এয়ারট্যাগের অপব্যবহার কমাবে অ্যাপল
গেল বছরের এপ্রিলে অ্যাপল বাজারে ছাড়ে ক্ষুদ্র ফাইন্ডিং ডিভাইস 'এয়ার ট্যাগ'। এই ডিভাইসগুলোর আকৃতি বোতামের মত গোলাকার ও ক্ষুদ্র। ডিভাইসগুলি লাগেজ, চাবির রিং, মানিব্যাগ বা ব্যাকপ্যাকের সাথে সংযুক্ত করা হয়। যাতে এগুলো হারিয়ে গেলে বা ইমিগ্রেশনের পর লাগেজ বেল্ট থেকে খুঁজে পেতে সহজ হয়।
এই এয়ারট্যাগের ব্যবহার বিধিতে পরিবর্তন আনা এবং আরও কঠিন করার ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। সংস্থাটি বলেছে, ডিভাইসে পরিবর্তনগুলি ব্যবহারকারীদের আশেপাশে থাকা সন্দেহজনক ট্যাগগুলি খুঁজে পাওয়া সহজ করবে এবং আগে থেকেই সতর্ক করবে যে অনাকাঙ্খিত একটি এয়ারট্যাগ তাদের ট্র্যাক করছে।
এয়ার ট্যাগ গুলো মূলত হারিয়ে যাওয়া আইটেমগুলি সনাক্ত করতে অ্যাপলের 'ফাইন্ড মাই' নেটওয়ার্কের সাথে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। কিন্তু ডিভাইসগুলিকে গাড়িতে বা ব্যাগের মতো ব্যক্তিগত জিনিসে লুকিয়ে রেখে কাউকে ট্র্যাক করার জন্য অপব্যবহার করা যেতে পারে। এ নিয়ে জানুয়ারিতে বেশ কয়েকজন মহিলা আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা বিবিসি-কে জানিয়েছিলেন যে তাদের এয়ারট্যাগ ব্যবহার করে অনুসরণ করা হয়েছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে এসব অপব্যবহারকে আরও কঠিন করার পরিবর্তনের অংশ হিসাবে, অ্যাপল বলেছে যে প্রত্যেক ব্যবহারকারী প্রথমবার তাদের এয়ারট্যাগ সেট আপ করার জন্য একটি বার্তা দেখতে পাবেন যে, সতর্কতা ব্যতীত ডিভাইসটি ব্যবহার করে সম্মতি ছাড়া লোকেদের ট্র্যাক করা বিশ্বের অনেক অঞ্চলে একটি অপরাধ।
নতুন আপডেটে, আইফোন ব্যবহারকারীরা এবং অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা (যারা অ্যাপ ডাউনলোড করেন) যদি একটি অজানা এয়ারট্যাগ তাদের সাথে চলে যায় তাহলে তারা "অবাঞ্ছিত ট্র্যাকিং" সতর্কতা পাবেন। এবং আইফোন ইলেভেন, টুয়েলভ ও থারটিন ডিভাইসের ব্যবহারকারীরা একটি অজানা এয়ারট্যাগের দূরত্ব এবং দিকনির্দেশ দেখতে সক্ষম হবেন। যেটা পূর্বে শুধুমাত্র এয়ারট্যাগের এর মালিকই করতে পারতেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে হারানো জিনিস খুঁজে পেতে এয়ারট্যাগ নিঃসন্দেহে খুবই ভালো ডিভাইস। কিন্তু এর নিখুঁত ফলাফল অপব্যবহারও করা সম্ভব। আর যেহেতু এয়ারট্যাগ গুলো একদমই নতুন ডিভাইস, এটাও নিশ্চিত করে বলা যায় যে অ্যাপল জননিরাপত্তার বিষয়টি এখনও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত করে তুলতে পারেনি।