‘ভিসা’য় বাংলাদেশের ‘টালিখাতা’
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল পেমেন্ট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ভিসা চলতি বছর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ভিসা অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের জন্য বাংলাদেশ থেকে ডিজিটাল পেমেন্ট স্টার্টআপ ‘টালিখাতা’কে নির্বাচিত করেছে।
এই অঞ্চলের প্রধান পাঁচটি স্টার্টআপের একটি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে এই দলে যোগদানের মাধ্যমে টালিখাতা বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাইক্রো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ওয়ালেট এবং ক্রেডিট সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে একটি অগ্রণী ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।
টালিখাতা ছোট আকারের ব্যবসা পরিচালনার জন্য ক্রেডিট লাইন এবং কার্যকরী মূলধন সংগ্রহ ও নতুন উপায় উদ্ভাবনের মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে ভূমিকা রাখবে।
আগামী ছয় মাসে স্টার্টআপগুলো ভিসার সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে। ভিসার বিস্তৃত ব্যাংক, মার্চেন্ট, সরকার ও ভেঞ্চার অংশীদারদের নেটওয়ার্কে নানা বাণিজ্যিক সুযোগ তৈরিতেও কাজ করবে।
কর্মসূচিটির মাধ্যমে টালিখাতা ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক মূলধন সংগ্রহে একটি ভিসা ভার্চুয়াল কার্ড ইস্যু করতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকগুলোর সাথে অংশীদার হিসেবে কাজ করারও সুযোগ লাভ করবে।
ভিসা ভার্চুয়াল কার্ড ক্রেডিট লাইন (স্বল্পমেয়াদের কার্যকর মূলধন বা ঋণ) হিসেবে কাজ করে। এমএসএমই অনুমোদিত ও তালিকায় অন্র্তভুক্ত সরবরাহকারী, এফএমসিজি কোম্পানিগুলোতে সরাসরি অর্থ প্রদানের জন্য এই কার্ড ব্যবহার করা যায়।
‘টালিখাতা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ড. শাহাদাত খান বলেছেন, “ভিসা অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রাম ২০২২’-এ অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে আমরা খুব খুশি। ভিসা ও দেশীয় ব্যাংকগুলোতে যৌথ উদ্যোগে ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য উদ্ভাবনী ক্রেডিট প্রোডাক্টগুলোর বিকাশে আমরা কাজ করছি। ভিসা রেলস ও টালিখাতা লেনদেন ডাটা এবং ক্রেডিট স্কোরিংয়ের সুবিধা নিয়ে আমরা বাংলাদেশের ১ কোটি ১০ লাখ ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য দ্রুত, সহজে ডিজিটাল ক্রেডিট ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করতে পারব।”
‘ভিসা’র বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সৌম্য বসু বলেছেন, “বাংলাদেশের বিস্তৃত ও প্রবৃদ্ধিশীল ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে টালিখাতার মতো উদ্ভাবনী সমাধান প্রয়োজন। তাদের সহযোগিতা প্রদান, পেমেন্ট পরিশোধে ভিসার অভিজ্ঞতা সম্প্রসারিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা পূরণ করতে এ ধরণের ডিজাইন সল্যুশনের অভিজ্ঞতা প্রদানে আমরা অত্যন্ত আগ্রহী। ভ্যালু চেইনের ডিজিটালাইজেশনকে ত্বরান্বিত ও অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একত্রে কাজ করা আমাদের লক্ষ্য।”
তিনি আরো বলেছেন, ‘এই অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের মাধ্যমে ভিসা স্টার্টআপ কমিউনিটিকে সহায়তা করে তাদের মূল প্রতিবন্ধকতাগুলো উত্তরণে সাহায্য করবে। ফলে তারা স্থানীয় বাজার ও এ অঞ্চলে নিজেদের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবে। গত বছর বৈশ্বিকভাবে ৩০ শতাংশেরও বেশি ফিনটেক প্রতিষ্ঠান ভিসা ক্রিডেনশাল ইস্যু করেছে; যা তাদের পেমেন্ট ভলিউমকে প্রায় দ্বিগুণ করেছে। ভিসার সক্ষমতা ও স্টার্টআপগুলোর দক্ষতার সাথে আমাদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক সমন্বিত হয়ে নতুন উদ্ভাবনী অভিজ্ঞতা তৈরি করতে পারব। আমরা ডিজিটাল অর্থনীতিতে আরো ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্ত করতে পারব।”