এসিআই জাতের আলু উৎপাদনে কৃষকের মুখে হাসি
জয়পুরহাটে প্রতিবছর স্ক্যাবসহ অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাবে কৃষকদের আলু চাষে লোকসান গুনতে হয়। তবে এবার এসিআই-১৪, কাটাজেনা ও ভ্যালেনসিয়া জাতের আলুর চাষ করে অধিক লাভ হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে কালাই উপজেলার শিকটা পুনট ফসলি মাঠে এসিআই সিডের ভ্যালেনসিয়া, কাটাজেনা ও এসিআই আলু-১৪ সহ ১৩টি জাতের আলুর জাত নির্বাচন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
এ মাঠ দিবস থেকে আলু চাষিরা তাদের পছন্দের আলু নির্বাচন করেন। এর মধ্যে এসিআই আলু-১৪, ভ্যালেনসিয়া, কাটাজেনা জাতে সর্বোচ্চ ফলন হওয়ায় এই তিনটি আলুর জাত নির্বাচন করেন কৃষকরা।
শিকটা গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান জানান, প্রতিবছর অন্যান্য জাতের আলুর চাষ করতেন তিনি। সেখানে প্রতি বিঘায় উৎপাদন হতো ৭০ থেকে ৮০ মণ। আর খরচ হতো প্রায় ৩২ হাজার টাকা। এবার প্রথমবারের মতো এক বিঘা জমিতে এসিআই সিডের ভ্যালেনসিয়া-১০ জাতের আলু চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। এক বিঘাতে আলুর ফলন হয়েছের ১৪৫ মণ। রোগবালাই ও খরচ কম হওয়ায় এবার লাভ হবে বেশি।
এসিআই সিডের বীজ আলু পোর্টফোলিও ম্যানেজার কৃষিবিদ গোলাম মোস্তফা বলেন, এ বছর জয়পুরহাট জেলায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে কাটাজেনা, ভ্যালেনসিয়া ও এসিআই-১৪ সহ ১৩টি জাতের আলুর চাষ করেছেন কৃষকরা। এ জাতের আলু চাষে কৃষকরা কম খরচে ভালো ফলন পেয়েছে এবং বর্তমান বাজার দরে অধিক লাভবান হচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে কৃষকদের উদ্দেশে কৃষিবিদরা বলেন, এসিআই সিডের আলু বীজ অন্যান্য আলু অপেক্ষা ২৫-৩০ দিন আগে বাজারে আসে। তাই বাজারমূল্য বেশি। এ ছাড়া এসিআই-১৪, কাটাজেনা ও ভ্যালেনসিয়া জাতের আলু হেক্টর প্রতি ফলন প্রায় ৪৩ মেট্রিক টন। যা দেশের অন্যান্য জাতের আলুর চেয়ে ৩৮ গুণ বেশি। প্রতিটি আলুর গড় ওজন প্রায় ১০০ গ্রাম।
কালাই উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অরুণ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) শহীদুল ইসলাম, সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল করিম, এসিআই বীজ আলু পোর্টফলিও ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা, বগুড়ার এরিয়া সেলস এক্সিকিউটিভ মোহাম্মদ নুরুন্নবী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন এসিআই সিডের সেলস ম্যানেজার ইকবাল হোসেন।
এসজি