কৃষির উন্নয়নে ৫০ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনলজি প্রজেক্ট (এনএনটিপি) নামের একটি প্রকল্প আছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন গবেষণা, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও প্রযুক্তি সহায়তা করা হয়। এই প্রকল্পটি ২০২৩ সালের জুনে শেষ হবে। বাংলাদেশে সরকার অনুরোধ করেছিল যেন এই প্রকল্প শেষ হলে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকে।’
এই অনুরোধে ৫০ কোটি ডলারের যৌথ প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'মূল বিষয় হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তেনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উৎপাদন বাড়াতে হবে। মানুষ বাড়ছে, সে অনুযায়ী উৎপাদন না বাড়াতে পারলে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে হবে।'
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বৈঠক করেন বিশ্ব ব্যাংকের গ্লোবাল পরিচালক (কৃষি ও খাদ্য) মার্টিন ভ্যান নিউকোপ। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করে কৃষি উৎপাদনের উন্নয়ন ঘটাতে নতুন একটি প্রকল্পে ৫০ কোটি ডলার অর্থায়নের বিষয়ে ওই বৈঠকে বিশ্ব ব্যাংক পরিচালক প্রতিশ্রুতি দেন। বৈঠক শেষে এ কথা সাংবাদিকদের জানান কৃষিমন্ত্রী।
আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতার প্রশংসা করে বলেন, 'আমাদের উন্নয়নের অন্যতম সহযোগী বিশ্ব ব্যাংক বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে তাদের ভূমিকা রেখে চলছে। প্রায় সব মন্ত্রণালয়ে বিশ্ব ব্যাংকের কর্মসূচি রয়েছে।'
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব অনেক বেশি। দেশের ৪০ শতাংশ মানুষের জীবিকা কৃষি নির্ভর। শিল্পের কাঁচামালেও কৃষির ভূমিকা রয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই নতুন প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানান হয়, বিশ্ব ব্যাংক ও বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ দল মিলে প্রতি সপ্তাহে বৈঠক করবে। সেই বৈঠকে প্রকল্পের কর্ম পরিসীমা নির্ধারণ করা হবে। যত দ্রুত প্রকল্প চূড়ান্ত করা হবে, তত দ্রুত অর্থ ছাড় করবে বিশ্ব ব্যাংক।
তিনি বলেন, নতুন অর্থায়ন থেকে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি বেসরকারি খাদ্য প্রক্রিয়াজাত কোম্পানিগুলোকে ঋণ দেওয়া হবে। আমাদের চলমান কর্মসূচিগুলো তারা দেখেছে। অ্যাগ্রো প্রসেসিং ও অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিতে বেসরকারি খাতকে যুক্ত করতে চাচ্ছে তারা। স্কয়ার, এসিআই, প্রাণ, মেঘনা গ্রুপের মত প্রতিষ্ঠানগুলো এই প্রকল্পে থাকবে।
বিশ্ব্য বাংক পরিচালক নিউকোপ বলেন, 'আমরা সাপ্লাই চেইনে গ্রামের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বড় কোম্পানিগুলোর সংযোগ ঘটানোর কাজটি করব। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আক্রান্ত এলাকায় সহযোগিতা থাকবে।'
এনএইচবি/এএস