শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫ | ২২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

শ্রীলঙ্কার লোকসংস্কৃতি ও বাঙালি

যে কোনো ভাষার লোকসঙ্গীত বা লোককাহিনির মধ্যে একটি দেশের নির্দিষ্ট জাতির বা জনগোষ্ঠীর প্রাচীন ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক স্মৃতির কথা জনমানসে চিরস্থায়ীভাবে জায়গা করে নেয়। শৈশবের স্মৃতিজুড়ে থাকে গ্রামে-গঞ্জে প্রচলিত বা প্রবীণদের মুখ থেকে শোনা অনেক লোকগান, যেগুলো রোমন্থনে মিশে থাকে গভীর আবেগ এবং নস্টালজিয়া। তবে অবাক হতে হয় যখন এক দেশের লোকগানে অন্য দেশের কথা উল্লেখ থাকে।

আমি শ্রীলঙ্কায় অধ্যয়ন করার সময় সে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা ও ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ হয়েছিল। নিজের বাংলাদেশি পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শ্রীলঙ্কার অনেকেই, বিশেষ করে প্রবীণরা আমায় কিছু লোকজ গীতির কথা বলতেন, যেখানে বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার এমন বেশকিছু লোকগান এবং লোককাহিনী জুড়ে যে বাঙালির উল্লেখ রয়েছে তা অত্যন্ত কৌতূহলোদ্দীপক। সেগুলো নিয়ে এখনো কোনো গভীর গবেষণা হয়েছে বলে জানা নেই। এ লেখায় স্মৃতি থেকে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে।

শ্রীলঙ্কায় প্রচলিত বিভিন্ন ধরনের লোকগানগুলোকে সামগ্রিকভাবে ‘জন-কাবি’ বা ‘জন-গায়ন’ অর্থাৎ লোকজ কবিতা বা লোকজ গান বলা হয়। তেমন একটি গানের নাম হচ্ছে ‘অলিন্দা কাবি’ (olinda kavi)। এর বিষয় হচ্ছে ‘অলিন্দা’ যেটি বাংলায় রত্তি, কইচ গোটা, কুঁচ, প্রভৃতি নামে পরিচিত। এই গানের প্রথম স্তবকের কথা বাংলায় অনুবাদ করলে দাঁড়ায়–

-অলিন্দা (বা রত্তি) কোন্ দেশে আছে? (অলিন্দা তিবেন্নে কয়ি কয়ি দেসে?)

-অলিন্দা আছে বাংলাদেশে (অলিন্দা তিবেন্নে বাঙালি দেসে?)

-সেখান থেকে এনে কোন দেশে চাষ করা হয়? (গেনাত হাদান্নে কয়ি কয়ি দেসে?)

-সেখান থেকে এনে চাষ করা হয় সিংহলী দেশে (গেনাত হাদান্নে সিংহলী দেসে?)

এই গানের মূল রচয়িতা কে সেটা জানা যায় না। তবে সিংহলী ভাষার লোকজ গানের সমৃদ্ধ সম্ভারের মধ্যে এটি অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। উপরের উদ্ধৃতিতে দেখা যায়, এর প্রথম স্তবকটি প্রশ্ন-উত্তরের আনুক্রমিক ধারায় সাজানো হয়েছে। শ্রীলঙ্কার নতুন বছরে আয়োজিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এখনো এই গানের সাথে নৃত্য-পরিবেশন করে উপস্থাপন করা হয় (আগ্রহীরা olinda kavi লিখে ইউটিউবে দেখতে পারেন)। বিশেষ করে প্রাথমিক বা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই এটি পরিবেশন করে থাকে। এ ছাড়াও গ্রামের বাচ্চারা রত্তির বিচি নিয়ে গুটি খেলার সময় নাকি এই গানটি গেয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে–এই রত্তি কীভাবে বাংলাদেশ থেকে শ্রীলঙ্কায় নেওয়া হলো? শ্রীলঙ্কার লোকসঙ্গীতে এটি কীভাবে জায়গা করে নিল? এর দ্বারা কি বৃহত্তর বঙ্গ এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে প্রাচীন কোনো ব্যবসায়িক সম্পর্কের কথা বলা হচ্ছে, যেটি অন্য কোনো ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ হয়নি?

