সোমবার, ৬ মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সেদিন যখন বিলুপ্ত হয়েছিলাম

ওয়্যার স্ট্রিট, ২৩/১, ওয়ারী, ঢাকা। ঢাউস করিডরযুক্ত পুরোনো বাড়িটার সব কটা দরজা ও জানালা ছিল খড়খড়ি দেওয়া। খড়খড়ি দেওয়া জানালাগুলোকে বলা হতো ল্যুভর উইন্ডো। বিরাট বিরাট ওইসব জানালা ছাদ থেকে মেঝে পর্যন্ত নেমে এসেছে। সিঁড়ি ঘরের অনেকটা অংশজুড়ে বিস্তৃত দু-তিনটে দরজা। ল্যুভর উইন্ডোগুলোর ওপর আমরা নতুন করে গ্লাস বসিয়ে নিয়েছিলাম, পর্দাও টেনে দিয়েছিলাম। উত্তর ঢাকার গলিপথ থেকে মূল সড়কে এলেই আমাদের পুরোনো বাড়ির চুনকাম করা টালির ভেন্টিলেটার সবার চোখে পড়ত। তাছাড়া মোটা ও পুরু ওয়াল, কড়ি বর্গা দেওয়া ছাদ।

মন কেমন করা গন্ধ বাড়িময়! ছাদে এখন আর খুব একটা যাই না তেমন। বাড়ির অপজিটে ইলেকট্রিসিটির ট্রান্সমিশন স্টেশন এবং রাথিয়াদের ফ্ল্যাট। গাইনি স্পেশালিস্ট সে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে বিসিএস-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিভিন্ন প্রাইভেট হসপিটালে প্র্যাকটিসও করে রাথিয়া। ওদের ফ্ল্যাটের সাথেই আরও দুটো কটেজ পাশাপাশি। সিঁড়ির রেলিংয়ে দু-হাত রেখে রাথিয়াদের ফ্ল্যাটের দিকে ঝুঁকে বিকেলের আকাশটাকে দেখছি। কখনো কালো, কখনো মুমূর্ষু সূর্যের আভা ঈষৎ মেঘাচ্ছন্ন, কখনো বা রঙহীন ভেজা মেঘ আকাশকে আঘাত করছে জোরসে। সেদিনের বৃষ্টিতে দরজা জানালার খড়খড়িগুলো ভিজে রঙহীন হয়ে গিয়েছিল। আমার শরীরের টি-শার্টটাও বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। কিন্তু বৃষ্টি তো বাইরে, আমার টি-শার্ট কীভাবে ভিজল? তাহলে কি ভেন্টিলেটারের ফাঁক দিয়ে বৃষ্টি ছিটকে এসেছে? কী জানি, হতে পারে। আজ সারাটা দিন বৃষ্টি ঝরছে। যাকে বলে থেমে থেমে বর্ষণ! বাড়ির কম্পাউন্ডে বৃষ্টির পানি জমে গেছে। সুলগ্না ভার্সিটি থেকে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতেই বাসায় ফিরল। মা বলল- কী দরকার ছিল এভাবে আসার? দেখিস, আজ তোর ঠান্ডা লাগবেই। সুলগ্না বলল- এত চিন্তা কেন করছ মা? কিচ্ছু হবে না। নিজের বেডরুমের দিকে চলে গেল সুলগ্না। মনে হয় ভেজা কাপড়চোপড়গুলো চেঞ্জ করবে সে! আমি তখনো সিঁড়ির রেলিং ধরেই দাঁড়িয়ে আছি। কী করব, ভাবছি। ভেজা টি-শার্ট গায়ে একটু শীত শীত করছে আমার। রুমে এলাম। টি-শার্টটা চেঞ্জ করে ওয়াড্রব থেকে আরেকটা টি-শার্ট বের করে গায়ে দিলাম। জানালাগুলোর কাচে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির জল দেখা যাচ্ছিল। পর্দাগুলোও ভেজা। ড্রয়ার থেকে পুরোনো অ্যালবাম বের করলাম।

