শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

নষ্ট প্রেমের দহন

নাজনীনের অস্থিরতা বেড়েই চলছে। কোনভাবেই নিজেকে স্থির রাখতে পারছেনা।একটা অশুভ চিন্তা তার মনের কোনায় বারবার হানা দিয়ে যায়।মনের সাথে যুদ্ধ করে সে। এ কি করে সম্ভব? এমনটি সে ভাবতেই পারে না! তাহলে আকাশের মোবাইল ফোনটা বন্ধ কেন?এরই মাঝে আকাশের বন্ধু, অফিসের বস,যাদের সাথে ঘনিষ্টতা রয়েছে আকাশের, সকলকেই ফোন করেছে নাজনীন। কেউ তার হদিস বলতে পারছেনা ওর কাছের বন্ধুদের মধ্যে আবির, দুর্জয় ওরাও বর্তমান অবস্থান জানে না। মোবাইল ফোন বন্ধ হওয়ার আগের বিকেলে নাকি দুর্জয়ের সাথে ছিল,রাতে ঘুমায় বন্ধুর বাসায়। শেষ রাতের দিকে উঠেই কাউকে না জানিয়ে চলে যায় আকাশ। তারপর থেকে ফোন বন্ধ। অল্প কিছুক্ষণ হলো নাজনীন মেয়েকে নিয়ে স্কুল থেকে ফিরেছে। এই সময়েই ফোনটা আসে। কথাটা শুনেই স্তব্ধ হয়ে থাকে অনেকক্ষণ। নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না সে। এ যে হতেই পারে না! কিন্তু রোদেলার স্বামী স্পষ্ট করেই বলে দিল। আপু তোমার স্বামী আমার বউকে নিয়ে চলে গেছে।

গত তিন দিন থেকেই আকাশের মোবাইল ফোন বন্ধ। নাজনীন প্রথমেই ফোন করেছিল আকাশের অফিসে। তার বস জানিয়ে দিল সে গত বেশ ক'দিন অফিসে আসছে না। অফিস থেকে উল্টো জানতে চায়, আকাশের কি হয়েছে? অফিসকে না জানিয়ে , ছুটি ছাড়াই সে সপ্তাহ খানেক অফিসে যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে নাজনীন কিছুই ভাবতে পারে না। কেন এমন হবে? সে ত কোন ভাবেই অপূর্ণ রাখেনি আকাশকে। তাদের সংসারে ভালবাসার অভাব ছিলনা কখনোই। চাঁদের আলোর মতো দু'টি কন্যা নাজনীনে'র কোল আলো করে আসে। ভালবাসার চির বন্ধনকে অটুট রাখতে। সাজানো সুখের সংসার কালবৈশাখী ঝড়ে সব এলোমেলো করে দেয়।নাজনীনের দুগাল বেয়ে অশ্রু ঝড়ে। হাজার পাওয়ারের বাতি ঢিপঢিপ করে জ্বলতে থাকে দুচোখের তারায়। টর্নেডোর আওয়াজ শুনে হাজার মাইল জুড়ে। ছোট মেয়েটি কোলে এসে জড়িয়ে ধরে। কি হয়েছে মা? তুমি কাঁদছ কেন? তুমাকে কে বকেছে মা? আমাকে বলো, বাবা বাড়ী এলে, যে তোমাকে বকেছে তাকে মারতে বলবো। মৃত্তিকার আদো আদো বুলে এই কথাগুলি আরো বেশি আঘাত করে নাজনীনকে।

সে আর নিজেকে সামলে রাখতে পারে না। এমন সময় গেটে কলিং বেল বেজে উঠে। উঠে গিয়ে গেট খুলে দেখে শাওলি। স্কুল ড্রেস পরা মেয়েকে আজ খুব আহলাদি মনে হয়। কাঁধে স্কুল ব্যাগ ঝুলিয়ে, হেলতে দুলতে উঠে যায় দু'তলায়। শাওলি রুমে ঢুকেই স্কুল ব্যাগ ছুড়ে ফেলে দেয় খাটের উপর। ড্রয়িং রুমের সোফায় একটু বসার পর বাথ রুমে যায় ফ্রেস হতে। বেরিয়ে এসে হাত-মুখ মুছতে মুছতে বলে: আম্মু ভাত দাও, প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছে। নাজনীন এবার মুখ তুলে কান্না জড়িত কন্ঠে বলে: রান্না করিনি মা। ফ্রিজে খাবার আছে এখন বের করে খেয়ে নাও। মায়ের মুখের দিকে চেয়ে স্তব্ধ হয়ে যায় শাওলি। একি চেহারা মায়ের? আলুথালু বেশ,এলো চুল,চোক দুটি লাল জবা ফুলের মতো। দুগাল বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে নামছে অনর্গল। শাওলি অবাক হয়ে এগিয়ে যায় মায়ের কাছে।মাকে জড়িয়ে ধরে বলে, কি হয়েছে মা? গভীর কান্নায় কন্ঠ রোধ হয়ে আছে নাজনীনের। অস্পষ্ট স্বরে বলে তোমাদের কপাল পুড়েছে মা। তুমার বাবা তোমাদের ছেড়ে চলে গেছে। আমার পৃথিবী জুড়ে গভীর অমানিশার অন্ধকার।

