অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে নাদালকে ছুঁলেন জোকোভিচ
স্তেফানোস সিৎসিপাসের অপেক্ষা বাড়িয়ে রাফায়েল নাদালকে ছুঁলেন নোভাক জোকোভিচ। মেলবোর্ন পার্কে গ্রিক প্রতিপক্ষকে সরাসরি সেটে উড়িয়ে দিয়েছেন সার্ব কিংবদন্তি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে জিতেছে দশম শিরোপা। উন্মুক্ত যুগে ছেলেদের এককে সর্বোচ্চ ২২ গ্র্যান্ড স্লাম চ্যাম্পিয়ন এখন যৌথভাবে নাদাল এবং জোকোভিচ।
‘হট ফেবারিট’ তকমা নিয়ে বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম শুরু করেন জোকোভিচ। উরুর হালকা ইনজুরি বাধা হয়ে দাঁড়া পারেনি তার শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনে। টুর্নামেন্টের ১১১তম সংস্করণে শিরোপা জয়ের পথে মাত্র ১টি মাত্র সেট হেরেছেন তিনি।
শিরোপা লড়াইয়েও একচেটিয়া আধিপত্য ছিল সার্ব কিংবদন্তি। প্রথম সেটে সিৎসিপাসকে উড়িয়ে দেন ৬-৩ গেমে। পরের দুই সেটে অবশ্য অনায়াস জয় আসেনি। আজন্মের আক্ষেপ ঘুচাতে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন গ্রিক তারকা।
কিন্তু বৃথা যায় সিৎসিপাসের সেই লড়াই। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে পরের দুই সেট ৭-৬ (৭/৪), ৭-৬ (৭/৫) গেমে জিতে নেন জোকোভিচ। তাতে প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের অপেক্ষা আরও বাড়ে সিৎসিপাসের। এ ঠিক যেন ২০২১ ফ্রেঞ্চ ওপেনের পুনরাবৃত্তি।
প্রায় দেড় বছর আগে রোলা গারোতে প্রথম মেজর ফাইনাল খেলেছিলেন সিৎসিপাস। সেবারও তার প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছিলেন জোকোভিচকে। ফল সেটাই, যা হলো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। পার্থক্য শুধু এতটুকু- সেবার পাঁচ সেটে হেরেছিলেন গ্রিক তারকা, এবার হারলেন তিন সেটে।
রড লেভার অ্যারেনায় ভাঙা হৃদয়ে জোকোভিচের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন সিৎসিপাস, ‘তিনি (জোকোভিচ) আমাদের খেলাধুলায় সেরাদের একজন। আমি মনে করি, তিনিই সর্বকালের সেরা টেনিস র্যাকেট। আমাদের খেলাধুলাকে এতদূর এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
২৪ বছর বয়সী প্রতিপক্ষকে উদ্দেশ্য করে জোকোভিচ বলেন, ‘আমি স্তেফানোসের কথা মুগ্ধ, সম্মান করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। আমি বুঝতে পারছি যে তুমি কতটা চেষ্টা করেছ। অবশ্যই এটা তোমার শেষ গ্র্যান্ড স্লাম নয়, তোমার সামনে আরও অনেক সময় আছে।’
আরেকটি গ্র্যান্ড স্লামের সেরা সাফল্যের প্রতিক্রিয়ায় অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের রাজা বলেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় এটি আমার জীবনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং টুর্নামেন্টগুলোর মধ্যে একটি। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা আমাকে মেলবোর্নে স্বাগত জানিয়েছিল।’
জোকোভিচ যোগ করেন, ‘শুধুমাত্র দল এবং পরিবার জানে যে আমরা গত ৪-৫ সপ্তাহে কী করেছি। সম্ভবত এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় জয়।’
এমএমএ/