চুক্তি বাতিল, না হয় ক্রিকেট ছাড়ো
বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কথার সারমর্ম দাঁড় করালে উপরের শিরোনামই বুঝায়। বেটিং প্রতিষ্ঠান বেট উইনারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বেট উইনার নিউজের সঙ্গে সাকিবের চুক্তি বাতিল করা নিয়ে বিসিবি সভাপতি বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) তার দাপ্তরিক অফিসে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের বেশ কয়েকজন সিনিয়র ও গুরুত্বপুর্ণ পরিাচলকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসে যে কথা বলেন তার সারমর্ম এ রকমই।
তিনি কোনো রকম রাখডাক না করেই বলেন, ‘বিসিবির সঙ্গে তার কোনোও সম্পর্ক থাকবে না, যার কোনো বেটিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে। এ রকম কারও বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার প্রশ্ন আসে না। কোনোভাবেই সম্পৃক্ততা থাকা যাবে না। সম্পূর্ণভাবে ওখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
তিনি এখানেই থেমে যাননি। সরাসরি সাকিবের নাম উল্রেখ করে বলেন, ‘সাকিবের যে বিষয়টি, এখানে দ্বিতীয় চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই। বিসিবির অবস্থান প্রথম থেকে যা ছিল, এখনো তাই। যখন বিসিবিতে আমি প্রথম আসি, তখনই বলেছি এসব বেটিং, গ্যাম্বলিং নিয়ে একদম জিরো টলারেন্স। বিসিবি কোনোভাবেই এগুলোকে গ্রহণ করবে না। যে যেভাবেই এটাকে ব্যাখ্যা করুক বা না করুক। এটা থাকার কোনো সুযোগই নেই। তখন আশরাফুলের মতো ক্রিকেটারকেও আমাদের বাদ দিতে হয়েছে। কাজেই এখানে থাকার কোনও সুযোগ নেই। এখন পুরোটাই তার সিদ্ধান্ত।’
সাকিবের বিষয়ে বিসিবির সভাপতির পরবর্তী কথা ছিল আরও কঠোর। চুক্তি বাতিল না করলে দলতো জায়গা হারাবেনই, এমনকি এখন যে তার উপর টেস্ট দলের নেতৃত্ব দেওয়া আছে, সেটিও হারাবেন।
তিনি বলেন, ‘ও (সাকিব) আমাদের দলেই থাকবে না। অধিনায়কত্ব তো পরের বিষয়। এ ব্যাপারে আলোচনার কোনো সুযোগই নেই। এই সিদ্ধান্ত আগের থেকে নেওয়া এবং আমরা খুব পরিষ্কার নিজেদের সিদ্ধান্তে।’
বিসিবি সভাপতি চান না সাকিবের ব্যাপারে এতটা কঠোর হতে। তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি সাকিবের মতো ক্রিকেটার আমাদের দেশে এখন নেই।’ এমন একজন ক্রিকেটারকে তিনি এভাবে হারাতে চান না। তাই তাকে এ বিষয়ে অনেক সময় দিয়েছেন। কিন্তু সাকিবের কাছ থেকে কোনো ইতিবাচক ফলাফল আসছে না। অথচ বিসিবির চিঠির জবাব দেয়ার সময় পার হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরও বিসিবি আজ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা চিঠি দিয়েছি। কালকের মধ্যেই দেওয়ার কথা ছিল। শুনেছি সে আজকের মধ্যে দেবে বলেছে। অপেক্ষা করি। এরপর সিদ্ধান্ত নেব, ও থাকবে কী থাকবে না।’
এমপি/এমএমএ/