স্বাধীনতা পুরস্কার কেলেংকারি
হামজার ছেলে তথ্য গোপন করেছে: বাণিজ্য সচিব
বিতর্কের মুখে ২০২২ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহার করে নেওয়া কথিত সাহিত্যিক মো. আমির হামজার তথ্য তার ছেলেই গোপন করেছিলেন। এমনটাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
স্বাধীনতা পুরস্কার কেলেংকারির ঘটনায় তপন কান্তি ঘোষকে চিঠি দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানতে চেয়েছিল সাহিত্যে পুরস্কার পাওয়া কথিত সাহিত্যিক আমির হামজার বিষয়ে তিনি কেন তথ্য গোপন করেছেন। গত ২০ মার্চ দেওয়া ওই চিঠিতে দ্রুততম সময়ে মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশনা দিয়েছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এর আগে স্বাধীনতা পুরস্কার কেলেংকারির ঘটনায় কারা কারা জড়িত, কেন পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তির তথ্য গোপন করা হয়েছিল-এসব বিষয়ে তদন্তের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক গত ১৮ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: আমির হামজার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিল
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিঠি প্রাপ্তির ১১ দিনের মাথায় বুধবার (৩০ মার্চ) দেওয়া জবাবে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, আমির হামজার ছেলে খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মো. আসাদুজ্জামান স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য তার বাবার নাম প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু আমির হামজা যে দণ্ডপ্রাপ্ত একজন আসামি ছিলেন সেই তথ্য গোপন করেছিলেন।
বাণিজ্য সচিব তার জবাবে জানান, আসাদুজ্জামানের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে তিনি শুধু সুপারিশ করেছিলেন। তিনি কোনা তথ্য যাচাই করেননি।
এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একজন স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য তারা বাবার নাম প্রস্তাব করল, আর সচিব সেটি ন্যুনতম যাচাইবাছাই না করে সেই প্রস্তাবে সুপারিশ করেছেন, এটা খুবই দুঃখজনক। একজন সচিব যদি স্বাধীনতা পুরস্কারের গুরুত্ব অনুধাবন করতে না পারে, দায়িত্ব নিয়ে প্রস্তাবিত ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য যাচাইবাছাই না করেন তাহলে তো পুরস্কার বিতর্কিত হবে।
আরও পড়ুন: সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া আমির হামজা কে?
প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ সরকার ২০২২ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিদের নাম ঘোষনা করে। মন্ত্রিপরিষদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ওইদিন এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে।
তাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১০ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। যেখানে সাহিত্যে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয় মো. আমির হামজাকে।
তার নাম আসার পর পরই তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এ নিয়ে ঢাকাপ্রকাশ প্রথম রিপোর্ট প্রকাশ করে। তুমুল বিতর্কের মধ্যে সরকার ১৮ মার্চ আমির হামজার পুরুস্কার প্রতাহর করে নেয়।
এনএইচবি/এমএমএ/