গ্র্যান্ড স্লাম থেকে সানিয়া মির্জার বিদায়
বিদায়ের আগাম ঘোষণা দিয়ে টেনিসের নতুন মৌসুম শুরু করেছেন সানিজা মির্জা। বছরের প্রথম মাসেই একটি অধ্যায়ের ইতি টানলেন ভারতের সেরা টেনিস খেলোয়াড়। গ্র্যান্ড স্লাম থেকে বিদায় নিয়েছেন তিনি। আর কখনোই মেজর টুর্নামেন্টে দেখা যাবে না তাকে।
মেলবোর্ন পার্কে শেষটায় শিরোপা জয়ের হাসি হাসতে পারেননি সানিয়া। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে মিক্সড-ডাবলসে জুটি বেঁধেছিলেন রোহান বোপান্নার সঙ্গে। যার সঙ্গে ২২ বছর আগে প্রথম জুটি বেঁধেছিলেন তিনি। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ইভেন্টের ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ছিলেন লুইসা স্তেফানি এবং রাফায়েল মাতোস।
ব্রাজিলিয়ান জুটির সঙ্গে লড়াইয়ের তেমন সুযোগ পাননি সানিয়া-বোপান্না। ভারতীয় যুগল হেরে যান ৭-৬ (৭/২), ৬-২ গেমে। এরপর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে কান্নায় ভেঙে পড়েন ৩৬ বছর বয়সী সানিয়া, যিনি ছয়বারের গ্র্যান্ড স্লাম চ্যাম্পিয়ন- তিনবার ডাবলসে এবং তিনবার মিক্সডে।
বিদায়ী মঞ্চে আবেগী সানিয়া বলেন, ‘১৪ বছর বয়সে রোহান আমার প্রথম পার্টনার ছিলেন এবং আমরা দেশে জিতেছিলাম। এটা অনেক দিন আগের কথা, ২২ বছর আগে। সে আমার সেরা বন্ধু এবং সেরা পার্টনারদের একজন। গ্র্যান্ড স্লাম ক্যারিয়ার শেষ করার জন্য এর চেয়ে ভালো জায়গা আর নেই।’
ব্যস্ততার কারণে মেলবোর্ন পার্কে সহধর্মিণীর খেলা উপভোগ করতে পারেননি শোয়েব মালিক। তিনি ব্যস্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে। তবে সানিয়ার খেলা কোর্টসাইডে বসে উপভোগ করেছেন তার ছোট ছেলে ইজান। রড লেভার অ্যারেনায় উপস্থিত ছিলেন তার মা-বাবাও। তাই শিরোপা না পেলেও আক্ষেপ নেই সানিয়ার।
ভারতের কিংবদন্তি টেনিস খেলোয়াড় বলেছেন, ‘আমি কখনোই ভাবিনি যে আমি গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে আমার সন্তানের সামনে খেলতে পারব। আমার চার বছর বয়সী ছেলে এবং বাবা-মাকে এখানে পাওয়া সত্যিই বিশেষ।’
ভারতের হয়ে প্রথম ডব্লিউটিএ একক শিরোপা জিতেছেন সানিয়া, ২০০৫ সালে নিজের জন্মভূমি হায়দরাবাদে। ওই বছরেই ইউএস ওপেনে চতুর্থ রাউন্ডে উঠেছিলেন তিনি। ২০০৭ সালের মধ্যে ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে সেরা ৩০ এর মধ্যে ছিলেন। কিন্তু কবজির ইনজুরির কারণে ডাবলসে সীমাবদ্ধ হয়ে যায় তার ক্যারিয়ার।
সামনের মাসে দুবাইয়ে একটি টুর্নামেন্ট খেলে সব ধরনের টেনিস থেকে বিদায় নেবেন সানিয়া। যেখানে তিনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন এবং সম্প্রতি একটি টেনিস একাডেমি চালু করেছেন।
এসজি