সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

হিলিতে গোড়াপচা রোগে ঝরে পড়ছে পান

দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা হিলিতে পানের বরজে দেখা দিয়েছে গোড়াপচা রোগ। গাছের গোড়ায় পচন ধরে গাছ মরে ঝরে পড়ছে সব পান। পানের পাতাতেও পচন দেখা দিয়েছে। ওষধু দিয়ে কাজ না হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষিরা। উপায় না পেয়ে অনেকে পানের বরজ উঠিয়ে দেওয়া কথা ভাবছেন।

শষ্যভাণ্ডারখ্যাত দিনাজপুরের হিলিতে লাভজনক হওয়ায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠে পান চাষ। সীমান্তবর্তী ঘাসুরিয়া, ঘনশ্যামপুর ও মাধবপাড়া এলাকা পুরোপুরি এখন পান চাষাবাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ব্যাংক বা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে লাভের আশায় অনেক বেকার যুবক পান চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। বর্তমানে ৪০ হেক্টর এলাকাজুড়ে ৩৫৬টি পানের বরজ গড়ে উঠেছে। যেখানে আগে ৩৭ হেক্টর জমিতে পানের বরজ ছিল। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হতো এই পান। কিন্তু আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব বিশেষ করে অনাবৃষ্টির কারণে পানের বরজে দেখা দিয়েছে গোড়াপচা ও পাতাপচা রোগ।

ঘাসুড়িয়া গ্রামের পান চাষি সুলতান মাহমুদ বলেন, এবারে পান চাষের একমাত্র সমস্যা হলো গোড়াপচা রোগ। যার কারণে লাইনকে লাইন পানের গাছ মরে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে অনেক গাছের পান পচে যাচ্ছে। এতে করে আমাদের পোষাচ্ছে না। আমার ১০ কাঠা জমির পানের বরজ থেকে আগে হয়তো ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পান বেচতাম এখন সেখানে ৫ হাজার টাকারও পান বিক্রি হচ্ছে না। এতে করে খৈল কেনা, শ্রমিকসহ অন্যান্য যে খরচ তা উঠছে না। এক বস্তা খৈলের দাম ২২০০ থেকে ২৪০০ টাকা মৌসুমে আমাদের বরজে খৈল লাগে ১০/১২ বস্তা কিন্তু বর্তমানে যে পান বিক্রি হচ্ছে তাতে করে ৩/৪ বস্তা খৈলের দাম উঠছে না। বর্তমানে পানের দাম যা আছে তাতে করে সমস্যা নেই কিন্তু ক্ষেত থেকে সেই হিসেবে আমাদের ঠিকমতো পান তো পাওয়া যাচ্ছে না। এর উপর যতটুকু পাওয়া যাচ্ছে পানে পচনের কারণে দাম কম পাওয়া যাচ্ছে।

পানচাষি শহিদুল ইসলাম বলেন, এবারে পানের বরজ মালিকদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পানের পচারি রোগ। মারাত্মক আকারে পানে পচারি রোগ ধরেছে। কোনো ওষুধ দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। গাছের গোড়ায় ঘায়ের মতো হচ্ছে ঠিক যেমন পুড়ে গেলে হয়, ওইরকম হয়ে ভিজে উঠছে আর কষানি পড়ছে। কিছুই থাকছে না এতে করে সব পানের গাছ উঠিয়ে ফেলে দিতে হচ্ছে। এবারে পান চাষ করে লাভ হচ্ছে না।

পানচাষি মিন্টু বলেন, এবারে পানের বরজে রোগের প্রকোপটা বেশি। গাছ মরে যাচ্ছে মাটি দিয়ে কোনো কাজ হচ্ছে না। গাছের গোড়ায় পচন ধরছে এতে গাছ মরে সাফ হয়ে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে গাছের পান পচে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া খরার কারণে গাছ বাড়ছে না। যার কারণে এবারে পানের বরজ মালিকদের অবস্থা খুব খারাপ।

অপর চাষি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, পানের গাছের গোড়ায় কালো দাগ ধরে গাছ মরে যাচ্ছে। এ ছাড়া গাছে খোকশার মতো পড়ছে। এতে করে এবারে পানচাষিদের মাথায় হাত। সর্বনাশ হওয়া ছাড়া আর তো কোনো উপায় দেখছি না। লাভের আশায় বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পানের বরজ করেছিলাম। কিন্তু এখন যে অবস্থা তাতে করে ঋণ পরিশোধ করব কীভাবে আর অন্য কিছু করব কীভাবে। বাধ্য হয়ে পানের বরজ ভেঙে দিয়ে অন্য আবাদ করার সিন্ধান্ত নিয়েছি।

শ্রমিক ইয়াসিন আলী ও রমজান হোসেন বলেন, আমাদের এই অঞ্চলে ৩০০ পানের বরজ রয়েছে যেখানে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করেন। আগে আমাদের ভালো কাজ হতো কিন্তু এখন কাজকর্ম অনেকটা কমে গেছে। পানের বরজে পচারি ধরে মরে যাচ্ছে। গৃহস্থরা আর শ্রমিক খাটাতে পারছে না। যে দুয়েকটা বরজে কাজ হচ্ছে তাদের মালিক নিজেরাই কাজ করছেন শ্রমিক নিচ্ছেন না। যারা পানের বরজে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তাদের জন্য অসুবিধা হয়ে গেছে।

হাকিমপুর উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বৃষ্টিপাতের কারণে কিছু কিছু পানের বরজে পচন দেখা দিয়েছে। পচন রোগ প্রতিরোধে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণসহ সবধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে কৃষক ভাইয়েরা সঠিক সময়ে সঠিক ওষুধ প্রয়োগ করে ভালো ফল পান। পচনরোধে ট্রাইকো কম্পোস্ট, ভার্মি কম্পোস্ট মেলসার, অটোস্টিন, নাটিভো ওষুধ বেশ কার্যকরী। এসব ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি। সেই মোতাবেক কৃষকরা এসব ওষুধ ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পাচ্ছেন।

এসএন

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে দেশে কিছু লোডশেডিং চালু রাখার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, কিছু লোডশেডিং না দিলে ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে যাবে। তবে লোডশেডিং যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সে চেষ্টা করা হবে। তিনি জানান, শহর ও গ্রামে সমানভাবে লোডশেডিং কার্যকর করা হবে।

সচিবালয়ে গ্রিড বিপর্যয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে দেশে সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। গরমের কারণে আগামী দিনে বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তখন চাহিদা মেটাতে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে। তিনি আরও বলেন, যে হারে এসি স্থাপন করা হচ্ছে, সে হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়নি। অনেকে অকারণে লাইট, ফ্যান ও এসি চালু রাখায় বিদ্যুৎচাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল ও খুলনায় ২৬ এপ্রিল যে গ্রিড বিপর্যয় ঘটে, তার তদন্তে আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে বুয়েটের উপ-উপাচার্য আবদুল হাসিব চৌধুরীকে। কমিটি সাত কর্মদিবসের মধ্যে গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ, দায়ী ব্যক্তিদের ভূমিকা ও ভবিষ্যতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সুপারিশ করবে।

মেট্রোরেল এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকার কারণও তদন্তে নেওয়া হয়েছে। বুয়েটের অধ্যাপক শামসুল হককে প্রধান করে একটি আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, মেট্রোরেল বন্ধ থাকার মূল কারণ ছিল বিদ্যুৎ সংকট।

এ সময় মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, দেশে গ্যাসের উৎপাদন কমে যাচ্ছে এবং এলএনজি আমদানির আর্থিক সামর্থ্যও কমে গেছে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

পিজিসিবি ও পিডিবি জানায়, আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ সার্কিট লাইনের ৪০০ কিলোভোল্টের দুটি তার কাছাকাছি আসায় শর্ট সার্কিট হয় এবং সমস্যার সৃষ্টি হয়। এর ফলে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১৫টি জেলা—খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী—প্রায় ১৫ মিনিট থেকে ৯৬ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। তবে সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে এবং রাত সাড়ে আটটার পর পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়।

Header Ad
Header Ad

গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের পূবাইলের হায়দরাবাদ এলাকায় একাধিক শিশু-কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মসজিদের ইমাম গণপিটুনির শিকার হয়ে পরে কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত ইমামের নাম রহিজ উদ্দিন (৩৫), তিনি চাঁদপুর জেলার মতলব থানার বাদশা মিয়ার ছেলে এবং হায়দরাবাদ আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে গাজীপুর মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় এক কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগ ওঠে রহিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এতে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে, এমনকি তার গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং নির্যাতিত এক কিশোরের বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।

পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। একই রাতের (২৭ এপ্রিল) দিবাগত ৩টার দিকে রহিজ উদ্দিন কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা কারাগারের জেল সুপার রফিকুল কাদের জানান, মৃত ইমামের শরীরে গণপিটুনির চিহ্ন ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হওয়ার ফলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মৃত্যুবরণ করেন।

পূবাইল থানার ওসি এসএম আমিরুল ইসলাম বলেন, রহিজ উদ্দিন স্থানীয় স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছেলেদের নিজের থাকার কক্ষে এনে কম্পিউটার গেমস ও মোবাইল গেম খেলার সুযোগ দিতেন এবং কোমল পানীয় খাওয়াতেন। ওই পানীয় সেবনের পর অচেতন হয়ে পড়লে তিনি তাদের বলৎকার করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক কলেজছাত্রের কাছ থেকে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে তাকে গণধোলাই দেয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি