বৃষ্টির বাগড়ায় চারদিনের ম্যাচ ড্র
সফরকারী বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও উইন্ডিজ ‘এ’ দলের দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচ ড্র হয়েছে। বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম তিন দিনের পর শেষ দিন অবশ্য বৃষ্টির বাগড়া ছিল না। স্বাগতিকরা পাঁচ উইকেটে ২৭৭ রান করে। এর আগে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ৩০০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল।
বৃষ্টির কারণে প্রথম তিনদিন খেলা হয়েছিল ১৪২.৪ ওভার। খেলা হওয়ার কথা ছিল ২৭০ ওভার। বাংলাদেশ ১২৬.৪ ওভার ও উইন্ডিজ ১৮ ওভার খেলেছিল। শেষ দিন উইন্ডিজ খেলেছে ৯৭.১ ওভার। রান যোগ করে তিন উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রান। এই তিনটি উইকেটই নেন নাঈম হাসান। আগের দিনের দুই উইকেট নিয়েছিলেন আবার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
তৃতীয় দিন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর তোপে পড়ে স্বাগতিকদের যে বাজে অবস্থা হয়েছিল শেষ দিন তারা কাটিয়ে উঠে মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে যোগ করে ২৩৪ রান। আর এখানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন সাবেক উইন্ডিয়ান গ্রেট শিবনারায়ন চন্দ্রপলের ছেলে টেগেনারায়ন চন্দ্রপল চমৎকার সেঞ্চুরি করে। ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে এসে তিনি ১০৯ রান করে রিটার্য়াড করেন।
বৃষ্টির সঙ্গে লড়াই করে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ৩০০ রান করার পর তৃপ্তি পেয়েছিল স্বাগতিকদের ৩০ রানে দুই উইকেট নিয়ে। কিন্তু চতুর্থ দিন তারা আর এই সাফল্য ধরে রাখতে পারেনি। শুরুটা করেন টেগেনারায়ন ও অধিনায়ক জসুয়া ডি সিলভা। দুই জনে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫০ রান এনে দেওয়ার পর আউট হন ডি সিলভা ১০০ বল খেলে ৩৭ রান করে নাঈম হাসানের বলে ফজল মাহমুদের হাতে ধরা পড়েন। জসুয়া ডি সিলভা আউট হওয়ার পর টেগেনারায়ন ও টেভিন ৫৪ রান যোগ করেন। এবারও জুটি ভাঙে টেভিন ২১ রান করে নাঈমের বলে অতিরিক্ত ফিল্ডার শাহদাতের হাতে ধরা পড়ে। ২১ রান করতে তিনি বল খেলেন ৭১টি। এরপরই গড়ে উঠে তাদের সেরা জুটি। টেগেনারায়ন ও আলিক আথানাজে পঞ্চম উইকেট জুটিতে উপহার দেন ১২০ রান। এ সময় টেগেনারায়ন ১০৬ রান করে রিটায়ার্ড করেন। তিনি ফিরে যাওয়ার পর আথানাজে ও ইয়ান্নিক কারিয়া ২১ রান যোগ করে আউট হয়ে যান আথানাজে ৮২ রানে। নাঈমের বলে উইকেটের পেছনে তিনি জাকের আলীর হাতে ধরা পড়েন। তিনি আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খেলা সমাপ্তি টেনে দেন আম্পায়াররা।
নাঈম হাসান ৪২.১ ওভার বোলিং করে ৬৯ রানে তিন উইকট নেন। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ১৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে নেন দুই উইকেট।
এমপি/আরএ/