এই প্রশ্নগুলোর সরাসরি জবাব দেওয়া হয়তো এখন অনেকটা দুরুহ বা বিস্তারিত গবেষণা সাপেক্ষ। তবে এটা বলা যায়–দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতিজুড়ে রত্তির ব্যাপকভাবে ব্যাবহার রয়েছে। আমরা জানি, আমাদের পূর্বজরা স্বর্ণাদি মাপার জন্যে রত্তি ব্যবহার করতেন। পক্ষাঘাত জাতীয় রোগের জন্য আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসেবেও নাকি রত্তির প্রচলন রয়েছে। প্রসঙ্গত, সিংহলী ভাষার এই গান ছাড়াও রাজস্থানের একটি লোকগানের বিষয় হচ্ছে–বিয়ের পর মেয়ে রত্তির গাছে (রাজস্থানি ভাষায় ‘ছিরমি’) উঠে দেখছে তার বাবা এবং ভাই কবে তাকে দেখতে আসবে। সুতরাং রত্তি যে উপমহাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং প্রয়োজনীয় জিনিস, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। তাই বোধ হয় শ্রীলঙ্কার অজ্ঞাতনামা এক কবিও তার দেশে রত্তি নিয়ে আসার জন্য প্রাচীন বণিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে অলিন্দা-কাবি রচনা করে বাঙালিদের চিরকালের জন্য গর্বিত করে রেখেছেন।

রত্তির মতো অন্য একটি প্রসিদ্ধ গানের বিষয় হচ্ছে বাঙালি হাতের বালা বা চুড়ি (বাঙালি-ওয়ালালু)। এই গানের লেখক প্রেমাকীর্তি দী আল্উইস। এটি তুলনামূলক আধুনিক হলেও লোকজ গানের ধাঁচেই পরিবেশন করা হয়। এই গানের প্রেক্ষাপট হচ্ছে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কিছু আবদার। বিদেশগামী স্বামীকে স্ত্রী বলছে (ভাবার্থ)–

–প্রতিজ্ঞা করো বাঙালি হাতের চুড়ি নিয়ে আসবে, (বাঙালি ওয়ালালু গেনা এন্নাই পরন্দুয়া)

–প্রতিজ্ঞা করো সিল্কের শাড়ি নিয়ে আসবে, (দুহুলেল সারি গেনা এন্নাই পরন্দুয়া)

–প্রতিজ্ঞা করো স্বর্ণের গলার হার নিয়ে আসবে, (রান্মিনি মালা পালান্দান্নাই পরন্দুয়া)

–এগুলো একসঙ্গে করার পর জাহাজে জায়গা আছে কি না দেখবে। (এয়া ইটু কেরেনা কালা নাওয়াদা ইতিন তাওয়া...)

এই গানের মধ্যেও ব্যবসায়িক প্রসঙ্গটা পরিষ্কার। এই গানটিতে শ্রীলঙ্কায় বাঙালি হাতের বালা যে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত, তা স্পষ্ট।

আমার মনে আছে, একবার ২০০৮ সালের দিকে শ্রীলঙ্কায় এক বন্ধুর বাসায় থেকেছিলাম বেশকিছু দিন। তার একটি নিজস্ব পুরনো সাদা-কালো টেলিভিশন ছিল, যেটি সে নিজেই কোথাও থেকে জোগাড় করে মেরামত করে বইয়ের শেলফে লুকিয়ে রাখে এবং গোপনেই দেখে। কারণ তার নিজস্ব টিভি রাখার অনুমতি ছিল না। সে যা-ই হোক, একদিন টিভিতে একটি নাটক চলাকালীন হঠাৎ শুনলাম নাটকের এক চরিত্র বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করছে। আমার বন্ধুকে জিজ্ঞেস করে জানলাম, তারা বাংলাদেশের ঢাকাই শাড়ির কথা বলছে। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে, শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের শাড়িরও কিছুটা কদর রয়েছে।

