দেশের বাজারে লঞ্চ হচ্ছে অপো এফ টুয়েন্টি ওয়ান প্রো
আগামী ১০ এপ্রিল দেশের বাজারে লঞ্চ হতে যাচ্ছে অপো এফ টুয়েন্টি ওয়ান প্রো। এ নিয়ে অপো বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই একটি ইভেন্টের ঘোষণা দিয়েছে। অপো জানিয়েছে এই স্মার্টফোনটি বাংলাদেশেই সবার আগে লঞ্চ হবে তারপর অন্যান্য দেশে।
স্মার্টফোনটি সম্পর্কে বিস্তারিত তেমন কিছু অপো না জানালেও তারা নিশ্চিত করেছে ফোনটির বিশেষত্ব এর ক্যামেরায়। স্মার্টফোনটির ক্যামেরায় সনির ফ্ল্যাগশিপ সেন্সর আইএমএক্স ৭০৯ ব্যবহার করা হয়েছে।
অপো বাংলাদেশ বিস্তারিত না জানালেও অপো চায়নার তথ্যনুসারে ফোনটির স্পেসিফিকেশন জানা গেছে। তবে তা সম্পূর্ণ সঠিক নাও হতে পারে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগ পর্যন্ত যে কোনো তথ্যই পরিবর্তন হতে পারে।
অপো এফ টুয়েন্টি ওয়ান প্রো স্মার্টফোনটিতে প্রসেসর হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে স্ন্যাপড্রাগনের ছয় মিলিমিটার প্ল্যাটফরমের '৬৮০' চিপসেট। আট কোরের এই প্রসেসরটি ২.৪ গিগাহার্জ পর্যন্ত স্পিড আপ করতে সক্ষম। সহায়ক হিসাবে থাকছে ৬ ও ৮ গিগাবাইট র্যাম। গ্রাফিক্স কার্ড হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাড্রিনো ৬১০। আরও থাকছে ১২৮ ও ২৫৬ গিগাবাইট স্টোরেজ সুবিধা। ফোনটি চলবে অ্যান্ড্রোয়েড ইলেভেন অপারেটিং সিস্টেমে আর ইউজার ইন্টারফেস বা ইউআই থাকছে অপোর কালার ওএস ১২.১। এই ফোনটি পাওয়া যাবে ৬/১২৮ ও ৮/২৫৬ দুইটি ভ্যারিয়েন্টে।
ফোনটিতে ডিসপ্লে হিসাবে দেওয়া হয়েছে ৬.৪৩ ইঞ্চির অ্যামোলেড মনিটর যা ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেটে অপারেট করা যাবে। এবং এর পিক ব্রাইটনেস ৮০০ নিট। ডিসপ্লের রেজুলেশন ১০৮০বাই২৪০০ (ফুল এইচডি)। ডিসপ্লের সুরক্ষায় স্ক্রিন হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ফাইভ।
ফোনটির পিছনের ক্যামেরা প্যানেলে ৩টি ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৭ অ্যাপারচারের ৬৪ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর যার লেন্স ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড। সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ৩.৩ অ্যাপারচারের ২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর যার লেন্স মাইক্রোস্কোপিক। তৃতীয় ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ২.৪ অ্যাপারচারের ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর। ভিডিও ধারণ করা যাবে ফুল এইচডি ফরম্যাটে। সেলফি ক্যামেরা হিসাবে থাকছে ২.৪ অ্যাপারচারের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর যার লেন্স ২৪ মিলিমিটার ওয়াইড।
ফোনটি সচল রাখতে ব্যবহার করা হয়েছে ৪৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম পলি ব্যাটারি যা ৩৩ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টেড। ফোনের নিরাপত্তায় ব্যবহার করা হয়েছে আন্ডার ডিসপ্লে ইনভার্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট। ফোনটি পাওয়া যাবে কসমিক ব্ল্যাক ও সানসেট অরেঞ্জ দুটো রঙে। এর মধ্যে কালো রঙের ব্যাকশেলটি হবে গ্লাসের আর কমলা রঙের ফোনটির ব্যাকশেলে গ্লাসের সাথে চামড়ার আবরণ দেওয়া থাকবে। অপোর দাবি এটি তাদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। এই ব্যাকশেলটি দেখতে যেমন অসাধারণ হবে তেমনি হাতেও আভিজাত্যের অনুভূতি দিবে। ফোনটির ওজন ১৭৫ গ্রাম।
ফোনটির মূল্য জানতে হলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছে অপো বাংলাদেশ।
/এএস