সেদিনের সেই সন্ধায় আকাশ নিজেকে আবিষ্কার করে ভিন্ন মাত্রায়! সেকি কখনো এইভাবে কল্পনা করেছে রোদেলাকে? নাজনীনের দুর সম্পর্কের আত্মীয় রোদেলা। ছোট বেলা থেকেই রোদেলা মানুষ হয়েছে তাদের কাছে।আপন ছোট বোনের মতোই এই সংসারে বেড়ে উঠেছে রোদেলা। আকাশ-রোদেলা, দু'জনই মানসিকভাবে কখনো ভাবেনিঃ ভিন্ন কিছু। রোদেলার পড়ালেখা শেষ হতেই আকাশ একটি সুপাত্রের সন্ধান করতে থাকে। একটি ভাল ছেলে পেয়ে যায়। বেশ ঘটা করেই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। রোদেলার বিয়েতে প্রচুর খরচ করে আকাশ। সোনা,গয়না, ফার্নিচার থেকে শুরু করে বেশ কয়েক হাজার মানুষকে দাওয়াত করেন। বেস আনন্দ ঘণ পরিবেশে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। সমস্যা তৈরি হয় রোদেলাকে শশুর বাড়ী তুলে নেওয়ার পরে। স্ত্রী, সন্তান,মা, ভাই-বোন সব থাকার পরও আকাশের সবকিছুই শূন্য মনে হচ্ছিল! আকাশ ভাবে, কেন এমন হবে? তাদের মাঝেতো কোনরূপ অপবিত্র সম্পর্ক ছিল না। একসাথে থাকা-খাওয়া,হাসি-আনন্দ, জীবনের সবকিছুই ভাগ করা ছিল। কিন্তু তারা কেউ ভিন্ন চিন্তা করেনি পরস্পরকে ঘিরে। কিন্তু জীবন যখনি আলাদা, তখন কেন এমনি হচ্ছে? রোদেলা যাওয়ার পর থেকে, আকাশের জীবনে শূন্য অনুভুতি নেমে আসে। সংসার, কাজ, বন্ধু,আড্ডা,রাজনীতি সবকিছুই মনে হয়ে অর্থহীন।

