প্রথমবারের মতো সিড কংগ্রেস শুরু হচ্ছে শনিবার
দেশে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সিড কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ১১ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী কংগ্রেসে দেশি-বিদেশি সহস্রাধিক প্রতিনিধি অংশ নেবেন।
আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ সিড কংগ্রেসের উদ্বোধন করবেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ সিড কংগ্রেস ২০২৩ এর প্রধান সমন্বয়ক সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুক বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশন তিন দিনব্যাপী কংগ্রেসের আয়োজন করছে।
এই কংগ্রেসে ৫০ জন বিদেশি প্রতিনিধি থাকবেন জানিয়ে তিনি বলেন, দেশি ও বিদেশি কৃষি বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণ কর্মী, বীজ ডিলার, বীজ ব্যবসায়ী, বীজ শিল্পপ্রতিষ্ঠান, কৃষিবিদ, ব্যাংকার, শিক্ষক ও কৃষক প্রতিনিধিরা কংগ্রেসে অংশ নেবেন।
তিনি জানান, তিন দিনব্যাপী কংগ্রেসে কারিগরি সেশন থাকবে। এসব সেশনে দেশি-বিদেশি প্রথিতযশা বিজ্ঞানী ও বীজ গবেষকদের ১৫ টি কারিগরি পেপার উপস্থাপিত হবে। যার নয়টি উপস্থাপন করবেন বিদেশি প্রতিনিধি, বিজ্ঞানী ও সংস্থার প্রধানরা।
আনোয়ার ফারুক জানান,এই কংগ্রেসের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের কৃষি খাতকে আরও কতটা আধুনিক
করা যায়। কীভাবে কৃষির উৎপাদন আরও বাড়ানো যায়। কৃষককে কীভাবে আরও সহযোগিতা করা যায়।
তিনি জানান, ১৯৯৯ সালে থেকে সরকার হাইব্রিড ধান বীজ অবমুক্তির মধ্য দিয়ে এদেশের বীজ ব্যবসায় বেসরকারি খাতের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন। ২০০০ সাল থেকে বেসরকারি বীজ ব্যবসার কলেবর বাড়তে থাকে। দেশে মানসম্পন্ন বীজ এর ব্যবহারও বাড়তে থাকে। ২০০৯ সালে দেশে মোট বীজের চাহিদার ২০ শতাংশ ছিল মানসম্পন্ন বীজ। বর্তমানে সেটি ৩৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তবে আলু, সবজি, ধান, ভুট্টা ও পাট বীজ ইত্যাদি প্রচারের ক্ষেত্রে এ হার ৫৯ দশমিক ২ শতাংশ।
আনোয়ার ফারুক বলেন, দেশে এখন মোট বীজের প্রয়োজন ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩৬ টন। এর মধ্যে শুধুমাত্র আলুবীজের প্রয়োজনই হয় ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৮৮৫ টন। আর আলু বীজ এর ক্ষেত্রে মানসম্পন্ন বীজের ব্যবহার হয় মাত্র ১৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, বর্তমানে দেশের মোট বীজ সরবরাহের ৫৩ শতাংশ বীজ আসে বেসরকারি খাত থেকে। এর মধ্যে ধানের বীজ ৪০ শতাংশ, হাইব্রিড ধান ৯৭ শতাংশ, ভুট্টা বীজ ৯৯ শতাংশ, সবজি বীজ ৮৬ শতাংশ, আলু বীজ ৭৪ শতাংশ এবং পাট বীজের ৮৩ শতাংশ সরবরাহ করে বেসরকারি খাত।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, দেশে বীজ শিল্পের উন্নতি হয়েছে। এখানে সরকারি ও বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। আর বেসরকারি বীজ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশনে বর্তমানে ৭ হাজার কর্মী কাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম আনিস উদ্ দৌলা, সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম হুমায়ুন কবীর ও ড. আলী আফজাল। উপস্থিত ছিলেন আব্দুল আজিজ ও ফৌজিয়া ইয়াসমিন।
এনএইচবি/এমএমএ/