ইউটিউব দেখে ‘ব্ল্যাক রাইস’ ধান চাষে সাফল্য নাহিদের
ইউটিউব দেখে শখের বসে ভিয়েতনাম ওষুধি এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ‘ব্ল্যাক রাইস’ ধান ৫০ শতাংশ জমিতে চাষ করে দারুণ সফল হয়েছেন টাঙ্গাইলের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মো. নাহিদ মিয়া (২৩)। তার বাড়ি জেলার বাসাইল উপজেলা পৌরসভার পশ্চিম পাড়া গ্রামে। তিনি নাছির উদ্দিনের ছেলে ও সরকারি সা’দত কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্র।
তরুণ উদ্যোক্তা নাহিদ মিয়া বলেন, ইউটিউবের মাধ্যমে ব্ল্যাক রাইস জাতের ধানে চাষাবাদের বিষয়ে জানতে পারি ও বিস্তারিত জানি। পরে অনলাইনের মাধ্যমে ব্ল্যাক রাইস ধানের বীজ ৫০০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি ধান এবং বীজ ২ হাজার ৫০০ টাকায় সংগ্রহ করি। জমিতে হাল চাষ, কীটনাশক ও শ্রমিক খরচ মিলিয়ে ৫০ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করতে মোট খরচ হয়েছে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। ৯০ থেকে ৯৫ দিনের মধ্যে ধান ঘরে তোলা যায়।
তিনি আরও বলেন, কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি শখের বসে এই ধান প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করেছি। আর প্রথমবারেই সফল হতে পেরেছি। ভিয়েতনাম দেশের ধান ভালো ফলন হয়েছে। আশা করছি ৫০ শতাংশ জমিতে ৪০ থেকে ৪৫ মণ ধান হবে। আগামী বছর আরও বেশি জমিতে ‘ব্ল্যাক রাইস’ ধান চাষ করব। নাহিদের ধান চাষের এমন সফলতায় এলাকায় অনেক তরুণ, যুবক ও কৃষকরাও ধান চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
স্থানীয় কৃষক কাদের ও রহিজ উদ্দিন বলেন, ব্ল্যাক রাইস বা কালো ধানের নাম আগে কখনো শুনেনি ও ধান দেখেনি। এবারই প্রথম দেখলাম। ধানগুলো পরিপক্ক ও পাকতে শুরু করেছে। সাধারণ ধানের চেয়ে প্রায় দেড় গুণ ফলন ভালো হয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে দেখতে আসছে ও তার থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন। কম খরচে বেশি ফলন হওয়ায় তরুণ উদ্যোক্তা নাহিদের থেকে এই ধানের বীজ সংগ্রহ করে আগামীতে আমরাও ব্ল্যাক রাইস জাতের ধান চাষ করব।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার শাহজাহান আলী বলেন, জানতে পেরেছি যে এক তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা এই প্রথম উপজেলায় ব্ল্যাক রাইস নামে ধান চাষ করেছেন। বিষয়টি খুব ভালো উদ্যোগ। ব্ল্যাক রাইস বা কালো ধানের এই জাত আমাদের দেশে সরকারিভাবে তালিকাভুক্ত না। তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা ধান চাষি নাহিদকে অফিসে ধানের নমুনা নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। ধান চাষে তাকে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক সহায়তাসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
এসআইএইচ