বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বাংলাদেশকে ২৭৪ রানে থামিয়ে দিল আয়ারল্যান্ড

মেঘে-বৃষ্টির খেলা নেই। চেমসফোর্ডে দৃষ্টিনন্দন চমৎকার আবহাওয়া। মনোরম পরিবেশ পেয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিপুল উৎসাহ নিয়ে মাঠে উপস্থিত হন। যদিও তারা সিরিরে শুরু থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে মাঠে হাজির হয়েছেন। কিন্তু আজকের আবহাওয়া তাদের জন্য নির্বিঘ্নে ম্যাচ উপভোগ করার বাড়তি রসদ ছিল।

তাদের সেই রসদে বাংলাদেশের ব্যাটসম‌্যানরা কিন্তু খুব বেশি যোগান দিতে পারেননি। টস হেরে ব‌্যাট করতে নেমে ৭ বল বাকি থাকতে ২৭৪ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।

আয়ারল‌্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের যাচাই-বাছই করা হবে না বলে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে জানালেও শেষ ম‌্যাচে একাদশে তিন পরিবর্তন ছিল তাই আভাস। বিপিএলে দারুণ খেলা রনি তালুকদার ঘরের মাঠে আয়ারল‌্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানেড সিরিজে দলের সঙ্গে থেকে কোনও ম‌্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। সেই অপেক্ষার প্রহর কেটেছিল চেমসফোর্ডে শেষ ম‌্যাচে।

উদ্বোধনী জুটিতে পরিবর্তন এনে তামিমে ইকবালের সঙ্গি করে পাঠানো হয় রনিকে। কিন্তু শুরুটা তার বিবর্ন হয়ে উঠে। এভাবে হয়ে উঠার কারণ রনি নিজেই। কারণ শুরু থেকেই রানের জন‌্য ছটফট করছিলেন। ১২ বলে কোন রান নিতে পারেননি। অবশেষে মার্ক অ‌্যাডায়ারের বলে কাভার দিয়ে চার মেরে খাতা খুলার পর পরের বলেই উইকেট দিয়ে আসেন। অফ স্ট‌্যাম্পের অনেক বাইরে বল ব‌্যাট চালাতে গিয়ে উইকেটের পেছনে লরকান টাকারের হাতে সহজে ধরা পড়ে বিদায় নেন।

শুরুকে রনির বিদায়ের ধাক্কা গলার কাঁটা হয়ে উঠতে দেননি আগের ম‌্যাচেই ক‌্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করা নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্রিজে এসেই হাত খুলে খেলতে থাকেন। রান সংগ্রহ পেছনে ফেলে দেন অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। শান্তর ব‌্যাটিংয়ে ছিল অশান্ত হয়ে উঠার ইংগিত। কিন্তু খুব বেশি দূর যেতে পারেননি।

তারপরও যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন বেধড়ক পিটিয়েছেন আইরিশ বোলারদের। জুটিতে যে ৪৯ রান আসে তার ৩৫ রানই ছিল তার। ৭ চারে বল খেলেন ৩২টি। তার কারণেই প্রথম পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের রান আসে ১ উইকেটে ৬২। পাওয়ার প্লের পর প্রথম ওভারেই শান্তর অশান্ত হয়ে উঠা থামিয়ে দেন দলে ফেরা ক্রেইগ ইয়াং। দ্বিতীয় স্লিপে তার ক‌্যাচ ধরেন বালিবার্নি

লিটন দাসএই ম‌্যাচে চারে নামেন। এটি ছিল তার ওয়ানডে ক‌্যারিয়ারে দ্বিতীয়া চারে নামা। এর আগে ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চারে নেমে করেছিলেন ২২ বলে ১৭ রান। বাংলাদেশের অন‌্যতম সেরা এই ব‌্যাটসম‌্যান চারে নেমেও নিজেকে প্রমাণ করেন।
সিরিজের প্রথম দুই ম‌্যাচে রান না পাওয়া লিটন দাস চারে নেমেও ছিলেন আক্রমণাত্বক। তামিমের সঙ্গে তার সেতু বন্ধনে রান আসে ১৩.৪ ওভার ৭০। এবারও জুটি ভাঙে লিটন আউট হলে। ৩৯ বলে ৩ চার ও ইনিংসের প্রথম ছক্কা মেরে ৩৫ রান করে ম‌্যাকব্রাইনের বলে মিড অফে তার ক‌্যাচ ধরেন মাক অ‌্যাডায়ার।

দ্বিতীয় ম‌্যাচে ৬৮ রানের ইনিংস খেলা ব‌্যাটিং লাইনের নতুন স্তম্ভ তাওহিদ হৃদয় এই ম‌্যাচে বেশি দূর যেতে পারেননি। ১৩ রান করে ডকরেলের বলে বোল্ড হয়ে যান।