এমন স্যাঁতসেঁতে দিনে পুরোনো সবকিছুকেই কেন জানি ভীষণ মনে পড়ে। আজ এতদিন পর অ্যালবামটার পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে আনমনা হয়ে যেতে থাকলাম। ভার্সিটিতে পড়ার সময় কলা ভবন, অপাজেয় বাংলা, মধুর ক্যান্টিন, টিএসসিতে কত পোজের ছবি যে তুলতাম আমরা বন্ধুরা মিলে! মনে পড়ছে আজ কত কথা, কত রকম স্মৃতি! জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতের সময়গুলোতে যারা পাশে থাকে, তারাও একদিন দূরে সরে যায়। অ্যালবামটা বন্ধ করলাম। বাইরে তখনো বৃষ্টির শনশন শব্দ। আজ কি তবে বৃষ্টিরা ভালোবেসে বেসে ঝরতেই থাকবে? সুলগ্না আমার রুমে এল। বলল- কী করছিস ভাইয়া? কই, কিছু না তো! কিছু বলবি? আজ আপু ফোন করেছিল! নেহার? জি। ওর প্রেগন্যান্সির কী কান্ডিশন এখন? দু-এক দিনের মধ্যেই নাকি ওর ডেলিভেরি ডেট! হসপিটালে অ্যাডমিট করাতে হবে। আমি বললাম- তো? এতে এত টেন্সড হওয়ার কী আছে? সুলগ্নার চোখে-মুখে আমি দ্বিধা টের পেলাম। সেই দ্বিধা কিসের, বুঝতে পারিনি। সিজারিয়ান অপারেশন তো এখন একটা ফ্যাশন। তাহলে সুলগ্নার নিঃশ্বাস নিশ্চুপতা ফুটে উঠল কেন? ওর অস্তিত্বে আমি আগুন দেখছি, দুঃশ্চিন্তার আগুন।

পেডিকেয়ার নিউবর্ন বেবি হসপিটাল, বাড়ি-৫৫, সড়ক-০১, সেক্টর-০৯, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০। গতকাল ডেলিভেরি পেইন উঠলে নেহারকে ওখানেই অ্যাডমিট করিয়েছে রাহেল। অ্যাজ অ্যা হাজব্যান্ড রাহেল ইজ কেয়ারিং ফর নেহার। হসপিটালের কেবিনগুলো গ্রিসলি রেসপ্লেনডেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সপ্যারেন্ট। টু সিং ইনভায়ার্নমেন্ট অব দ্য হসপিটাল উই উড বি ইমপ্রেজেস। আমরা তখন নেহারের জন্য বুকড কেবিনে বসে আছি। পাশের কেবিনের নিচের দিকে তিন-চারটে রক্তমাখা ত্যানা স্তূপ করে রাখা। সম্ভবত একটু আগেই সিজার করা হয়েছে। রক্ত-পুঁজ দেখলে আমার গা গুলিয়ে ওঠার অভ্যাসটা অনেক পুরোনো। এখনো তার ব্যতিক্রম হলো না। গা গুলিয়ে উঠল। অনেকেরই বোধ হয় এরকম হয়! কিন্তু কী করব? এটুকু তো মেনে নিতেই হবে। গাইনি স্পেশালিস্ট রাথিয়া নেহারের সিজারিয়ান অপারেশন করছে। রাহেল তখনো ক্লিনিকে আসেনি। আসেনি, ঠিক তা নয়! আমরা এখানে আসার পর সে বাসায় গেছে ফ্রেশ হওয়ার জন্য। কদিন থেকেই অনেক ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে ওকে। আমি কেবিন ছেড়ে বাইরে এলাম। গভীরভাবে তাকিয়ে আছি কোথায়, জানি না। মনে হলো আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলছি দূর অজানায়। নেহারের জন্য মনটা অস্থির হয়ে উঠছে খুব। সেদিন সুলগ্নাকে সাহস দিলেও আমিও যে মনে মনে ভেঙে পড়িনি, তা কিন্তু নয়! আমাদের ওয়্যার স্ট্রিটের বাড়িতে বিয়ের পর নেহার খুব একটা যেত না। রাহেলও ব্যস্ত থাকত ওর অফিস কিংবা ফ্যামিলি নিয়ে। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ ছিল ওদের। সুলগ্নার মতো নেহারের সাথেও আমার বন্ডিংটা ছিল ফ্রেন্ডলি। আমি এখন সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত। দরজার ওপাশের কেবিনে তখনো কোনো সাড়া শব্দ নেই। কান খাঁড়া করে বাইরে দাঁড়িয়ে আছি একা। মা আমার কাছে এল। কী বিষণœ মা’র চেহারাখানি! বলল- তুই এখানে অনন্য? জি! কেন, কী হয়েছে মা? না, কিছু হয়নি। মাও যে ভালো নেই, সে কথা তো আমার অজানা নয়। হতবাক হয়ে দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছি। দৃঢ়চেতা মনটা আমার আজ কেন ভেঙে ভেঙে পড়ছে বারবার?

