জেনে নিন ফেসবুক পোস্টের রিচ কমার কারণ ও তা বাড়ানোর কৌশল
ছবি: সংগৃহীত
ফেসবুক পোস্টের রিচ কমে যাওয়া মানে কোনো ছবি, ভিডিও বা স্ট্যাটাস ফ্রেন্ড ও ফলোয়ারদের ফিডে না পৌঁছানোকেই বোঝানো হয়। এর ফলে লাইক, কমেন্ট আগের তুলনায় কমে যায়। ২০২৩ সাল থেকে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এমন অভিযোগ করছেন। তবে জেনে অবাক হবেন যে, ফেসবুক নিজেই রিচ কমিয়ে দেয়।
কেন ফেসবুক পোস্টের রিচ কমে যায়-
ফেসবুক নিয়মিত তার অ্যালগরিদম আপডেট করে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য কখনো কখনো অজানা থেকে যায়। ফেসবুকের অ্যালগরিদম পোস্টের র্যাংকিং নির্ধারণ করতে চারটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে।
কনটেন্টের উৎস: ব্যবহারকারীর পোস্ট করা কনটেন্ট নিজস্ব কি না এবং সেই কনটেন্টের উৎস নির্ভরযোগ্য কি না, তা ফেসবুক পর্যালোচনা করে। ফলো করা পেজ বা বন্ধুদের পোস্টই সাধারণত ফিডে বেশি দেখায়।
কনটেন্টের ধরন: ব্যবহারকারী যে ধরনের কনটেন্টের সঙ্গে বেশি ইন্টার্যাক্ট করে (লাইক, কমেন্ট, শেয়ার), সেই ধরনের কনটেন্টই তার ফিডে বেশি দেখানো হয়।
কনটেন্ট এনগেজমেন্ট: ফিডে সেই পোস্টগুলোই বেশি দেখায় যেগুলোতে বন্ধুদের মধ্যে বেশি ইন্টারঅ্যাকশন হয়।
কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড: যেসব পোস্ট ফেসবুকের নীতিমালা লঙ্ঘন করে, সেগুলোর রিচ কমিয়ে দেওয়া হয়। ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস মেনে চলা কনটেন্টই বেশি রিচ পায়।
ফেসবুক পোস্টের রিচ বাড়াতে করণীয়-
কনটেন্টের মান ও যাচাই: প্রোফাইল বা পেজে কী ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করছেন, তা খেয়াল রাখুন। বন্ধুতালিকা ও ফলোয়ারের চাহিদা অনুযায়ী কনটেন্ট শেয়ার করুন। যেকোনো তথ্য, ছবি, ভিডিও শেয়ার করার আগে সেটির সত্যতা যাচাই করা জরুরি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভ্যস্ত হওয়ার ফলে আমাদের মধ্যে অনেককেই ‘ফোমো’ বা ‘ফিয়ার অব মিসিং আউট’ সমস্যায় পেয়ে বসেছে। অর্থাৎ আমরা অনেকেই কিছুক্ষণ ফেসবুকে না থাকলে মনে করি, ‘আরে, আমি তো ফেসবুকে নাই, এখন কী না কী হয়ে যাচ্ছে! মানুষ না জানি কত কিছু শেয়ার করে কত লাইক-কেমন্ট-শেয়ার পাচ্ছে!’ অর্থাৎ এই ফোমোর কারণে অনেকেই যাচাই–বাছাই না করেই কিছু একটা পোস্ট করে বসেন। এ ধরনের পোস্ট চিহ্নিত করার জন্য ফেসবুক বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্বও দিয়েছে, যাদের বলা হয় ‘ফ্যাক্ট চেকার’। তাই কিছু পোস্ট করার আগে তথ্য যাচাই অত্যন্ত জরুরি। তথ্য যাচাইয়ের জন্য গুগল, কোনো সংবাদমাধমের খবর হলে সেই প্রতিষ্ঠানের ভ্যারিফায়েড পেজ বা ওয়েবসাইট, ছবির ক্ষেত্রে গুগল লেন্স, রিভার্স ইমেজ সার্চ ইত্যাদি ব্যবহার করা।
বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করা: ভিডিও, লাইভ ভিডিও, ছবি ও রিলস পোস্ট করা, কারণ ফেসবুক বর্তমানে এসব কনটেন্টকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে।
প্রোফাইল বা পেজ হেলথ: পোস্ট রিচ ও এনগেজমেন্ট বেশি হওয়ার জন্য ব্যক্তির প্রোফাইল বা পেজের ‘স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা’ বজায় রাখা জরুরি। কিছু অসাধু ব্যক্তি বা সংগঠন ভাইরাল হওয়ার উদ্দেশ্যে অনেক ভুয়া তথ্য ছড়ায়। এ ধরনের পোস্ট শেয়ার থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ভুয়া প্রোফাইলকে বন্ধুতালিকায় যুক্ত করা যাবে না। ফেসবুক অ্যালগরিদম এ ধরনের ভুয়া তথ্য বা বন্ধুতালিকায় থাকা ভুয়া প্রোফাইল নিয়মিত চিহ্নিত করে এবং সেসব প্রোফাইল বা পেজের রিচ কমিয়ে দেয়।