বুধবার, ৮ মে ২০২৪ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়েন হালিমা খাতুন। বড় বড় করে শ্বাস টানেন। বুকের ব্যথায় ককান। ওয়ার্ডের কর্মী অঞ্জনকে বলে, আপনি মেয়েটিকে নিয়ে সরে যান। আমি ডাক্তারকে খবর দিয়ে আসি। তিনি যেন এসে রোগী দেখেন। অঞ্জন কথা না বলে কুকড়ির হাত ধরে বেরিয়ে আসে। ওকে নিয়েই কলেজে গিয়ে ঢোকে। কমন রুমে ঢোকে। কুকড়িকে ওখানে রেখে পরের ক্লাসে যাবে। কমনরুমে গিয়ে দেখে অনেকে বসে আছে।


মিথিলা বলে, কিরে অঞ্জন এই বাচ্চা কোথায় পেলি তুই?
-রাস্তায় পেয়েছি। শহীদ মিনারের কাছে।
-ওকে এখানে এনেছিস কেন?
-ওকে এখানে বসিয়ে রেখে আমি ক্লাসে যাব। তোরা ওকে দেখেশুনে রাখবি। ও যেন বাইরে বেরিয়ে হারিয়ে না যায়।

মিথিলা ওকে কাছে ডাকে। জিজ্ঞেস করে, তোর নাম কী রে মেয়ে?
কুকড়ি চুপ করে থাকে। ওর কথা বলতে ভয় লাগে। এত বছর বয়স পর্যন্ত ও তো এমন ঘরে ঢোকেনি। এই নতুন পরিবেশ ওকে ভীত করে রেখেছে।
অঞ্জন ওর মাথা নাড়িয়ে বলে, কি রে তোর নাম বলছিস না কেন?
কথা বলে না কুকড়ি। মিথিলা ওর হাত ধরে টেনে এনে নিজের কাছে বসায়।

-তুই ক্লাসে চলে যা অঞ্জন। আমি ওকে দেখে রাখব। তুই ফিরে আসা পর্যন্ত আমি এখানে থাকব। তবে ওকে নিয়ে একটু ক্যান্টিনে যেতে পারি।

-খুব ভালো। ওকে কিছু খাওয়ারে মিথিলা। ও যদি খেতে না পারে তাহলে প্যাকেট করে ওর হাতে দিয়ে দিস। পরে খাবে।

-হ্যাঁ, ঠিক আছে। তুই বলেছিস ও রাস্তার মেয়ে। ওর অনেক কিছু দরকার রে।

-হ্যাঁ, আমি গেলাম। ক্লাস শুরু হওয়ার সময় হয়ে গেছে। ওর নাম কুকড়ি।
অঞ্জন চলে যায়।

কমনরুমে অন্য তিনজন ছেলেমেয়ে এসে মিথিলার কাছাকাছি বসে। কুকড়িকে দেখে।

-কি রে কুকড়ি তুই কেমন আছিস?

-আমি জানি না।

-জানিস না কেন? তোর ভালো লাগছে নাকি খারাপ লাগছে?

-এমন ঘর তো আমি কখনো দেখিনি। সেজন্য ভালো লাগছে। খুব সুন্দর ঘর।

-তোর বাবার নাম কী রে?

-আমি জানি না। আমার বাবাকে আমি দেখিনি।

-তোর বাবা কি মরে গেছে?

-না, বেঁচে আছে।

-কোথায় আছে?

-জানি না।

-তোকে দেখতে আসে না?

-না, আসে না।

মিথিলা সবাইকে থামিয়ে দিয়ে বলে, হয়েছে থাক। ওকে আর প্রশ্ন করিস না। ও আমার কাছে বসে আছে থাকুক। অঞ্জন এসে ওকে নিয়ে যাবে। ওর মা হাসপাতালে।

মনসুর বলে, চল আমরা ক্যান্টিনে যাই। চা খেয়ে আসি।

সবাই উঠে দাঁড়ায়। একসঙ্গে বেরিয়ে আসে। ক্যান্টিনে ঢুকলে কুকড়ি চেঁচিয়ে বলে, আল্লাহ এটা কেমন ঘর?
সবাই হাসে। হাসতে হাসতে মিথিলা বলে, এটা খাবার ঘর।

-খাবার ঘরে পিঁড়া কই?

-এখানে পিঁড়া থাকে না। এখানে সব চেয়ার।

-আয় তোকে চেয়ারে বসিয়ে দেই।

রূপা ওকে উঁচুতে তুলে চেয়ারে বসিয়ে দেয়। কুকড়ি বলে, আমি এখানে বসে খেতে পারব না।

-পারবি। বসে থাক।

ওরা চারজন এক টেবিলে বসে।

বেয়ারা এসে দাঁড়ালে ওকে শিঙাড়া, কেক, আর চা আনতে বলে। খাবারের অর্ডার দিয়ে মিথিলা সবার দিকে তাকিয়ে বলে, হ্যাঁ ঠিক আছে। এর বেশি কিছু এখন আর খাওয়া যাবে না।

কুকড়ি জিজ্ঞেস করে, কেক কী?

-নিয়ে আসুক, তখন দেখবি কেক কী?

-আমি কেক দেখিনি।

-ঠিক আছে, আজকে দেখবি।
ও মাথা নাড়ায়। টেবিলে টুকটুক করে শব্দ করে। রফিক জিজ্ঞেস করে, কিরে এমন করে শব্দ করছিস কেন?

-আমার অনেক খুশি লাগছে। আমার মা এখানে থাকলে আমি আরও খুশি হতাম।

-তুই তোর মাকে খুব ভালোবাসিস না রে কুকড়ি?

-মা ছাড়া তো আমার কেউ নাই।

-খালা, মামা নাই?

-না, বলার সঙ্গে সঙ্গে ও কাঁদতে শুরু করে।

রূপা ওর মাথায় হাত রেখে বলে, চুপ কর সোনা। কাঁদিস না।
বেয়ারা খাবার নিয়ে আসে। মিথিলা বলে, এই যে দেখ এটা কেক। খেয়ে দেখ এটা খুব ভালো লাগবে।

-আমি খাব না।

-কেন রে?

-আমি মাকে কখনো খেতে দেখিনি।

-তুই এটা খা। আমরা তোর মায়ের জন্য আর একটা দেব। তুই নিয়ে মাকে খাওয়াবি।

ও খুশি হয়ে ঘাড় নেড়ে বলে, আচ্ছা। খাই। মুখে পুরে খুশিতে উচ্ছ¡সিত হয়ে ওঠে। মুখ থেকে হাসি ফুরোয় না। সবাই ওর দিকে তাকিয়ে থাকে। চোখ ফেরাতে পারে না ওকে দেখে। একটি শিশুর মায়াবী চেহারা ওদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। সবার মাথায় ওর বড় হওয়ার ভাবনা জেগে থাকে। মিথিলা সবার দিকে তাকিয়ে বলে, অঞ্জনকে বলতে হবে ও যেন আর পথের মেয়ে না হয়।

-ঠিক বলেছিস। আমরা সবাই মিলে ওর দেখাশোনা করব।

কুকড়ি মনের আনন্দে কেক খেয়ে শিঙাড়ায় কামড় বসায়। ওদের কথা ও ঠিকমতো শোনে না এবং বুঝতেও পারে না।

ওর শিঙাড়া খাওয়া শেষ হলে মিথিলা বলে, চা খাবি রে?

-হ্যাঁ, ও জোরে জোরে মাথা নাড়ায়। আমি এক দিন-দুই দিন চা খেয়েছি। এখন খাব।

চা শেষ করে সবাই কমনরুমে ফিরে আসে। কুকড়ির হাতে দেওয়া হয়েছে কাগজে মুড়িয়ে ওর মায়ের জন্য শিঙাড়া আর কেক। মিথিলা ওকে বলে, তুই এখানে বসে থাক। ঘর থেকে বের হবি না। একটু পরে তোর অঞ্জন ভাইয়া আসবে। আমরা ক্লাসে যাই।

ও হাসতে হাসতে বলে, হ্যাঁ যান।

 

চলবে....

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

 

Header Ad

বিমানবন্দরেই মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় সংসদের অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং আওয়ামী লীগের ভেতর থেকেও ২০০৭ সালের ৭ মে দেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে এলে বিমানবন্দরেই মেরে ফেলা হবে, এমন হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। ২০০৭ সালের ৭ মে সব বাধা উপেক্ষা করে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে অনির্ধারিত এই আলোচনার সূত্রপাত করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। বহুল আলোচিত ওয়ান-ইলেভেনের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে উত্থাপিত এ আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য আহমদ হোসেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকের দিনটা (৭ মে) আমার জীবনের অনন্য দিন, কারণ আমি সেদিন দেশে ফিরে এসেছিলাম শত বাধা অতিক্রম করে। আমাকে সেই সময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনেক উপদেষ্টাও ফোনে বলেছিল আপনি আসবেন না, আপনি বাইরে থাকেন, যা যা লাগে করব। আবার কেউ কেউ ধমকও দিয়েছিল। এ কথা বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে ফিরলে ওই এয়ারপোর্টেই মেরে ফেলে দেবে। আমি বলেছিলাম আলহামদুলিল্লাহ, আমি নিজের দেশের মাটিতেই তো কিন্তু আমি আসব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল এয়ারলাইন্সকে নিষেধ করা হয়েছিল, আমাকে বোর্ডিং পাস যেন না দেওয়া হয়। আমেরিকায় তিন ঘণ্টা এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে তাদের সঙ্গে ঝগড়া করে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে লন্ডন পর্যন্ত আসি। লন্ডনে যেদিন আমি বিমানে উঠতে যাব উঠতে দেওয়া হয়নি। সে দিন আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যেভাবেই হোক আমি দেশে ফিরব। এমনকি আমি যখন এয়ারপোর্টে রওনা হই, তখন অনেকে আমাকে ফোনে বলেছে আপনি আসবেন না, আসলে আপনাকে মেরে ফেলে দেবে। আমি পরোয়া করিনি। তবে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও কর্মী ভাইদের প্রতি।

শেখ হাসিনা বলেন, তখন বলা হয়েছিল যে কেউ যেন এয়ারপোর্ট না যায়। এমনকি আমার দলের ভেতর থেকেও। তখন দলের যিনি সেক্রেটারি ছিলেন তিনি সবাইকে বলে দিয়েছিলেন এয়ারপোর্টে গেলে তাকে বহিষ্কার করা হবে। আর আমাদের নেতা-কর্মী কেউ রাস্তায় থাকতে পারবে না। আমি শুধু একটাই মেসেজ দিয়েছিলাম সবাই থাকবে। আমরা গেরিলা যুদ্ধ করেছি, সবাই থাকবা, তবে ঘাসের সঙ্গে থাকবা, আমি বলেছিলাম আমার প্লেনটা না নামা পর্যন্ত, আমি দরজা খুলে না বের হওয়া পর্যন্ত তোমরা বের হবে না।

তিনি বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল, আমি গাড়িতে উঠলে আমাকে একটা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি ড্রাইভারকে বলেছিলাম যেদিকে মানুষ যাচ্ছে সেদিকে যাবা, ফ্লাইওভারের উপরে উঠবা না। হাজার হাজার মানুষ তখন রাস্তায়। আমার দলের কিছু লোকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শুধু সংবর্ধনা নয় আমাকে নিরাপত্তাও দিয়েছে নেতা-কর্মীরা।

তিনি আরও বলেন, সেই সময় কালে ভদ্রে দুই এক জন আমার কাছে আসতে পারত। সাবিনা ইয়াসমিন অসুস্থ, আমি গেরিলা কায়দায় বেরিয়ে গিয়েছিলাম। পুলিশের চোখ এড়িয়ে আমি হাসপাতালে যাই। সেদিন সেখানে আমি খুব কড়া কথা বলি, আমি বলেছিলাম সে সময় দেশ চালাচ্ছে কে? পরের দিন সকালে পুলিশ এসে হাজির। আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে সংসদ ভবনের এক পরিত্যক্ত নোংরা ভবনে। সেখানেই আমাকে বন্দি করে রাখা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু এই দিন নয়, ৮৩ সালেও এরশাদ সাহেব আমাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছিল ৩০ হেয়ার রোডে লাল দালানে। সেখান থেকে ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে। এরশাদ সাহেব আমাকে আরও কয়েকবার গ্রেপ্তার করে। আমি মতিয়া আপা, সাহারা আপা (এখন নেই) আমাদের তিনজনকে এক সঙ্গে নিয়ে কন্ট্রোল রুমে সারা রাত বসিয়ে রাখে। শুধু তাই নয়, বার বার গ্রেপ্তার সরাসরি গুলি বোমা গ্রেনেড সব কিছু অতিক্রম করে আজকে এখানে এসে জনগণের সেবা করতে পারছি। এখন আমি শুধু দাঁড়িয়েছি, বাংলাদেশের জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানাতে, দলের নেতা-কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানাতে।

হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা! সিসিটিভি ফুটেজে পর্দাফাঁস স্ত্রীর

স্বামীকে নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা! শুধু তাই নয়। স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও করেন স্ত্রী।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বিজনোরে। যদিও অভিযুক্ত মহিলার অভিযোগ, স্বামী তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করেন। তিনি প্রতিবাদ করলে স্বামী তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন। যার জেরে নিজের প্রাণ বাঁচাতেই তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে পুলিসের কাছে দাবি করেছেন অভিযুক্ত স্ত্রী। খবর: জি ২৪ ঘণ্টা

তবে পুলিশ এই ঘটনায় নির্যাতনের অভিযোগে ২৮ বছরের ওই স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। পুরো ঘটনাটি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। নির্যাতিত স্বামী বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তার অভিযোগ, অভিযুক্ত মেহের জাহান ২৯ এপ্রিল দুধে নেশার সামগ্রী মিশিয়ে স্বামীকে সেই দুধ পান করতে বাধ্য করেন। এরপর স্বামী বেহুঁশ হয়ে পড়লে স্বামীর হাত-পা বেঁধে তার সারা শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়। শুধু তাই নয় সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে তার সারা শরীর পুড়িয়ে দেয়। এমনকি গোপনাঙ্গেও ছ্যাঁকা দেয়। গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ।

জানা গেছে, গত নভেম্বরের ১৭ তারিখ সেওহারা থানা এলাকার সাফিয়াবাদ গ্রামের বাসিন্দা মেহের জাহানকে বিয়ে করেন মান্নান। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি। স্বামীর অভিযোগ, বিয়ের কয়েকদিন পর তিনি দেখতে পান যে তার স্ত্রী মদ্যপ এবং ধূমপান করেন। তিনি বাধা দিলে স্ত্রী তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন।

পাল্টা মেহের জাহানেরও অভিযোগ, স্বামী মান্নান তার উপরে নির্যাতন চালান বিবাদের সময়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত জাতীয় পরিচয়পত্র হস্তান্তর করছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (৭ মে) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে এ পরিচয়পত্র হস্তান্তরের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে সংস্থাটি।

এদিন দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত জাতীয় পরিচয়পত্রটি হস্তান্তর করেন।

এসময় সচিব কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। পর্যায়ক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, এটি মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের অনন্য স্বীকৃতি। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান জাতি সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।

মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের কল্যাণে সম্মানী ভাতা বৃদ্ধিসহ সরকারের নানা উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং যেকোনো প্রয়োজনে সরকার সবসময় তাদের পাশে থাকবে।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ

বিমানবন্দরেই মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী
হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা! সিসিটিভি ফুটেজে পর্দাফাঁস স্ত্রীর
বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে কড়াকড়ির মানে ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’: দেবপ্রিয়
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বিমান হামলার সাইরেন
বন্ধুদের আড্ডায় রাসেল ভাইপারের ছোবল, প্রাণ গেল রাবি শিক্ষার্থীর
সিক্স-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে হাজির জাপান, গতি ফাইভ-জি’র চেয়ে ২০ গুণ
হ্যাটট্রিক জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তৃতীয় বিয়ের আলোচনার মধ্যে ‘তুফান’ নিয়ে হাজির শাকিব খান
ডেঙ্গুতে আমার মা মারা গেছেন, আর কেউ যেন মারা না যায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সিনেমায় আসছেন সোহেল চৌধুরী–দিতির কন্যা লামিয়া
৬ মাসের মধ্যে শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালু : মন্ত্রী
টানা পঞ্চমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন পুতিন
ডামি ও প্রতারণার উপজেলা নির্বাচনের সঙ্গে জনগণ নেই : রিজভী
কারওয়ান বাজারে হঠাৎ প্রাইভেটকারে আগুন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে লাগবে ডোপ টেস্ট
ম্যাডোনার কনসার্টে হাজির ১৬ লাখ দর্শক
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পেল যেসব সংবাদমাধ্যম