এতক্ষণ পর্যন্ত সঙ্গীদের আসা-যাওয়া দেখছিলেন দলনায়ক তামিম ইকাবল। এবার বাজে তার নিজেরই বিদায় ঘণ্টা। তবে এবারের বিদায় ঘণ্টা হতাশার ছিল না। এই হতাশা না হওয়ার কারণ ভাগ‌্য তাকে বিশেষভাবে সহয়তা করেছে। নতুবা ৯ ম‌্যাচ পর হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে ৬৯ রানে যে আউট হয়েছেন, সেটি থেমে যেত পারত ১ রানেই।

এ সময় লিটলের বল তামিমের ব‌্যাটের কানায় লেগে দ্বিতীয় স্লিপে সহজ ক‌্যাচ চলে যায় বালবার্নির হাতে। কিন্তু তিনি সে বল হাতে জমিয়ে রাখতে পারেননি। জীবন পেয়ে তামিম ইকবাল ৬১ বলে ৫ চারে ক‌্যারিয়ারের ৫৬তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম।

জীবনাবসান ঘটে উচ্চবিলাষী শট খেলেতে গিয়ে। ডকরেলকে ক্রিজ ছেড়ে বের হয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে শর্ট থার্ডম‌্যানে ক‌্যাচ দেন ক্রেইহ ইয়াংয়ের হাতে।

তামিম আউট হওয়ার সময় দলের রান ছিল ৫ উইকেটে ৩৩.৩ ওভারে ১৮৬। বাংলাদেশ দল লম্বা ব‌্যাটিং লাইনের সুফ ভোগ করে ষষ্ট উইকেট জুটিতে মুশফিক ও মিরাজের মাধ‌্যমে। ইনিংসের সেরা জুটি গড়ে উঠে তাদের মাঝে। ১২ ওভারে ৭৫ রান যোগ হওয়ার পর দুই জনেই আউট হয়ে যান ৪ রানের ব‌্যবধানে প্রথমে মুশফিক, পরে মিরাজ।

মুশফিক হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে ৪৫ রানে এলবিডব্লিউর শিকার হন ম‌্যাকব্রাইনের বলে। তার ৫৪ বলের ইনিংসে ছিল ১টি ছক্কা ও ৩ টি চার। মিরাজ ৩৯ বলে ৩ চারে ৩৭ রান করে অ‌্যাডালের বলে ক্রেইগ ইয়াংয়ের হাতে । এ সময় দলের রান ছিল ৭ উইকেটে ২৬৫।

এরপর ব‌্যাটিং করার বাকি থাকেন ৪ পেসার মৃত‌্যুঞ্জয়, হাসান ও মোস্তাফিজ। কিন্তু তাদের কারও হাতই ব‌্যাটিংয়ের জনৗ পাকা নয়। ওভার বাকি ছিল ৪.৩টি। কিন্তু এই ওভারই তারা খেলতে পারেননি। ২.২ ওভার খেলে ৯ রান যোগ করে তারা আউট হয়ে যান। ফলে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ৪৮.৫ ওভারে ২৭৪ রানে। মার্ক অ‌্যাডায়ার ‍৪০ রানে নেন ৪ উইকেট। ডকরেল ৩১ ও বালবার্নি ৩৯ রানে নেন ২টি করে উইকেট।

এমপি/এমএমএ/

Header Ad

ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের ঘটনা কিছু মহল ভুলভাবে তুলে ধরছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিকে জানিয়েছে, চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে সকল ধর্মের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান যে সম্প্রীতি রয়েছে এবং সরকারের যে অসাম্প্রদায়িকতার প্রতিশ্রুতি ও প্রচেষ্টা রয়েছে ভারতের বিবৃতিতে তা প্রতিফলিত হয়নি। বাংলাদেশে জনগণের ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি চলে আসছিল তা সমাপ্ত করার বিষয়ে সরকারের যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞা রয়েছে এবং সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘুদের একই নজরে দেখার যে দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, ভারতের বিবৃতিতে সে বিষয়টি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে, তা সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। অত্যন্ত হতাশা ও গভীর দুঃখের সঙ্গে সরকার উল্লেখ করছে যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করার পর কিছু মহল ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। ভারতের এ ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধু ভুল তথ্য ছড়ানো নয়, বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া চেতনার পরিপন্থি।

বাংলাদেশ সরকার সকল ধর্মের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে উল্লেখ্য করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করছে যে প্রত্যেক বাংলাদেশির তার ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে, নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, বজায় রাখা বা পালন করার বা বাধা ছাড়াই মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। সকল নাগরিকের বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকারের একটি দায়িত্ব। গত মাসে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা পালনের মাধ্যমে এটি আবারও প্রমাণিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার বিচার বিভাগের উপর হস্তক্ষেপ করে না জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার বিচার বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপ করে না। আর চিন্ময় দাসের বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিবৃতিতে উল্লেখ্য করা হয়, চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যে কোনো মূল্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য কর্তৃপক্ষ বন্দর নগরীতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

