প্রযুক্তি খাতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েই যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র!
গেল বছরের অক্টোবরে নিজেদের রপ্তানি নীতিমালায় পরিবর্তন আনে যুক্তরাষ্ট্র। এই পরিবর্তনের উদ্দেশ্য ছিল সামরিক খাতে ব্যবহৃত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য নিজস্ব সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতে চীনের সক্ষমতাকে সীমিত করা। নতুন এই এই রপ্তানি আইনের মাধ্যমে সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতে চীনের উপর উপর এক প্রকার নিষেধাজ্ঞাই দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আর এবার চীনের সঙ্গে যোগ হল জাপান ও নেদারল্যান্ড। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন নিষেধাজ্ঞা বৈশ্বিক স্মার্টফোন শিল্পেও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয় সম্পর্কিত একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গ। এক প্রতিবেদনে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নেদারল্যান্ডের এএসএমএল হোল্ডিংস এইচভিকে (ASML HV) চিপ তৈরির জন্য ব্যবহৃত গভীর আল্ট্রাভায়োলেট লিথোগ্রাফি মেশিন স্থানান্তরে বাধা দেওয়া হবে এবং জাপানের বিখ্যাত ক্যামেরা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিকন কর্পোরেশনের উপরও অনুরূপ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি নির্মাতাদের অভিযোগ চীনের সঙ্গে কেবল আমেরিকান কোম্পানি গুলোর বাণিজ্য করতে বাধা দেওয়ার ফলে প্রতিযোগিতামূলক বাজার প্রভাবিত হচ্ছে এবং টোকিও ইলেক্ট্রন ও এএসএমএল এই ধরনের যন্ত্রপাতি কীভাবে রপ্তানি করছে তা পুনর্বিবেচনা করতে জাপান এবং নেদারল্যান্ড সরকারকে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন এএসএমএল এর প্রধান নির্বাহী পিটার ওয়েনিংক। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া এমন রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার ফলে নিজস্ব সেমিকন্ডাক্টর বানানোর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আবিষ্কারে বাধ্য হবে চীন। এতে হয়তো সময় লাগবে, কিন্তু তারা অবশ্যই তা করবে।
/এএস