছি।
পদ্মার মতো একটি প্রমত্তা নদী, বিশেষ করে বলব, নদী শাসনটিও এখানে গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়। এত গভীরে পাইলিং করতে হয়েছে, যেটি প্রায় অসম্ভব ছিল। কাজেই পদ্মার উপরে ব্রিজ নির্মাণে কত গভীরে যেতে হয়েছে সেটি অনুমান করতে হলে এবং যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে, বিদেশ থেকে সেগুলো নিয়ে আসা এগুলোও এক একটি বিরাট ব্যাপার। সবাই যে ধৈর্য এবং সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন সেটি অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। তাছাড়া সবকিছু মিলিয়ে এর খরচও অনেক বেশি হবে এটিই স্বাভাবিক। অন্যসব প্রকল্পের সাথে এটিকে মিলানো ঠিক হবে বলে আমি মনে করি না। সুতরাং এটি একটি বিশাল কর্মকাণ্ড আমাদের দেশে।
এতবড় স্থাপনা এর আগে হয়নি। পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আমরা একটি সক্ষমতার স্বাক্ষর রাখতে পারলাম। সুতরাং সবদিক থেকে এটি একটি বড় অর্জন। আশা করব যে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমরা যে সুদূরপ্রসারি একটি ফলাফল লাভ করতে সক্ষম হবো। যোগাযোগের ক্ষেত্রেও একটি বড় সুবিধা আমরা লাভ করতে সক্ষম হব।
এখন সুফল লাভের জন্য আমাদেরও কিছু মূল্য দিতে হবে। আমরা সুবিধা ভোগ করব কিন্তু টাকা দিবো না, সেটিতো হতে পারে না। আমাকে ফেরি ভাড়ার সঙ্গে তুলনা করলে হবে না। টোল নিয়ে যে কথাটি বলা হচ্ছে , আমি মনে করি সেটি আপেক্ষিক বিচারে ঠিকই আছে। কারণ, আমাকেতো খরচের টাকাটা তুলতে হবে।কেউ কেউ হয়তো বলবেন, অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়বে। আসলে কিন্তু তার বিপরীতটিই হবে। অনেকে কর্মসংস্থানের ভাল সুযোগ পাবে। এখানে প্রচুর লোকের আনাগোনা হবে। এখানে একটি পর্যটন কেন্দ্রই গড়ে উঠব। সুতরাং মানুষ কাজ করার সুযোগ পাবে বেশি পরিমাণে।
সেক্ষেত্রে নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আমি মনে করি।
লেখক: নাট্যব্যক্তিত্ব