Header Ad

আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে সংঘটিত বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ এবং আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত সোয়া ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

মিছিলে শিক্ষার্থীদের ‘সাইফুল হত্যার বিচার চাই, করতে হবে করতে হবে’, ‘উকিল মরে আদালতে, এই সরকার কি করে’, ‘হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, উগ্রবাদের ঠাঁই নাই’, ‘উগ্রবাদের আস্তানা,ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ফ্যাসিবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সমাবেশে বক্তারা চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাকে জাতীয় নিরাপত্তা ও বিচার ব্যবস্থার জন্য চরম হুমকি বলে অভিহিত করেন। তারা আইনজীবী সাইফুল ইসলামের নির্মম হত্যাকাণ্ডের দ্রুত এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।

তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আব্দুর রশীদ জিতু বলেন, আমরা সম্প্রীতি নিয়ে এদেশে বসবাস করতে চাই। কিন্তু একটি পরাজিত শক্তি দিল্লিতে বসে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চক্রান্ত করছে। আমার ভাই সাইফুলকে চট্টগ্রামের আদালত চত্বরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই। যারা বাংলাদেশের সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।

দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী জি এম এম রায়হান কবির বলেন, চট্টগ্রামের সন্ত্রাসী হামলা শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয় বরং এটি মানবতার ওপর আঘাত। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীরা সবসময় ন্যায় ও মানবতার পক্ষে অবস্থান করেছে। আজকের এই মিছিল তারই উদাহরণ। আমরা কোনো উগ্রবাদী শক্তিকে বাংলাদেশে মাথা তুলতে দেব না।

Header Ad

ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার

ছবি: সংগৃহীত

ক্রমশ উত্তেজনা বাড়াচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। টানা আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। মাঝে এই যুদ্ধে কিছুটা ধীরগতি দেখা গেলেও সম্প্রতি হামলা বেশ জোরদার করেছে রাশিয়া।

মূলত ইউক্রেনে এখন আগের যেকোনও সময়ের তুলনায় দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে রুশ সৈন্যরা। এমনকি গত এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান আয়তনের এলাকা ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করে নিয়েছে রাশিয়া।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ান বাহিনী ২০২২ সালের আক্রমণের প্রথম দিনগুলোর চেয়ে ইউক্রেনে বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে অগ্রসর হচ্ছে বলে বিশ্লেষক এবং যুদ্ধ ব্লগাররা মঙ্গলবার জানিয়েছেন।

গত মাসে রুশ সৈন্যরা লন্ডনের আয়তনের সমান অর্ধেক এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার সেনাবাহিনী এর আগে কখনেও এতো দ্রুত ইউক্রেনের অঞ্চলগুলোতে অগ্রসর হয়নি।

মূলত টানা আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিকে সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের একাধিক দেশ।

বিশেষ করে অস্ত্র দেওয়ার পাশাপাশি দেশটিকে ব্যাপকভাবে সামরিক তহবিলও জুগিয়ে এসেছে ওয়াশিংটন। তবে এরপরও যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। আর এমন অবস্থায় সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার গভীরে আঘাত হানার জন্য ইউক্রেনকে মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম বলছে, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করে সেই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করার অনুমতি দেওয়ার পর চলমান এই যুদ্ধটি সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।

রাশিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউজ গ্রুপ এজেন্টস্টভো এক প্রতিবেদনে বলেছে, “ইউক্রেন-অধিকৃত অঞ্চলের মধ্যে আয়তনের দিক থেকে নতুনভাবে সাপ্তাহিক ও মাসিক রেকর্ড স্থাপন করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রায় ২৩৫ বর্গ কিলোমিটার (৯১ বর্গ মাইল) দখল করেছে, যা ২০২৪ সালের জন্য একটি সাপ্তাহিক রেকর্ড।”

এর আগে চলতি বছর জুলাই মাসে রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনে দ্রুত অগ্রসর হতে শুরু করে। ওপেন সোর্স মানচিত্র অনুসারে, এরপর থেকেই রাশিয়ার অগ্রগতি ত্বরান্বিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে প্রায় ১২ হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আড়াই বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া— চারটি প্রদেশের আংশিক দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী।

এই চার প্রদেশের রাশিয়ার দখলে যাওয়া অংশের সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের এক-পঞ্চমাংশ। অবশ্য যুদ্ধরত এই দুই দেশের কেউই তাদের নিজস্ব ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য প্রকাশ না করলেও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হতাহতের সংখ্যা কয়েক লাখ বলে অনুমান করছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল
ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার
লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২
স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন