একটি স্মার্টফোনের গড় আয়ু কত,জানেন কি?
ছবি সংগৃহিত
ওষুধপত্র হোক বা যেকোনো ব্যবহার জিনিসের ক্ষেত্রেই এক্সপায়ারি ডেট তার প্যাকেটের মধ্যেই লেখা থাকে। কিন্তু কখন ভেবে দেখেছেন একটি স্মার্টফোনের এক্সপায়ারি ডেট বা আয়ু কতদিন থাকে? যদিও কোন কোম্পানি এই ধরনের কিছু উল্লেখ করেনা। তবে এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানানো হয়েছে একটি স্মার্টফোনের আয়ু কতদিন থাকে।
এখনকার দিনে স্মার্টফোন শুধু ফোন কল কিংবা বিনোদনের জন্যই নয়, অনেক জরুরি কাজেও খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি অনেক স্কুল পড়ুয়াদেরও পড়াশোনার বিষয়ে খুঁটিনাটি নানান তথ্য সংগ্রহের জন্য-ও এই স্মার্টফোন এখনকার দিনে খুবই দরকারি একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস।
তাই আট থেকে আশি প্রায় সব বয়সী মানুষদের হাতেই এখন থাকে একটা করে স্মার্ট ফোন। বলতে গেলে সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত আমাদের সর্বক্ষণের সঙ্গী এই মুঠোফোন। তবে যত দামি মোবাইল ফোনই কেনা হোক না কেন তা ব্যবহারের সাথে সাথে পুরনো হবেই। আর ইলেক্ট্রনিক জিনিস পুরনো হওয়া মানেই তার গড় আয়ু (Life Span) কমে আসা।
আর এরফলে সময়ের সাথে সাথে এই সমস্ত পুরনো জিনিসের খারাপ হওয়ার প্রবণতাও বাড়তে থাকে। তাই কারও পুরনো মোবাইলে সাউন্ডের সমস্যা তো কারও আবার স্পিড কমে যাওয়া কিংবা ব্যাটারির খারাপ হওয়ার সমস্যা লেগেই থাকে। তবে একথাও ঠিক এখনকার দিনে বাজারে স্মার্টফোনের ব্যাপক চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই একের পর এক নতুন স্মার্টফোন লঞ্চ করছে বিভিন্ন কোম্পানি।
তবে এমনও অনেকে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী আছেন যারা ৩-৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে একই স্মার্টফোন ব্যবহার করে চলেছেন। তবে এখানে বলে রাখি, স্মার্টফোন এমন একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যার ব্যাটারিতে একাধিক কেমিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করা হয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর সেগুলির মেয়াদ-ও শেষ হয়ে যায়।
তবে স্মার্টফোনের ‘গড় আয়ু’ বলে কিছু হয় না। তাই কেউ চাইলে প্রয়োজন মতো ব্যাটারি বা অন্যান্য পার্টস পরিবর্তন করেই পুরোনো মোবাইল ব্যবহার করতে পারেন।মোদ্দা কথা হল স্মার্টফোনের এক্সপায়ারি ডেট বলে কিছু হয় না। বাজারে এখন বিভিন্ন নামি-দামি কোম্পানির মোবাইল বিক্রি হলেও এমন অনেকেই আছেন যারা ব্র্যান্ডেড স্মার্টফোন ব্যবহার করেন।
কোনও রিপ্লেসমেন্ট ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে দিব্যিও একই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। আসলে এই ধরনের ফোনে যে চিপ এবং ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করা হয় তা অনেক বছর লাস্টিং করে। যদিও এখন স্মার্টফোন নির্মাতারা ২-৩ বছর পর স্মার্টফোনের সফটওয়্যার আপডেট করা বন্ধ করে দেয়। তাই পুরনো স্মার্টফোন আর ব্যবহার করা যায় না। এমনকি অনেক কোম্পানি ২-৩ বছর পর ওই নির্দিষ্ট মডেলের অ্যাকসেসরিজ তৈরিও বন্ধ করে দেয়।
তাহলে একটি স্মার্টফোন কত বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে? আসলে এর কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। এটি মূলত নির্ভর করছে ফোন ব্যবহারকারীর উপর। তবে এপ্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহারযোগ্য, ততক্ষণ তা ব্যবহার করা যেতে পারে। এমনকি দরকার পড়লে খারাপ ব্যাটারি এবং স্ক্রিন পাল্টেও ফোন ব্যবহার করা যেতে পারে।