শ্রীলঙ্কার লোকসংস্কৃতিতে বাংলাদেশের নাম সবচেয়ে বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছে সিংহলী জাতির উৎপত্তির কাহিনিতে, যেখানে প্রাচীন বঙ্গের একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে প্রাচীন বঙ্গ রাজ্যকে শ্রীলঙ্কার সর্বপ্রথম রাজা এবং আর্য সভ্যতার প্রতিষ্ঠাতা বিজয় রাজকুমারের পিতৃভূমি হিসেবে গণ্য করা হয়। পালি ভাষায় রচিত প্রায় দেড় হাজার বছরেরও পুরাতন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রীয় ইতিহাস গ্রন্থ ‘মহাবংশ’-তে এই উপাখ্যান বিশদভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে।

সংক্ষেপে এই কাহিনির পটভূমি হলো–প্রায় আড়াই হাজার বছরেরও বেশি সময় পূর্বে বিজয় রাজকুমারের পিতামহ ছিলেন বঙ্গের রাজা। তিনি প্রাচীন কলিঙ্গ (তথা বর্তমান উড়িষ্যা) রাজ্যের এক রাজকুমারীকে বিয়ে করেন। তার মেয়ে রাজকীয় অতিরঞ্জিত জীবনের বাইরে স্বাধীনভাবে বাঁচার জন্য রাজপ্রাসাদ থেকে পালিয়ে যান। তাকে সিংহ নামের এক দস্যু (মতান্তরে সিংহ আসলেই প্রাণী ছিল) বন্দি করে জোরপূর্বক বিবাহ করে। সিংহের এক গুহায় বন্দি অবস্থাতেই রাজকুমারী একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন। ছেলের নাম করা হয় সিংহবাহু (পালিতে সীহবাহু) এবং মেয়ের নাম করা হয় সিংহশীবলী (পালিতে সীহসীবলি)। তারা পূর্ণবয়স্ক হওয়ার পর তাদের মা নিজের অতীতের কথা তাদেরকে বলেন।

এরপর সিংহবাহু তার মা এবং বোনকে সিংহের গুহা থেকে মুক্ত করে বঙ্গরাজ্যে নিয়ে আসেন। পরবর্তীকালে সিংহবাহু এবং সিংহশীবলী না কি তৎকালীন সমাজের রীতি ও নিয়ম অনুসারে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদেরই সন্তান রাজকুমার বিজয়।

রাজকুমার বিজয় তেমন ভালো স্বভাবের ছিলেন বলা যাবে না। তার বন্ধুদের নিয়ে সে ঘুরে বেড়াত এবং যেখানে সেখানে বিশৃঙ্খল আচরণ করত। রাজ্যের মানুষ, বিশেষ করে রমণীরা তার দলের কাছে হয়রানির শিকার হয় বারবার এবং অনন্যোপায় হয়ে তারা রাজাকে নালিশ করতে থাকেন। ন্যায়নিষ্ঠ রাজা গত্যন্তর না দেখে বিজয় এবং তার দলকে নির্বাসিত করেন রাজ্য থেকে। নির্বাসন প্রাপ্ত রাজকুমার ও তার সঙ্গীরা জাহাজে ভারত সমুদ্রে যাওয়ার পথে লঙ্কা দ্বীপ আবিষ্কার করে। অনেকটা ক্রিস্টোফার কলম্বাসের এমেরিকা আবিষ্কারের মতোই! দূর থেকে দ্বীপের বালির রং দেখতে তাম্রবর্ণের ছিল বলে তারা এই দ্বীপটিকে তাম্রপর্ণী নামকরণ করেন। এটাই শ্রীলঙ্কার প্রাচীন নাম। প্রাচীন গ্রিক ঐতিহাসিকেরাও শ্রীলঙ্কাকে ‘তাপ্র-বেন’ নামে চিহ্নিত করেছেন।