সেদিন অফিসে যাওয়ার পথে নাজনীন আকাশকে বলে দেয়, রোদেলা শশুর বাড়ী গেল একমাস পার হয়ে গেল।কোন খবর নেই! ফোন করলেও অল্প কথা বলে। আজ অফিস থেকে ফেরার পথে, একটু খোঁজ নিয়ে এসো। ওদের বলে এসো আগামী সোমবার আসতে। ১০ ফেব্রুয়ারি শাওলির জন্মদিন। তোমার মনে আছেতো মেয়ের জন্মদিনের কথা? আকাশ চোখ তুলে বলে, মেয়ে আমার আর মনে করিয়ে দিবে তুমি! তারপর বলে ঠিক আছে আমি অফিস থেকে ফেরার পথে ওদের বলে আসব। আকাশ একটু আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যায়। লোকাল বাসে করেই চলে যায় রোদেলার শশুর বাড়ী। দরজায় কলিংবেল বাজাতেই, রোদেলা দরজা খুলে দেয়। আকাশকে দেখে রোদেলা বলে ভাইয়া! তুমি? আমার কথা মনে পড়লো তোমার? রোদেলার সাথে ড্রয়িং রুমে গিয়ে বসে আকাশ। রেদেলাকে দেখে অবাক হয় আকাশ! একি চেহারা হয়েছে মেয়েটার? এই ক'দিনেই চোখ,মুখ বসে গেছে। গায়ের রং কালো হয়ে গেছে, শুকিয়ে কঙ্কাল। সামনে বসা রোদেলাকে প্রশ্ন করে আকাশ, একি অবস্থা তোমার? রোদেলা উত্তর দেয়ার আগেই ওর শাশুড়ী ঢুকে যায়। সেই বলে: কেমন আছ বাবা? রোদেলাকে নিয়ে আমরা খুব বিপদে: আকাশ উদ্বিগ্ন স্বরে বলে কেন, কি হয়েছে? দেখ বাবা: তোমাদের বাড়ী থেকে আসার পর থেকেই সারাক্ষণ মনমরা হয়ে থাকে। কিছু খেতে চায় না,কারো সাথে তেমন কথাও বলে না, রাতে নাকি ঘুমায় না! এখন কি করবো বল তো? আকাশ রোদেলাকে উদ্দেশ্য করে বলে : এসব কি রোদেলা! কি হয়েছে তোমার? মাথা নিচু করে উত্তর দেয় রোদেলা, আমার কিছুই ভাল লাগেনা ভাইয়া।
এসময় চাই, নাস্তা নিয়ে আসে কাজের বোয়া। রোদেলার শাশুড়ী কে আকাশ বলে, রোদেলাকে তার আপু আগামী সোমবার যেতে বলেছে, শাউলির জন্মদিন। রোদেলা বলে, আমাকে আজকে নিয়ে যাও। আমার বাড়ী যেতে খুব ইচ্ছে করছে। রোদেলাকে সমর্থন করে তার শাশুড়ী বলে তাই করো বাবা। ওকে নিয়ে গিয়ে দেখ, জায়গাবদল হলে হয়ত-তার শারিরীক, মানসিক পরিবর্তন আসতে পারে।
আধ ঘন্টার মধ্যেই রোদেলা প্রস্তুত হয়ে আসে। বাসার গেট পার হতেই ওদের বুকের পাথর নেমে যায়। আকাশের মনে হয়, কি যেন ফিরে পেল সে। অল্প সময়েই পাল্টে যায় রোদেলা। কথা বলতে শুরু করে অনর্গল। সিএনজি ধরেই তারা বাসায় ফিরে। রাতেই রোদেলাকে পেয়ে নাজনীন,শাওলির আনন্দ যেন আর ধরে না। একমাস পরে এই বাড়ীতে যেন প্রাণ ফিরে আসে।

এই কটা দিন বেশ আনন্দেই কেটে যায়। শাউলির জন্মদিনের অনুষ্ঠান শেষ হলো দুই দিন। আজ রোদেলার বর এসেছে তাকে নিয়ে যেতে। আবারো অন্ধকার ঘণিয়ে আসে দু'জনের। এই ক'দিনে নতুন দুর্ঘটনা ঘটে যায়। সে দি ন শাওলি স্কুলে, মৃত্তিকাকে নিয়ে কিন্ডার গার্ডেনে গিয়েছে নাজনীন। নিরিবিলি বাসায় রোদেলা-আকাশ। চা নিয়ে ড্রয়িং রুমে আসে রোদেলা। আকাশের সামনে চা দিয়ে পাশেই বসে। মাথা নিচু করে কাচুমাচু করে বলে, ভাইয়া তোমাকে ছেড়ে থাকতে আমার খুব কষ্ট হয়। রোদেলার কথায় বাধ ভেঙ্গে যায় আকাশের। কিছুক্ষণ রোদেলার দিকে চেয়ে থাকে। তারপর কাছে টেনে নেয়। এবার আকাশের বুকে গড়িয়ে পরে রোদেলা।

আকাশ বলে, তোকে ছাড়া আমার পৃথিবী যে অন্ধকার! তারপর বাধভাঙ্গা জোয়ার, যা কল্পনা করা যায় না, তাই ঘটে যায়। ঘন্টা খানেক পরে ওরা ফিরে আসে আপন সত্তায়। কিন্তু ততক্ষণে ওরা অন্য পৃথিবীর বাসিন্দা। পাল্টে যায় সম্পর্কের গন্ডি। এই কদিনে বেশ ক'বার একাকিত্বে সময় কাটিয়েছে ওরা দুইজন। তারা যেন হাজার বছরের চেনা। প্রেমিক প্রেমিকা!