সুইস উলের কামিজ, ইটালিয়ান সিল্কের স্কার্ফ আর রঙদার সালোয়ারের ওপর ডাক্তারি অ্যাপ্রন পরে অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরিয়ে এল রাথিয়া। অপারেশন সাকসেসফুল। মা-শিশু দুজনেই অনেক ভালো আছে। রাথিয়া আমাকে বলল- দেয়ার ইজ নো প্রবলেম। অল আর সাকসেসফুল মিস্টার অনন্য। আমি কী বলব, ভেবে পাচ্ছি না। রাথিয়ার দিকে তাকিয়ে আছি। সে তাকানোয় হয়তো বা টেকসই ভালোবাসা ছিল! আমার বুকের ঠিক মাঝখানটায় রিস্টওয়াচের মতো টিকটিক করছে হৃৎপিন্ডটা। কিছু কি বলব রাথিয়াকে? রাথিয়ার দৃষ্টিও যে আমাকে অবলোকন করছিল- ওর ওই চাহনির দাগটানা ইতিহাস আমার সিক্স সেন্সকে নাড়া দিয়ে গিয়েছিল তখনই। ওর তাকানোয় আমি আমার জন্য পুনর্জন্মের ইতিকথা খুঁজে পেয়েছিলাম

হালকা-পাতলা গড়ন, মানানসই উচ্চতা, শ্যামবরণ গায়ের রঙ রাথিয়ার। ওর মায়াবী ঠোঁটের ওপর ছোট্ট একটা তিল, বড় বড় দুটো চোখ আমাকে বরাবরই ভীষণ টানে। রাথিয়া ওর চেম্বারে চলে গেল। আমি নেহারের পাশে গিয়ে বসলাম। নেহার ঘুমাচ্ছে। সেন্স ফেরেনি তখনো। নেহারের মুখের ওপর ঝুঁকে পড়লাম। এ কী, ওর মুখটা কেন জানি টোপা টোপা! প্রেগন্যান্সির সময় এরকম একটু-আধটু তো হয়ই। আমি রাথিয়ার চেম্বারের দিকে এগিয়ে গেলাম টাইম স্পেন্ড করার জন্য। কিন্তু দরজার পর্দা টেনে ভেতরে দেখলাম রাথিয়া ওর চেম্বারে নেই। সে কি তাহলে চলে গেছে? ওর পিএ বলল- রাথিয়া ম্যাডাম তো এখনি গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলেন। অন্য হসপিটালে আরেকটা সিজারিয়ান অপারেশন আছে। কিছু বলতে হবে তাঁকে? আমি বললাম- না! স্বভাবতই আমি থমকে গেলাম। নিজের অজান্তেই রাথিয়াকে ঘিরে ভালোলাগাগুলো লাট খেতে থাকে বুকের ভেতর। আমি কি তাহলে টারশিয়েরি যুগের বিলুপ্ত কোনো প্রেমিকের ক্ষয়প্রাপ্ত ফসিল?

