‘ভালো মানের সবজির’ প্রচার মেলায়
দেশেই বিভিন্ন পদের ভালো সবজির চাষ হয়। কিন্তু প্রচারের অভাবে অনেকে জানেন না। এতে বিক্রিও কম হয়। তাই ভোক্তাদের জানাতেই বা মার্কেটিং করতে সবজি মেলায় আসা। বাজারের চেয়ে কম দামেই মেলায় ক্যাপসিক্যামসহ বিভিন্ন দেশীয় সবজি ও বরই ফল বিক্রি করা হচ্ছে। জাতীয় সবজি মেলায় এভাবেই নিজের অভিমত প্রকাশ করেন ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার মুকসুদপুরের স্বপ্না অ্যাগ্রো ফার্মের নুরুদ্দিন মান্নান। শুধু এই নুরুদ্দিনই নয়, এসিআই লিমিটেডের মতো বড় বড় কর্পোরেট কোম্পানিও নিজেদের পণ্য সম্পর্কে জানাতে মেলায় এসেছে।
রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) চত্বরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে সোমবার তিন দিনব্যাপী জাতীয় সবজি মেলা শুরু হয়েছে। নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত করতে তথা পুষ্টিসমৃদ্ধ শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদনে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় ষষ্ঠবারের মতো এই মেলার আয়োজন করেছে। যা আগামীকাল (২ মার্চ) পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে সবজি মেলা।
মেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, তুলা উন্নয়ন বোর্ডসহ সরকারি-বেসরকারি ৫২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এই মেলার উদ্বোধন করেন। মেলায় শুধু সবজি উৎপাদনকারিরাই অংশ নেননি, বিভিন্ন ফার্মের ব্যবসায়ীরাও অংশ নিয়েছেন। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো এসিআই লিমিটেডের মতো কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন দেশি জাতের সবজির বাজার সম্পর্কে অবহিত করতে অংশ নিয়েছে।
মেলায় বিভিন্ন সবজির সঙ্গে ফল ও মধুর স্টলও অংশ নিয়েছে। মেলার দ্বিতীয় দিনে ব্যাপক দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। মিরপুর থেকে আসা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মেলায় পরিবার নিয়ে এসেছি। কিছু কিনব মনে করেছি। তবে এদিক-সেদিক ঘুরছি। বিভিন্ন স্টল দেখে ভালোই লাগছে। বিভিন্ন সবজির সমাহার। ঘুরেফিরে কিছু কিনব।’
মেলায় এসিআই সিডের পোর্টফলিও ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘শুধু বিক্রি নয় দর্শনার্থী থেকে গ্রাহকদের কোয়ালিটি সম্পন্ন সবজির বীজ উৎপাদন করে। সে সম্পর্কে অবহিত করতেই মেলায় আসা। কারণ এসিআই সিড লাউ, মিষ্টি কুমড়া, টমেটোসহ ১১০টি জাতের ৩৯টি ফসলের বীজ উৎপাদন করে বাজারে সরবরাহ করে। যা খুবই ভালো মানের। এছাড়া ৩৭টি জাতের ১২টি সবজির বীজ বাজারে সরবরাহ করে। এছাড়া আলুর ৯টি নিজস্ব জাতও বাজারে আনা হয়েছে। আরও ১৫টি উদ্ভাবিত জাত বাজারে আনার অপেক্ষায় রয়েছে।
এই কৃষিবিদ আরও বলেন, ‘বিদেশ থেকে আমদানি না করে দেশের ভালো মানের বীজ ব্যবহার যাতে চাষিরা করেন। এতে একদিকে আমদানি কমবে অন্যদিকে কম দামে ভালোমানের বীজ পাবেন কৃষকরা।’
তুলা উন্নয়ন বোডের কামাল উদ্দিন বলেন, ‘মেলায় প্রচুর দর্শনার্থী আসছেন। কারণ তুলার ব্যাপক ব্যবহার বাড়ছে। এছাড়া তুলা বাগানে সাথী ফসল নামে দুই ফসল উৎপাদন করা হচ্ছে। তা জানতেই বেশি দর্শনার্থীরা আসছেন মেলায়।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক কৃষিবিদ মাহবুবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘পাহাড়ি অঞ্চল থেকে উত্তরবঙ্গের ভালোজাতের বিভিন্ন সবজি আনা হয়েছে মেলায়। উদ্দেশ্য দর্শনার্থীদের ও ভোক্তাদের জানানো। যাতে তারা চাহিদা অনুযায়ী কিনতে পারেন।
জেডএ/আরএ/