আজ স্বামীর সাথে চলে যায় রোদেলা। আবার শুরু হয় অস্থিরতা।ওদিকে রোদেলা, এদিক আকাশ একই অবস্থা।রাতে মোবাইলে কথা হয়ে ঘন্টা ধরে। বাড়তে থাকে অস্থিরতা। রোদেলা-আকাশ ছাড়া কেউ আঁচ করতে পারে না। দুই জীবন দুই দিকে গুমরে গুমরে মরে। কাউকে বলতেও পারে না। সমাজ,সংসার, সামাজিক অবস্থান তাদের বুকে পাথর চাপা দেয়। সময়ের চাকা ঘুরে। বাড়তে থাকে অস্থিরতা, কষ্ট। বেঁচে থাকাটাই অসম্ভব মনে হয় ওদের কাছে। তখনই ঘটে চুড়ান্ত দুর্ঘটনা।
প্রতি রাত আর দিনের আলোয় নিজেদের নতুন করে আবিষ্কার করে, অশুভ প্রেমের পরিণতি। জীবনের গতি অনিশ্চয়তায় মুঁছে যেতে থাকে। আগামীর নতুন পৃথিবী ওদের ডাক দিয়ে যায়। ঠিকানা বিহীন এক যাত্রা পথের মাত্রা নির্দেশ করে।
মোবাইলে কথা হয়েছিল রাতেই। খুব ভোরেই পালিয়ে যায় ওরা। চেনা পৃথিবীর গন্ডি ছেড়ে হারিয়ে যায় ওরা। সকল বাধা পিছনে ফেলে, ছুটে চলে অজানার ঠিকানায়। যেখানে কেউ তাদের চিনবে না কোন প্রশ্ন করবে না। বন্ধনহীন জীবনে নতুন বাঁধনে জড়িয়ে।

 

ডিএসএস/ 

Header Ad

রাফায় বড় অভিযান হলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ: বাইডেন

ছবি: সংগৃহীত

গাজার শহর রাফায় ইসরাইল বড় ধরনের স্থল অভিযান চালালে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবে বলে সতর্ক করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ইসরাইলকে এমন হুঁশিয়ারি দেন।

গতকাল বুধবার প্রচারিত সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেছেন, ‘যদি তারা রাফায় হামলা চালায়, তাহলে সেখানে এখন পর্যন্ত যে ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, এমন অস্ত্র আর আমরা সরবরাহ করবো না। আমরা অস্ত্র ও আর্টিলারি শেল সরবরাহ করবো না।’ খবর বিবিসি’র।

যদিও যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত’ করা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বাইডেন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সরব বিরোধিতা সত্ত্বেও ইসরাইল রাফাহতে একটি বড় আকারের আগ্রাসন চালাতে প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে।

দক্ষিণ গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এ এলাকা হামাসের শেষ প্রধান শক্ত ঘাঁটি। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে, গাজার অন্যান্য শহর থেকে আসা উদ্বাস্তুদের কারণে পূর্ণ এ শহরে এখন অভিযান চালালে ব্যাপক পরিমাণ বেসামরিক মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটবে।

বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র রাফাহর বর্তমান পরিস্থিতিকে স্থল অভিযান হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেনি। তারা জনবহুল এলাকাগুলোতে যায়নি। তারা যা করেছে, সেটা সীমান্তে।

বাইডেন জানান, তিনি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভাকে পরিষ্কার করে জানিয়েছেন যে তারা যদি জনবহুল এলাকায় যায়, তবে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পাবে না।

এ সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ইসরাইল গাজার বেসামরিক মানুষ হত্যায় ব্যবহার করেছে বলে স্বীকার করেছেন বাইডেন। তবে, ইসরাইল ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করেছে কি না- জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এখনও নয়’।

রাফাহতে সম্ভাব্য স্থল অভিযানের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এসব মন্তব্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এবং প্রথমবারের মতো তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলে অস্ত্রের চালান বন্ধ করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই ইসরাইলে হাজার হাজার বোমার চালান আটকে রেখেছে এবং ভবিষ্যতে সরবরাহের বিষয়টি তারা পর্যালোচনায় রাখছে।

বুধবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সিনেটের সামনে সাক্ষ্য দেয়ার সময় পশ্চিমা সামরিক অস্ত্রাগারের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক কিছু অস্ত্র ও বোমার চালান সরবরাহ বিলম্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তবে, যুক্তরাষ্ট্র যে অস্ত্র সরবরাহ আটকে রেখেছে, তা ভবিষ্যতে সরবরাহের জন্য। ফলে এই পদক্ষেপের কারণে তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু, ইসরাইল যে হারে এখন বোমা বর্ষণ করছে, তাতে নিকট ভবিষ্যতের হামলাগুলোতেই এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইসরাইল সরকার যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে হতাশা প্রকাশ করেছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, দুই দেশ এসব মতবিরোধ ‘বন্ধ দরজার আড়ালে’ সমাধান করবে।