তখনও পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় যক্ষ জনগোষ্ঠীই মূলত বসবাস করতেন বলে ধারণা করা হয়। যক্ষদের কুবেণী নামের একজন মেয়ের সাথে রাজকুমার বিজয়ের সম্পর্কও হয়েছিল। অনেকেই মনে করেন যে বর্তমানের বেদ্দা সম্প্রদায়ের লোক সেই প্রাচীন যক্ষদের বংশধর। বিজয় অবশ্যই পরবর্তীতে কুবেণীকে ত্যাগ করেন এবং কলিঙ্গ রাজ্য থেকে অন্য রাজকুমারীকে বিয়ে করেন।

এই কাহিনি শতভাগ সত্যতা নিশ্চিত করা এখন দুরূহ। তখনকার বঙ্গরাজ্য বর্তমানের কোন অঞ্চলে অবস্থিত সে বিষয়েও মতান্তর রয়েছে। তবে শ্রীলঙ্কার মানুষেরা এখনো দৃঢ় বিশ্বাস করেন যে, বিজয় এবং তার সঙ্গীরাই সিংহলী জাতির আদি পুরুষ। বিভিন্ন সময় শ্রীলঙ্কার কূটনীতিকরাও বাংলাদেশ ভ্রমণে এসে এই কাহিনির উল্লেখ করে এবং বাঙালি ও সিংহলি মানুষের গভীর ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথাও ব্যক্ত করেছেন। রাজকুমার বিজয়ের লঙ্কা বিজয় নিয়ে শ্রীলঙ্কায় যুগে যুগে অনেক কাব্য, গল্প, মঞ্চ নাটক, এবং সিনেমা তৈরি হয়েছে। তার সঙ্গে উজ্জ্বল হয়ে আছে প্রাচীন বঙ্গের নাম, যেটি আধুনিক বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতিকে আনন্দিত ও গর্বিত করে। এই কাহিনি এবং উপরে আলোচিত লোকগানগুলো দুদেশের মানুষের মধ্যে অকৃত্রিম বন্ধুত্ব স্থাপনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।

লেখক: পিএইচডি গবেষক, এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র

এসএ/

Header Ad
Header Ad

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হলেন সেনাপ্রধান

পদক গ্রহণ করছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনালের ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট পদে ভূষিত করা হয়েছে। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জনগণের সার্বিক উন্নয়নে, বিশেষ করে চিকিৎসা খাতে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকৃতি প্রদান করেই তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় আইএসপিআর।

আইএসপিআর জানায়, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফর শেষে আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান। সফরকালে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি কন্টিনজেন্টসমূহ ও বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সেনাবাহিনী প্রধানকে অবহিত করা হয়। এ সময় তিনি তাঁর মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সেনাবাহিনী প্রধান স্পেশাল রিপ্রেজেনটেটিভ অব দ্য সেক্রেটারি জেনারেল ভ্যালেন্টাইন রুগাবিজা এবং ফোর্স কমান্ডার লে. জেনারেল হামফ্রে নায়নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক্যান ফোর্স (এফএসিএ) এর প্রধান জেনারেল মামাদু জেফিরিনের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধান দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এবং সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক শান্তিরক্ষী মিশনের অধীনে বেসামরিক লোকদের সহায়তার অংশ হিসেবে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এ নির্মিত তোয়াদেরা কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন। এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট ফসটিন আরচেঞ্জ তৌদেরার সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জনগণের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রেসিডেন্ট সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাবাহিনী প্রধানকে সম্মানসূচক রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত করেন।

এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের বাংগি এলাকায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কন্টিনজেন্টসমূহ পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের এ সফর সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারের পাশাপাশি সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে আশা করা যায়।

উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী প্রধান গত ৩ মার্চ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফরে যান।

Header Ad
Header Ad

তৃতীয় বিয়ে করলেন অভিনেতা মিলন, পাত্রী কে?

অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন ও তার স্ত্রী শিপা। ছবি: সংগৃহীত

আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ছোট ও বড়পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। প্রায় এক মাস আগেই ভালোবাসার মাস ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে সারেন এ অভিনেতা।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। মিলন ও তার স্ত্রীকে দেখতে অভিনেতার বাড়ি থেকে ৫টি ছবি পোস্ট করেন তিনি।

পোস্ট করা ছবির ক্যাপশনে বিবাহিত জীবনের জন্য শুভকামনাও জানান চয়নিকা। শুধু যে চয়নিকা নব দম্পতিকে দেখতে গিয়েছিলেন এমন নয়। ছোট পর্দার অনেক অভিনয়শিল্পীই আজ মিলনের বাড়ি হাজির হন নতুন বউ দেখতে।

জানা যায়, মিলনের স্ত্রীর নাম শিপা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগামে দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, অভিনেতার প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল লুসি গোমেজ। ১৯৯৯ সালে তাদের বিয়ে হয়। ২০১৩ সালে তাদের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘটে। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী পলির সঙ্গে মিলনের বিয়ে ও চার বছরের সংসার জীবনের গুঞ্জন শোনা গেলেও তা অস্বীকার করে আসছিলেন অভিনেতা।

তবে ২০১৩ সালের অক্টোবরে শ্রীলঙ্কায় স্ত্রী-পুত্র সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছবি প্রকাশ করেন আনিসুর রহমান মিলন। সেই ছবি থেকে জানা যায়, তার স্ত্রীর নাম পলি আহমেদ এবং সন্তানের নাম মিহ্রান।

এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পলি আহমেদকে বিয়ে করেন। যিনি ২০২২ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

Header Ad
Header Ad

ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা

ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন ও প্রায় ৫৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়া ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে দুদক কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে এদিন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সোহানুর রহমান বাদি হয়ে লাক মিয়ার নামে মামলা করেন।

মামলার এজহারে বলা হয়, লাক মিয়া চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫৫ কোটি ২৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৫১ টাকা মূল্যের সম্পত্তির মালিকানা অর্জনপূর্বক দখলে রাখে।

তার নামে ৪৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৫০১ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করে। যার কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এদিকে একই অভিযোগে লাক মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধেও মামলা করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান।

মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধে করা মামলার এজহারে বলা হয়, স্বামীর সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ ২৩ হাজার ১৯৭ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অসাধু উপায়ে অর্জনপূর্বক দখলে রেখে এবং ১৪টি ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪৬১ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ১৪৬ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রুপান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হলেন সেনাপ্রধান
তৃতীয় বিয়ে করলেন অভিনেতা মিলন, পাত্রী কে?
ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা
লাইফ সাপোর্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক
যশোর সীমান্ত থেকে ৫ কোটি ১২ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ
অনেক কো-আর্টিস্ট, ডিরেক্টর তখন আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না: প্রভা
ভয়াবহ দাবানলের কবলে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, ২০ স্থানে ছড়িয়েছে আগুন (ভিডিও)
নাগরিক পার্টি ছাড়লেন আবু হানিফ, ফিরে গেলেন গণ অধিকার পরিষদে
প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
রোজায় বেড়েছে আনারসের চাহিদা, দ্রুত পাকাতে রাসায়নিক ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি
সন্তানের জন্য ‘ডন থ্রি’ সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ালেন কিয়ারা
অস্থিরতার কারণে এ বছর নির্বাচন কঠিন হবে: রয়টার্সকে নাহিদ ইসলাম
চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলেন মির্জা ফখরুল
বিয়ে বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে বরের মৃত্যু
মুশফিক অযু ছাড়া ব্যাট-বল স্পর্শ করতেন না: মুশফিকের স্ত্রী
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে ভারত, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও ভালো উন্নতি বাংলাদেশের
ছাত্র-জনতা কোথাও অভিযান চালাতে পারে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফ্রান্সে মুসলিম খেলোয়াড়দের রোজায় নিষেধাজ্ঞা
স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন আবরার ফাহাদসহ ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি
রাবিতে সভাপতি নিয়োগ নিয়ে দুই পক্ষের ধস্তাধস্তি