 শিবগঞ্জ, বগুড়া

ডিএসএস/ 

Header Ad

স্বামীকে মাঠে খাবার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে স্ত্রীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে বজ্রপাতে কুলসুম বেগম (৩৮) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) দুপুরে উপজেলার চরসেনসাস ইউনিয়নের বেড়াচাক্কি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কুলসুম বেগম ওই এলাকার আফসার উদ্দিন মাঝির স্ত্রী।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে মাঠে কৃষিকাজ করছিলেন স্বামী আফসার উদ্দিন মাঝি। দুপুরে স্ত্রী কুলসুম বেগম রান্নাবান্না শেষ করে স্বামীর জন্য খাবার নিয়ে মাঠে রওনা হয়। এসময় বজ্রপাতে হলে তিনি গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়াছিন বলেন, দুপুরে কুলসুম বেগম তার স্বামীর জন্য খাবার নিয়ে মাঠে যাচ্ছিলেন। পরে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয় বলে জানতে পেরেছি। তার মরদেহ চাঁদপুর হাসপাতালে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এক ফোনে ২ সিম ব্যবহার করলেই গুণতে হবে বাড়তি খরচ

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সময়ের সব স্মার্টফোন ও ফিচার ফোনে দুইটি সিম স্লট থাকে। অর্থাৎ এক ফোনে দুইট সিম ব্যবহার করা যায়। এখন থেকে এক ফোনে দুইটি সিম ব্যবহার করলে গুণতে হবে বাড়তি খরচ।

আপনি যদি ভারতীয় নাগরিক হয়ে থাকেন, তবে আপনার জন্য দুঃসংবাদ। এক ফোনে দুইটি সিম ব্যবহার করলে গুণতে হবে বাড়তি খরচ। এজন্য দেশটির মোবাইল ফোন অপারেটর জিও, এয়ারটেল এবং ভিআই পরিষেবার খরচ বাড়াতে চলেছে। সর্বশেষ ২০২১ সালে ভারতে মোবাইল বিল বাড়ানো হয়েছিল।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু প্ল্যানের দাম বাড়লেও সার্বিকভাবে মোবাইল খরচ বৃদ্ধির কোপ পড়েনি। তবে শিগগিরই খরচ বাড়ছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রিপেইড ও পোস্টপেইড প্ল্যানের দাম বাড়াতে জিও, এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়া।

আপনি যদি দুইটি সিম ব্যবহার করেন তাহলে আপনার জন্য সমস্যা বাড়তে পারে। কারণ প্রাইমারি অর্থাৎ মূল সিমের পাশাপাশি দ্বিতীয় সিম চালু রাখার জন্য টাকা খরচ করতে হবে। আর রিচার্জ প্ল্যানের দাম বাড়লে স্বাভাবিক ভাবেই খরচ দ্বিগুণ হয়ে যাবে। বর্তমানে, জিও, এয়ারটেল এবং ভিআইয়ের ন্যূনতম ১৫০ টাকা রিচার্জ প্ল্যান রয়েছে। এটা ফোন চালু রাখার জন্য।

আগামী দিনে এই খরচ ১৫০ রুপি থেকে বাড়িয়ে ২০০ ‍রুপি পর্যন্ত করা হতে পারে। অর্থাৎ আপনার কাছে দুইটি সিম থাকে তাহলে ২৮ দিন চালু রাখার জন্য ৪০০ রুপি খরচ করতে হবে। যা স্বাভাবিক ভাবেই চাপ বাড়াবে সাধারণ মানুষের উপর। তাই যারা বেশি ডেটা, আনলিমিটেড কল এবং অন্যান্য সুবিধা চান তাঁদের আরও বেশি টাকা খরচ করতে হবে।

অসহায়দের সেবা না দিয়ে টাকা ব্যাংকে জমাতেন মিল্টন: ডিবি হারুন

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

অনাথ শিশু, বৃদ্ধ ও মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে পুঁজি করে টাকা সংগ্রহ করতেন চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার। কিন্তু তিনি অসহায়দের সেবা না দিয়ে সেই টাকা নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমাতেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

সোমবার (৬ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, মিল্টনের আশ্রমে যে কয়েকজন অনাথ শিশু, বৃদ্ধ ও মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষ আছে তাদের সহায়তা করতে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বলেছি। তিনি হলেন আলহাজ্ব সামছুল হক ফাউন্ডেশনের কর্নধার। গতকাল তিনি আমাদের কাছে এসেছিলেন। আমরা তাকে অনুরোধ করেছি তার ফাউন্ডেশন যেন চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমে যারা আছে তাদের খাওয়া ও চিকিৎসার ব্যয়ভার আপাতত দেখভাল করে।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ পেয়েছি সেগুলো যাচাই-বাছাই করছি। তার বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ তদন্ত হবে এবং তার সাথে যারা জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, তথাকথিত মানবতার ফেরিওয়ালা মাদকসেবী মিল্টন সমাদ্দার তার আশ্রমে থাকাদের দিয়ে ভিডিও তৈরি করে টাকা কামাতেন। কিন্তু এই টাকাগুলো তিনি সেবার কাজে খরচ করতেন না।

হারুন বলেন, তার আশ্রমে থাকা ব্যক্তিদের নির্যাতনের লোমহর্ষক খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে৷ আপনারা জানেন মিল্টন তার আশ্রমে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের কবরস্থ করার আগে মৃত সনদ ডাক্তারের সিল এবং স্বাক্ষর জাল করে তৈরি করতেন। তিনি ধীরে ধীরে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করছেন। আমরা আশা করছি আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে।

তিনি আরও জানান, সারাদেশে তার অনেক কালেক্টর ছিল। তারা অসুস্থ শিশু বৃদ্ধ এবং প্যারালাইসড ব্যক্তিদের সংগ্রহ করে তার আশ্রমে নিয়ে আসতেন। মিল্টনের আশ্রমে থাকা ব্যক্তিদের স্বজনরা খোঁজখবর নিতো না। ফলে এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিনি কেউ মারা গেলে বা অসুস্থ্য হলে থানাকে অবহিত করতেন না, হাসপাতালে নিয়ে যেতেন না সেবার জন্য।

সর্বশেষ সংবাদ

স্বামীকে মাঠে খাবার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে স্ত্রীর মৃত্যু
এক ফোনে ২ সিম ব্যবহার করলেই গুণতে হবে বাড়তি খরচ
অসহায়দের সেবা না দিয়ে টাকা ব্যাংকে জমাতেন মিল্টন: ডিবি হারুন
সৌদি আরব বাড়িয়ে দিয়েছে তেলের দাম
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছেন ৫০ ফিলিস্তিনি ছাত্রী
সেলফি তুলতে চাওয়ায় ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব
হিট স্ট্রোকে ১৫ দিনে ১৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা ও সমাবেশ
টাইটানিকের সেই ক্যাপ্টেন বার্নার্ড হিল আর নেই
সম্পদ অর্জনে এমপিদের পেছনে ফেলেছেন চেয়ারম্যানরা: টিআইবি
স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে কুমির ভর্তি নদীতে ফেলে দিলেন মা!
অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধের কার্যক্রম শুরু
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ মেনোত্তি মারা গেছেন
বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন বিএনপি নেতা আমান
ফের পেছালো রিজার্ভ চুরি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া
দুপুরের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়
রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় নিহত ২
সারাদেশে ঝড় ও বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৯ জনের মৃত্যু