গাজায় অনবরত বেসামরিক লোকের মৃত্যু ও মানবিক পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হওয়ায় ইসরাইলি অভিযানে লাগাম টানতে ডেমোক্র্যাট ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের একাংশের অভ্যন্তরীণ চাপের মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন এলাকায় লোডশেডিংয়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত

চলছে বিদ্যুৎ সংকট। রাজধানীর চেয়েও বেশি সংকট গ্রামে। এই সংকটের মধ্যেই বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের বাসভবন এলাকায় লোডশেডিংয়ের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চলমান দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বহুমুখী করছে সরকার। হ্যাঁ, গেল কিছুদিন তীব্র গরমে কিছুটা লোডশেডিং হয়েছে। আমরা তা স্বীকার করি। আমি নির্দেশ দিয়েছি লোডশেডিং গ্রামে নয়, এখন থেকে বিদ্যুৎ সংকটে লোডশেডিং হবে গুলশান-বনানীতে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন এলাকায়ও লোডশেডিংয়ের নির্দেশ দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশেষ আইন নিয়ে সমালোচনা কেন? পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই, যারা ক্যাপাসিটি পেমেন্ট ছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। কিন্তু প্রতিদিন এটা নিয়ে চিল্লাচিল্লি শুনি। ওই আইনে কাউকে দায়মুক্তি দেয়া হয়নি।

সামিটের বিলম্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জরিমানা আদায় হয়েছে বলেও জানান এই সংসদ নেতা। তিনি বলেন, বিশেষ আইন নিয়ে যারা কথা বলছেন, সমালোচনা করছেন তারা অর্বাচীন।

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে সমালোচনা হয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অথচ সেটাই সবচেয়ে ক্লিন বিদ্যুতের সোর্স। রূপপুরে আরও একটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৩ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল

ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে উপজেলায় ষষ্ঠ পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জনসহ মোট ১৩ জন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী হলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তাজওয়ার মোহাম্মদ ফাহিম (নাইন্টি), বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজামুল হাসান।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী হলেন- আফতাবুজ্জামান, গোলাম ফিরোজ করিব, মো. আইনুল হক চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, আজিজার রহমান ও ওয়ায়েস করুনী।

মহিলা ভাই চেয়ারম্যান পদে ৪ জন হলেন- বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান পারুল বেগম, শিউলি বেগম, শাবানা খাতুন ও শেফালী বেগম রেখা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

আগামী ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার নির্বাচনে উপজেলার ৭৩টি ভোট কেন্দ্রে নবাবগঞ্জ উপজেলার সাধারণ ভোটাররা গোপন ব্যালোটের মাধ্যমে তারা তাদের মতামত প্রকাশ করবেন। এবার উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা এক লক্ষ ৯৪ হাজার ৭৫ জন। পুরুষ ভোটার ৯৭ হাজার ৮শত ৩৩ জন, মহিলা ভোটার ৯৬ হাজার ২৩৮ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ৪ জন ।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার জানান, অবাধ সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে আমরা ইতিমধ্যে সব ধরনের কার্যক্রম সম্পূর্ণ করেছি। আমরা নবাবগঞ্জ উপজেলাবাসীকে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।

সর্বশেষ সংবাদ

রাফায় বড় অভিযান হলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ: বাইডেন
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন এলাকায় লোডশেডিংয়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৩ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল
ভবিষ্যতে শতভাগ কানেক্টিভিটি তার ভূগর্ভে স্থাপন করা হবে: পলক
নয়া সরকারের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম বাজেট ঘোষণা ৬ জুন
প্রকল্প-স্থাপনায় ‘শেখ হাসিনা’ নাম না রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট পড়েছে ৩৬.১ শতাংশ
৪৬তম বিসিএসের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১০৬৩৮
ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ
নওগাঁয় বজ্রপাতে ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু
ভারত-কানাডা দ্বন্দ্ব চরমে, পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি
জামিন পেলেন না মিল্টন সমাদ্দার
চীনের আগে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী : হাছান মাহমুদ
গাজায় আরো এক গণকবরের সন্ধান, ৪৯ মরদেহ উদ্ধার
মংডুতে তুমুল সংঘর্ষ, টেকনাফ সীমান্তে ফের আতঙ্ক
ভারতে বেড়েছে মুসলিম, কমছে হিন্দুদের সংখ্যা: রিপোর্ট
নির্বাচনে হেরে গেলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাকের খালাতো ও মামাতো ভাই
শুক্রবার টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
'পুনর্জন্ম'র প্রযোজক রূহানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন