রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিমানবন্দরেই মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় সংসদের অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং আওয়ামী লীগের ভেতর থেকেও ২০০৭ সালের ৭ মে দেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে এলে বিমানবন্দরেই মেরে ফেলা হবে, এমন হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। ২০০৭ সালের ৭ মে সব বাধা উপেক্ষা করে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে অনির্ধারিত এই আলোচনার সূত্রপাত করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। বহুল আলোচিত ওয়ান-ইলেভেনের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে উত্থাপিত এ আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য আহমদ হোসেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকের দিনটা (৭ মে) আমার জীবনের অনন্য দিন, কারণ আমি সেদিন দেশে ফিরে এসেছিলাম শত বাধা অতিক্রম করে। আমাকে সেই সময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনেক উপদেষ্টাও ফোনে বলেছিল আপনি আসবেন না, আপনি বাইরে থাকেন, যা যা লাগে করব। আবার কেউ কেউ ধমকও দিয়েছিল। এ কথা বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে ফিরলে ওই এয়ারপোর্টেই মেরে ফেলে দেবে। আমি বলেছিলাম আলহামদুলিল্লাহ, আমি নিজের দেশের মাটিতেই তো কিন্তু আমি আসব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল এয়ারলাইন্সকে নিষেধ করা হয়েছিল, আমাকে বোর্ডিং পাস যেন না দেওয়া হয়। আমেরিকায় তিন ঘণ্টা এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে তাদের সঙ্গে ঝগড়া করে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে লন্ডন পর্যন্ত আসি। লন্ডনে যেদিন আমি বিমানে উঠতে যাব উঠতে দেওয়া হয়নি। সে দিন আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যেভাবেই হোক আমি দেশে ফিরব। এমনকি আমি যখন এয়ারপোর্টে রওনা হই, তখন অনেকে আমাকে ফোনে বলেছে আপনি আসবেন না, আসলে আপনাকে মেরে ফেলে দেবে। আমি পরোয়া করিনি। তবে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও কর্মী ভাইদের প্রতি।

শেখ হাসিনা বলেন, তখন বলা হয়েছিল যে কেউ যেন এয়ারপোর্ট না যায়। এমনকি আমার দলের ভেতর থেকেও। তখন দলের যিনি সেক্রেটারি ছিলেন তিনি সবাইকে বলে দিয়েছিলেন এয়ারপোর্টে গেলে তাকে বহিষ্কার করা হবে। আর আমাদের নেতা-কর্মী কেউ রাস্তায় থাকতে পারবে না। আমি শুধু একটাই মেসেজ দিয়েছিলাম সবাই থাকবে। আমরা গেরিলা যুদ্ধ করেছি, সবাই থাকবা, তবে ঘাসের সঙ্গে থাকবা, আমি বলেছিলাম আমার প্লেনটা না নামা পর্যন্ত, আমি দরজা খুলে না বের হওয়া পর্যন্ত তোমরা বের হবে না।

তিনি বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল, আমি গাড়িতে উঠলে আমাকে একটা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি ড্রাইভারকে বলেছিলাম যেদিকে মানুষ যাচ্ছে সেদিকে যাবা, ফ্লাইওভারের উপরে উঠবা না। হাজার হাজার মানুষ তখন রাস্তায়। আমার দলের কিছু লোকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শুধু সংবর্ধনা নয় আমাকে নিরাপত্তাও দিয়েছে নেতা-কর্মীরা।

তিনি আরও বলেন, সেই সময় কালে ভদ্রে দুই এক জন আমার কাছে আসতে পারত। সাবিনা ইয়াসমিন অসুস্থ, আমি গেরিলা কায়দায় বেরিয়ে গিয়েছিলাম। পুলিশের চোখ এড়িয়ে আমি হাসপাতালে যাই। সেদিন সেখানে আমি খুব কড়া কথা বলি, আমি বলেছিলাম সে সময় দেশ চালাচ্ছে কে? পরের দিন সকালে পুলিশ এসে হাজির। আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে সংসদ ভবনের এক পরিত্যক্ত নোংরা ভবনে। সেখানেই আমাকে বন্দি করে রাখা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু এই দিন নয়, ৮৩ সালেও এরশাদ সাহেব আমাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছিল ৩০ হেয়ার রোডে লাল দালানে। সেখান থেকে ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে। এরশাদ সাহেব আমাকে আরও কয়েকবার গ্রেপ্তার করে। আমি মতিয়া আপা, সাহারা আপা (এখন নেই) আমাদের তিনজনকে এক সঙ্গে নিয়ে কন্ট্রোল রুমে সারা রাত বসিয়ে রাখে। শুধু তাই নয়, বার বার গ্রেপ্তার সরাসরি গুলি বোমা গ্রেনেড সব কিছু অতিক্রম করে আজকে এখানে এসে জনগণের সেবা করতে পারছি। এখন আমি শুধু দাঁড়িয়েছি, বাংলাদেশের জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানাতে, দলের নেতা-কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানাতে।

Header Ad

১৭ মন্ত্রী-এমপির স্বজন চেয়ারম্যান প্রার্থী: টিআইবি

ছবি: সংগৃহীত

মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তবুও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের অংশগ্রহণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মন্ত্রী-এমপিদের ১৭ জন স্বজন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে প্রথম ধাপে মন্ত্রী-এমপিদের ১৩ জন স্বজন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

মন্ত্রী-এমপিদের ১৭ জন স্বজন হলেন- নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় নুরুজ্জামান আহমেদের ছোট ভাই মাহবুবুজ্জামান আহমেদ, কুমিল্লা সদরে আ হ ম মুস্তফা কামালের ছোট ভাই গোলাম সারওয়ার, জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় নূর মোহাম্মদের ভাই নজরুল ইসলাম, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় জিল্লুল হাকিমের চাচাতো ভাই ইহসানুল হাকিম সাধন, দৌলতপুর উপজেলায় রেজাউল হক চৌধুরীর ভাই বুলবুল আহমেদ টোকন।

নড়াইলের লোহাগাড়া উপজেলায় মাশরাফি বিন মুর্তজার চাচা শ্বশুর ফয়জুল হক রোম, চুয়াডাঙ্গা সদরে সুলাইমান হক জোয়ারদারের ভাইয়ের ছেলে নাঈম হাসান জোয়ারদার, শরীয়তপুর সদরে ইকবাল হোসেন অপুর চাচাতো ভাই বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া, বগুড়ার আমদিঘি উপজেলায় মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ মেহেদির পিতা সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় মোরশেদ আলমের পুত্র সাইফুল ইসলাম দীপু, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় আলী আজম মুকুলের ভগ্নিপতি মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় রুমানা আলীর বড় ভাই জামিল হাসান দুর্জয়, সিলেটের উহাবল উপজেলায় মোহাম্মদ আবু জাহিরের শ্যালক আখতারুজ্জামান, পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় মোহাম্মদ মকবুল হোসেনের পুত্র গোলাম হাসনাইন, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নুর উদ্দিন চৌধুরীর ভগ্নিপতি মামুনুর রশিদ, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুর জামান।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় টিআইবি।

দ্বিতীয় ধাপের ভোটে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পেয়েছে টিআইবি।

সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি জানায়, কোথাও কোথাও সংসদ সদস্যদেরও সম্পদ বৃদ্ধিতে পেছনে ফেলেছেন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা। এবার নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ৭১ শতাংশ প্রার্থীই ব্যবসায়ী।

টিআইবি তাদের বিশ্লেষণে জনায়, পদে না থাকাদের তুলনায় থাকাদের আয় ও সম্পদ বেড়েছে অনেক বেশি। ২৫ শতাংশ প্রার্থীর ঋণ রয়েছে। প্রতি চারজন প্রার্থীর একজন ঋণগ্রস্ত প্রার্থী রয়েছেন। মোট প্রার্থীর মধ্যে ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রার্থী বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত।

উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের তথ্য বিশ্লেষণে টিআইবি জানায়, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে পাঁচ বছরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর আয় বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার শতাংশ। এক্ষেত্রে দেখা যায় অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে সাড়ে ১১ হাজার ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ১২ হাজার ৪০০ শতাংশ।

টিআইবি আরও জানায়, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান মিলে মোট প্রার্থী এক হাজার ৮১১ জন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৩৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১৬৭ জন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান ৬০ জনসহ মোট ৪৬২ জন প্রার্থী ঋণগ্রস্ত।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সংসদের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একদলীয় প্রভাব রয়েছে। অধিকাংশ প্রার্থী এক দলের। এটাকে সুস্থ গণতন্ত্র বলা যায় না।

তিনি বলেন, রাজনীতির সঙ্গে সম্পদ বৃদ্ধি সম্পর্কিত- সেটা দেখা গেছে, যে কারণে সবাই ভোটে জিততে চান।

দ্বিতীয় ধাপে টাঙ্গাইলে ৩ উপজেলায় নির্বাচন, আইন-শৃংখলা রক্ষায় জেলা পুলিশের ব্রিফিং

টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ উদ্যোগে পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস শেডে আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে নির্বাচনী ব্রিফিং প্যারেড। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর, কালিহাতী ও ঘাটাইল তিন উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে নির্বাচনী ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১৯ মে) দুপুরে জেলা পুলিশ উদ্যোগে পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস শেডে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সরকার মোহাম্মদ কায়সার বিপিএম।

বক্তারা ভূঞাপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ডিউটিতে দায়িত্বরত সকল অফিসার ও ফোর্সদের দায়িত্ব-কর্তব্য ও করণীয়-বর্জনীয় সর্ম্পকে বক্তব্য প্রদান এবং নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করা নিদের্শনা প্রদান করেন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এছাড়া ভোট কেন্দ্রে আইন-শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যদেরকে মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্যরা বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানসহ জেলার আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে বিভিন্ন দিক-নিদের্শনাও প্রদান করেছেন।

এ সময় টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কর্মকর্তারা সহ উপজেলা নির্বাচন ডিউটিতে দায়িত্বরত সকল অফিসার ও ফোর্সবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মিশা-ডিপজল দুজনেই মূর্খ: নিপুণ

ছবি: সংগৃহীত

নতুন করে আলোচনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। সম্প্রতি নবনির্বাচিত কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার। নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এই ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। পাশাপাশি নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমে নিপুণ বলেন, ‘যেহেতু আমি হাইকোর্টে রিট করেছি, তাই এসবের জবাব সেখান থেকে আসবে। কারণ, কথা যত বলব, ততই কথা বাড়বে, তা-ই না? যেহেতু আমি অনিয়ম নিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় হেঁটেছি, তাই আইনিভাবে সব মোকাবিলা হবে। তবে একটা কথা বলব, মূর্খ লোকদের সঙ্গে কথা বলার একদমই ইচ্ছা আমার নেই।’

 

ছবি: সংগৃহীত

কাদের মূর্খ বলছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে নিপুণ বলেন, ‘অবশ্যই মূর্খ মিশা-ডিপজল দুজনেই। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার কোনো ধরনের ইচ্ছাই আমার নেই। তা ছাড়া মিশা ভাই তো ভীষণ মিথ্যুক একজন মানুষ। ওনাদের সঙ্গে এখন এই বিষয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে কথা হবে। এটাই সবচেয়ে ভালো উপায়।’

বর্তমানে নিপুণ রয়েছেন আমেরিকায়। বললেন, ‘আমার লস অ্যাঞ্জেলেসের বন্ধুরা তো হাসে, বলে, ‘হু ইজ ডিপজল? সে কী করে? সিনেমায় তাঁর কী অবদান, অশ্লীলতা ছড়ানো ছাড়া? তাঁর সময় তো সিনেমা অশ্লীলতায় ছেয়ে যায়।’ সিনেমায় না এলে আমিও হয়তো আমার এসব বন্ধুদের মতো ওনাদের নাম শুনলে হাসতাম, নাক সিঁটকাতাম! আজ আমি ফিল্মে আসছি বলেই হয়তো আমার নাম নিয়ে কথা বলতে পারছেন।’

এদিকে, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সমিতির কার্যকরী সভা শেষে বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব জানান, নিপুণের সদস্য পদ বাতিল হতে পারে। গণমাধ্যমে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন তিনি। তাঁর সদস্যপদ কেন বাতিল করা হবে না, সেটি জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি।

এ বিষয়ে নিপুণের ভাষ্য, ‘সদস্যপদের সঙ্গে কোর্টের কোনো সম্পর্ক নেই। রিট যেহেতু করেছি, ওনাদের কোর্টে আসতেই হবে। আর তিনি যদি সদস্যপদ খারিজ করতেই চায়, তাহলে সেটার জন্যও কোর্ট রয়েছে। দেশে তো আইন রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। যেখানে জয় লাভ করে মিশা-ডিপজল পরিষদ। কিন্তু এই ফলাফল বাতিল চেয়ে এখন আদালতের দ্বারস্ত হয়েছেন নিপুণ।

 

সর্বশেষ সংবাদ

১৭ মন্ত্রী-এমপির স্বজন চেয়ারম্যান প্রার্থী: টিআইবি
দ্বিতীয় ধাপে টাঙ্গাইলে ৩ উপজেলায় নির্বাচন, আইন-শৃংখলা রক্ষায় জেলা পুলিশের ব্রিফিং
মিশা-ডিপজল দুজনেই মূর্খ: নিপুণ
পুকুর খননের মাটির ভেতর থেকে মিলল কষ্টি পাথরের লক্ষ্মী-নারায়ন মূর্তি
ভারতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য
কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন দিল অটোরিকশাচালকরা
‘পৃথিবী থেকে বিদায়,ভালো থাকো সবাই, সব শেষ আমার’ লিখে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে যুবকের আত্নহত্যা
মেট্রোরেলের উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে পাঁচ স্টেশন
টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ হারালো রাজমিস্ত্রী
পৃথিবীতে ধেয়ে আসতে পারে আরও ভয়ানক সৌরঝড়
পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঈদের আগেই মসলার বাজার গরম, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অযুহাত ব্যবসায়ীদের
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংক : অমিত শাহ
কারও কাছে ভিক্ষা করে দেশের মানুষ চলবে না : প্রধানমন্ত্রী
যশোরে বিনা যৌতুকে ৫০ জোড়া তরুণ-তরুণীর বিয়ে
বাংলাদেশের স্টাইলে ভোট করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী : অরবিন্দ কেজরিওয়াল
রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ কর্মী নিহত
টাঙ্গাইলে পুলিশকে পিটিয়ে আসামি ছিনতাই