মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশের গবাদিপশুর রোগ নির্মূলে সরকার কাজ করছে

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু

‘বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি)’র প্রশিক্ষণ ভবনের অডিটোরিয়ামে গবাদিপশুর জুনোটিক রোগ, টিউবারকুলোসিস (টিবি) ও ক্যামপাইলোব্যাকটেরিওসিস’র ঝুঁকি কমাতে একটি গবেষণা কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২) দুপুর ১২টায় ‘বাংলাদেশের নির্বাচিত কয়েকটি জেলার ডেইরি ফার্মে ‘জুনোটিক, যক্ষা ও ক্যামপাইলোব্যাকটেরিওসিস রোগ বিষয়ক গবেষণা’ কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়েছে।

মূল প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেছেন প্রকল্পের সমন্বয়ক, প্রধান গবেষক ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)’র ‘মাইক্রোবায়োলজি ও হাইজিন’ বিভাগের অধ্যাপক ড. এস. এম. লুৎফুল কবির।

শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেছেন কো-প্রকল্প পরিচালক আইএলএসটি (ইন্সটিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি)’ নেত্রকোনার প্রিন্সিপাল ড. মোহাম্মদ জাকির হোসেন।

প্রকল্পটির সমন্বয়ক ও প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. এস. এম. লুৎফুল কবির জানিয়েছেন, ‘আমাদের প্রকল্পের মাধ্যে ঢাকা ও ময়মনসিংহের মোট ৩শটি খামারে বিভিন্ন ধরণের গবেষণাকর্ম সম্পন্ন করা হয়েছে। অঞ্চল দুটির ডেইরি ফার্মিংয়ে জুনোটিক, যক্ষা ও ক্যামপাইলোব্যাকটেরিওসিস রোগগুলোর সম্ভাব্য ঝুঁকি চিহ্নিত করা হয়েছে। এই তিনটি রোগের জুনোটিক ইমপ্যাক্ট ও ইকোনোমিক ইমপ্যাক্ট নির্ণয় করা হয়েছে। আমাদের প্রাপ্ত ফলাফল এই জুনোটিক রোগগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও খামারিদের অর্থনৈতিক ক্ষতি কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।’

বাকৃবির মাইক্রোবায়োলজি ও হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক গবাদিপশুর যক্ষা ও ক্যামপাইলোব্যাকটা রোগের জীবাণুর বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে টিকা তৈরির পরিকল্পনা করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন।

ড. এস. এম. লুৎফুল কবির বলেছেন, ‘ক্যাম্পাইলোব্যাকটেরিওসিস ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। গবাদিপশুর ডায়রিয়া ও গর্ভপাতের সৃষ্টি করে। আক্রান্ত গাভীর দুধ ও মলের মাধ্যমে সুস্থ পশুতে সংক্রমিত হয়।’

‘জুনোটিক, যক্ষা ও ক্যামপাইলোব্যাকটেরিওসিস রোগ বিষয়ক গবেষণা’ প্রকল্পের প্রধান আরো বলেছেন, ‘টিবি-ও গবাদিপশুর ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। এই রোগে গবাদিপশুর উৎপাদন ক্ষমতা বহুলাংশে কমে যায়। তারা খামারিদের আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়। রোগটি গবাদিপশু থেকে এমনকি মানুষের মধ্যেও সংক্রমিত হয়।’

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), আইসিডিডিআরবি (ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ) ও কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) মিলে কর্মশালাটির আয়োজন করেছে।

তিন বছর মেয়াদী প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করেছে ‘কেজিএফ’।

আইসিডিডিআরবির প্রধান ইনভেস্টিগেটর ড. মো. জিয়াউর রহিমের সভাপতিত্বে ও প্রকল্পটির কো-প্রকল্প পরিচালক এবং বাকৃবির ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদুল হাসান শিকদারের সঞ্চালনায় কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএলএস (ডিপাটমেন্ট অব লাইভস্টক সাভিসেস)’র মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মকবুল হোসেন, কেজিএফের পরিচালক ড. নাথুরাম সরকার, কেজিএফ’র নির্বাহী পরিচালক ড জীবনকৃষ্ণ বিশ্বাস।

আরো ছিলেন বাকৃবির মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান।

ডিএলএসের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা জানিয়েছেন, ‘বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস পালনের এই দিনে আমাদের এই কর্মশালা খুবই গুরুত্ববহ। কেননা, বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন খাদ্য নিরাপত্তা প্রয়োজন। এজন্য সরকারের পাশাপাশি সবাই মিলে কাজ করতে হবে। খামারিদের রোগ-বালাই প্রতিরোধে আমাদের দেশের গবেষকরা কাজ করছেন। ফলে ভালো, ভালো অনেক গবেষণা হচ্ছে।’

ডিএলএসের মহাপরিচালক বলেছেন, ‘এখন আর কোরবানির সময় এখন গবাদিপশুর অভাব হয় না। বাইরের কোনো জায়গা থেকে পশু আমদানীও করতে হয় না। এও প্রমাণ করে-বাংলাদেশ মাংস, দুধ, ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চলেছে। এখন আমরা রপ্তানির দিকে চলে যেতে হবে। সেটি হচ্ছেও। খামারিরা এই বিপ্লবের নায়ক। পরিমাণ বাড়াতে আমরা কাজ করছি।’

ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা জানিয়েছেন, ‘২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে গবাদিপশুর রোগগুলো চিরতরে নির্মূলে আমরা কাজ করছি।’

কেজিএফের পরিচালক ড. নাথুরাম সরকার বলেছেন, ‘তৃণমূল খামারিরা সরাসরি উপকৃত হবেন-এই পরামর্শগুলো এই কর্মশালার মাধ্যমে আমরা সবাই গ্রহণ করতে ও ছড়িয়ে দিতে পারি। আমি আশা করি-বাংলাদেশের প্রাণীসম্পদ খাত এ ধরণের গবেষণায় আরো এগিয়ে যাবে।’

‘জুনোটিক, যক্ষা ও ক্যামপাইলোব্যাকটেরিওসিস রোগ বিষয়ক গবেষণা’ কর্মশালায় আরো আলোচনা করেছেন বাকৃবির মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘সারাবিশ্ব যখন অর্থনীতিতে বিপর্যস্ত, তখন আমাদের মাতৃভূমি দুর্দান্তভাবে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশের গ্রামীণ কৃষি এগিয়ে চলছে অনেক ভালোভাবে। ঘরে, ঘরে সবাই পশু পালন করছেন বলে তাদের জন্য পশুচিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।’

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, লাইভস্টকের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা, গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর গবেষকরা। তারা ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তারা, খামারিরা উপস্থিত ছিলেন। বিপুল সংখ্যায় অনলাইন, ফেইসবুক মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন। 

ওএস।

Header Ad
Header Ad

বিদ্যুৎ খাতে ১৫ বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকার লুটপাট

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিদ্যুৎ খাতকে কেন্দ্র করে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দ্রুত সরবরাহ আইন (কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট আইন) প্রণয়ন করে দায়মুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে এই খাতে লুটপাটের মডেল তৈরি হয়। গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনায় ঘুষ, কমিশন, এবং অপ্রয়োজনীয় সক্ষমতার কারণে জনগণের ওপর ৭২ হাজার কোটি টাকার বোঝা চাপানো হয়েছে।

২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৫,৭০০ মেগাওয়াট থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৩২,০০০ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। এ সময়ে শতাধিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে বেশিরভাগ প্রকল্প দ্রুত সরবরাহ আইনের আওতায় অনুমোদন পাওয়ায় উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার সুযোগ বন্ধ ছিল।

বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে ৩০ থেকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার দুর্নীতির মাধ্যমে লুট হয়েছে।

মহাপরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ৩০,০০০ মেগাওয়াট ধরা হলেও, পরে এই লক্ষ্যমাত্রা ৪০,০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়। চাহিদার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করায় অপ্রয়োজনীয় সক্ষমতা তৈরি হয়। এই অতিরিক্ত সক্ষমতার জন্য ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বাবদ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার অপচয় হয়েছে।

বিশেষজ্ঞ ম. তামিম বলেছেন, “উচ্চমাত্রার লক্ষ্য নির্ধারণ করে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এর ফলে জনগণের কাঁধে ভাড়া ও অন্যান্য ব্যয়ের বোঝা চেপেছে।”

শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন নির্মাণ এবং মিটার কেনাকাটায় বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তবে এসব খাতে দুর্নীতির বিস্তারিত চিত্র এখনও স্পষ্ট নয়।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিদ্যুৎ খাতে এ ধরনের দুর্নীতি অর্থনীতিতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সরকারের উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের ফলে জনগণকে অযৌক্তিকভাবে অতিরিক্ত ব্যয় বহন করতে হয়েছে।

প্রস্তাবিত সমাধান:

- বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি কমাতে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে প্রকল্প অনুমোদন।
- দায়মুক্তি আইন বাতিল করে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
- শ্বেতপত্রে বিস্তারিত তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ।
- অপ্রয়োজনীয় সক্ষমতা বন্ধ এবং বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ।

বিদ্যুৎ খাতের এই সংকট উত্তরণে জনসাধারণ, বিশেষজ্ঞ এবং গণমাধ্যমের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

Header Ad
Header Ad

সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক আটক

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মো. নাজির উদ্দিন কার্তিক (২৫) আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে নওগাঁ ব্যাটালিয়নের (১৬ বিজিবি) বিজিবি সদস্যরা গোমস্তাপুর উপজেলার কেতাব বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।

আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ১৬ বিজিবির গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

নওগাঁ ব্যাটালিয়নের (১৬ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার বাংগাবাড়ি বিজিবির নিয়মিত টহল দল মঙ্গলবার সকালে সীমান্ত পিলার ২০৪/এমপি হতে আনুমানিক ১ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যান্তরে কেতাব বাজার এলাকায় টহল পরিচালনা করছিলেন। টহল দেওয়ার সময় একজন ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে বিজিবির সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অসংলগ্ন বক্তব্য দিতে থাকেন। পরে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি স্বীকার করেন তিনি ভারতীয় নাগরিক। ওই ব্যক্তির ভাষ্যমতে তাঁর নাম, নাজির উদ্দিন কার্তিক। তিনি ভারতের বিহার রাজ্যের কাঠিয়ার জেলার আবাদপুর থানার গাবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। তল্লাশী করে ওই ব্যক্তির কাছ ভারতীয় ১০ রুপি এবং বাংলাদেশী ২৫০ টাকা পাওয়া গেছে। তাঁর কাছ থেকে কোনো পাসপোর্ট বা বৈধ ডকুমেন্ট পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে আটক পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রম চলমান আছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশি জানলেই হয়রানি

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় ভ্রমণ ও চিকিৎসার কাজে যাওয়া বাংলাদেশিরা সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এবং বিজেপি সমর্থকদের লংমার্চ কর্মসূচি ঘিরে এই হয়রানির মাত্রা বেড়ে গেছে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) থেকে আগরতলায় হোটেল ভাড়া না পেয়ে বাংলাদেশি পর্যটকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বাসিন্দা ফরিদ মিয়া জানান, হোটেল ভাড়া নেওয়ার পর মুসলিম এবং বাংলাদেশি হওয়ায় তাকে এক ঘণ্টার মধ্যেই হোটেল থেকে বের করে দেওয়া হয়। টাকা ফেরত না পেয়ে তিনি বাধ্য হয়ে শহরের বাইরে আত্মীয়ের বাড়িতে রাত কাটান এবং পরদিন দেশে ফিরে আসেন।

আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে বাঁশের বেড়া দিয়ে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সীমান্ত পারাপারের সময় বাংলাদেশিদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করা হচ্ছে। আখাউড়া স্থলবন্দরে ফিরে আসা যাত্রীরা জানিয়েছেন, সীমান্তে বাংলাদেশিদের হুমকি ও হয়রানির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান শিলচরে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ারে জামদানি শাড়ির একটি স্টল দিয়েছিলেন। সেখানে একদল যুবক "জয় শ্রী রাম" স্লোগান দিয়ে তার দোকানে হামলা চালায়। হামলাকারীরা দোকান ভাঙচুর করে এবং সমস্ত টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে যায়।

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি অতিরিক্ত সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাবের বিন জব্বার জানিয়েছেন, সীমান্তে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশিরা এমন হয়রানি ও বৈষম্যমূলক আচরণের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এর সমাধানের জন্য দুই দেশের সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা নিরসনে কূটনৈতিক পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিদ্যুৎ খাতে ১৫ বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকার লুটপাট
সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক আটক
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশি জানলেই হয়রানি
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গোলামি করতে স্বাধীনতা অর্জন করিনি: সোহেল তাজ
মাইক্রোসফটের সমীক্ষায় ভুয়া খবর ছড়ানোর শীর্ষে ভারত
আগরতলার বাংলাদেশ হাইকমিশনে কনস্যুলার সেবা বন্ধ
একটি ইস্যু দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক মূল্যায়ন করা যাবে না : ভারতীয় হাইকমিশনার
জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা মমতা বোঝেন কিনা, নিশ্চিত নই: শশী থারুর
যমুনার চর কেটে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ
২০২৩ সালে সর্বোচ্চ দুর্নীতি পাসপোর্ট, বিআরটিএ ও আইনশৃঙ্খলায়
শেখ হাসিনার পতন কোনোভাবেই মানতে পারছেন না ভারত : রিজভী
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে জরুরি তলব
সেনাবাহিনীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, এসএসসি পাসেই আবেদনের সুযোগ
এস আলম পরিবারের ৩৫০ ব্যাংক হিসাবের সন্ধান
২৮ বিয়ে প্রসঙ্গে যা বললেন নায়িকা রোমানা
বাংলাদেশিদের সেবা দেবে না ত্রিপুরার কোনো হোটেল–রেস্তোরাঁ
ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন
‘বাংলাদেশি কনস্যুলেটে হামলা প্রতিবেশীদের মধ্যে বিবাদের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে’
বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলায় ৩ পুলিশ বরখাস্ত, গ্রেপ্তার ৭