আজ থেকে শেরে বাংলায় আন্তর্জাতিক পুষ্টি অলিম্পিয়াড
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)তে আজ থেকে দুই দিনের ‘ইন্টারন্যাশনাল নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড -২০২২’ শুরু হয়েছে।
প্রথম দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড.শহিদুর রশীদ ভূঁইয়া।
সভাপতি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এম. ইসমাঈল হোসেন।
সম্মানিত অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক-এস.ডি.জি. জুয়েনা আজিজ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টির উপর সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। আমাদের “সংবিধানের ১৮’র ‘ক’ ধারা”য় মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি অধিকারের উল্লেখ আছে।”
প্রবীণ এই রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘একসময় দেশের অনেক অঞ্চল মঙ্গা এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল। মানুষ আশ্বিন-কার্তিক মাসেও ভালোভাবে খেতে পারতেন না। বারি, কৃষি গবেষক, সংস্থা ও কৃষি যান্ত্রিকীকণের মাধ্যমে আমরা প্রচুর উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ সরকার কৃষকদের প্রচুর ভর্তুকি প্রদান করেছেন সবসময়।’
‘বাংলাদেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও তাদের একত্রে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মৌলিক পরিবর্তন সরকারের সর্বশেষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।’
‘আমাদের প্রধান খাদ্য ভাত হলেও ভাতের মাধ্যমে তেমন কোনো পুষ্টি পাচ্ছি না। পলিশ করায় চালে পুষ্টি থাকছে না। প্রতি ১শ মেট্রিক টন চাল পলিশ করতে ৫ মেট্রিক টন চাল সম্পূণ নষ্ট হয়ে যায়। সুজি বা আটা তৈরিতেও ব্যবহার করা যায় না।’
আন্তর্জাতিক পুষ্টি অলিম্পিয়াড নিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘আমাদের দেশেই সর্বপ্রথম এই পুষ্টি অলিম্পিয়াড শুরু হয়েছে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড.শহিদুর রশিদ ভূঁইয়া বলেছেন, ‘উদরপূর্তি খাদ্যের লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়, প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহই প্রধান লক্ষ্য। বাংলাদেশীরা এখনো ভাতের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। প্রচুর মাংস, মাছ বা দুধে পুষ্টি সরবরাহ হয় না, খাদ্যের বৈচিত্র্য আনতে পারলেই দেহে পুষ্টি সরবরাহ সম্ভব।’
সভাপতির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: ইসমাইল হোসেন জানিয়েছেন, ‘খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, পুরো পৃথিবীরই সমস্যা। খাদ্যনিরপত্তা, পর্যাপ্ততা ও পুষ্টিমান বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ। পুষ্টিমান বজায় রাখতে বেশি অর্থের প্রয়োজন নেই, মানসিকতা ও বৈচিত্র্যময় খাবারের অভ্যাস গড়ে দেওয়া প্রয়োজন।’
ওএফএস।