অতিরিক্ত দায়িত্বে সিকৃবি’তে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কৃষি কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়া উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যাপক, বাংলাদেশের কিংবদন্তী কৃষি শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. এম. ড. মতিয়ার রহমান হাওলাদার অবসর গ্রহণ করেছেন।
সদ্য সাবেক উপাচার্যের মেয়াদকাল পূর্ণ হয়েছে ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ কর্ম দিবসে।
ড. এম. ড. মতিয়ার রহমান হাওলাদারের স্থলে পরবর্তী উপাচার্য নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত দায়িত্বে নিযুক্ত হয়েছেন ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক ও বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান।
ইউজিসির (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপ-সচিব এম. মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
খ্যাতনামা অধ্যাপক ও কৃষি শিক্ষাবিদ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক, শিক্ষা ও আর্থিক বিষয়াদি দেখভাল করবেন। নিজ রুটিন দায়িত্বও পালন করবেন।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান আজ সোমবার ৩ অক্টোবর, ২০২২ তারিখে দুপুর ১২টায় উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
তিনি ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন বিভাগে অনার্স, ২০০১ সালে বায়ো-কেমিস্ট্রিতে মাস্টার্স। ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যের নিউ ক্যাসেল ইউনির্ভাসিটিতে থেকে প্রাণী পুষ্টি বিষয়ে পিএইচডি।
ড. মেহেদী ডিন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, অর্থ কমিটি, রিসার্চ অ্যাডভাইজরি কমিটি, ইনিস্টিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিএসি), অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সদস্য, হল প্রাধ্যাক্ষসহ অনেক অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার মোট ৬১টি গবেষণাপত্র ও ৩টি বই প্রকাশিত হয়েছে।
বৈজ্ঞানিক সম্মেলনগুলোতে মোট ২১টি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়েছে।
ড. মেহেদী ১৫ জন স্নাতকোত্তর ছাত্র-ছাত্রীর গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক, ১০ জনের স্নাতকোত্তর গবেষণায় সহ-তত্ত্বাবধায়ক।
নব দায়িত্বে নিযুক্ত হবার পর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান তার সাংবাদিক ছাত্র, ছাত্রীদের মত প্রকাশ করেছেন, ‘আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব দেয়ায় অত্যন্ত অনন্দিত। আমার দায়িত্ব সৎভাবে পালনের চেষ্টা করে যাব। স্বল্প সময়ের দায়িত্ব পেলেও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা, গবেষণা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যেতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাব।’
নতুন উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ভাইস চ্যান্সেলর সচিবালয়ের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করা হয়েছে। ছিলেন রেজিস্ট্রার এম. বদরুল ইসলাম শোয়েব, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর পরিচালক অধ্যাপক ড. এম. মোস্তফা সামছুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রাধ্যাক্ষ ও উদ্যানত্বত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ দেবনাথ, সহকারী প্রক্টর ও কীটত্বত্বের সহকারী অধ্যাপক জাহেদ আহমদ, উপাচার্যের একান্ত সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার ডা. ফখর উদ্দিন, সহকারী রেজিস্ট্রার এম. আতিকুল ইসলাম ও খন্দকার জাকির হোসেন।
তিনি শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুর্যালে ফুল দিয়েছেন এবং দোয়া পাঠ করেছেন।
ওএফএস।