এশিয়া কাপ দিয়ে ফেরার অপেক্ষায় সাইফউদ্দিন

পেসারদের ভাবনায় সব সময়ই থাকে ব্যাটসম্যানদের আউট করে উইকেট নেওয়া। সেই সঙ্গে তাদের দুর্ভাবনাও থাকে কখন আবার ইনজুরিতে পড়েন। ইনজুরি যেন পেসারদের নিত্য সঙ্গী। ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ইনজুরিতে পড়ে থাকেন পেসাররাই।
এই ইনজুরিতে পড়েই পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউাদ্দন লম্বা সময় ধরে মাঠের বাইরে। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা হলেও জাতীয় দলের হয়ে আর ফেরা হচ্ছে না। সর্বশেষ উইন্ডিজ সফরে তিনি দলে থাকলেও শেষ মুহূর্তে নিজেকে ফিট মনে না করাতে নিজ থেকেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে (না খেলার) কলটা ছিল ব্যক্তিগত। মেডিক্যাল টিম আমার ওপর ছেড়ে দিয়েছিল। আমি শতভাগ দিতে পারছিলাম না বলে মেডিক্যাল টিমকে জানাই। এরপর ওরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন ভালো বোধ করছি। গত এক মাস অনেক কাজ করেছি। এজন্য খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।’
সাইফউদ্দিনের এই মুখিয়ে থাকাটা এশিয়া কাপ খেলতে। এই আসরে বাংলাদেশ কখনো চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও একাধিকবার রানার্সআপ হয়েছে। কিন্তু কখনো খেলা হয়নি সাইফউদ্দিনের। এবার সেই অপূর্ণতা দূর করতে চান। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই লক্ষ্য থাকে এশিয়া কাপ খেলা। আমি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়েও এশিয়া কাপ খেলিনি। দুটি আইসিসি ইভেন্ট খেললেও এশিয়া কাপে খেলা হয়নি। এটা নিয়ে বাড়তি একটা রোমাঞ্চ কাজ করে। যদি সুযোগ পাই অবশ্যই আনন্দিত হব ।’ কিন্তু সাইফউদ্দিন চাইলেওতো আর এশিয়া কাপ খেলতে পারবেন না। তার জন্য তাকে দলে জায়গা পেতে হবে। নির্বাচকরা দলে নিতে হবে। বিষয়টি মাথায় আছে তার। তিনি বলেন, ‘এশিয়া কাপে থাকব, কি থাকব না এটা নির্বাচক ও সংশ্লিষ্টরা দেখবেন। মাঠে খেলতে পারব এতেই খুশি।,
ভারত থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এসে এক সপ্তাহ বিশ্রামে থাকার পর আবার মাঠে নেমে পরেছেন সাইফউদ্দিন। প্রথমে এক সপ্তাহ করেন ফিটনেস ট্রেনিং। এরপর শুক্রবার শুরু করেছেন স্কিল ট্রেনিং। এখন খেলবেন ম্যাচ। খুলনায় এতটি এক দিনের ও দুইটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবেন বাংলাদেশ টাইগার্সের হয়ে এইচপি ইউনিটের বিপক্ষে খেলবেন এই ম্যাচ দুইটি। এই জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) যাবেন খুলনা। আজ ফিজিও বায়েজিদ ইসলামের উপস্থিতিতে পুরো রিদম নিয়ে বোলিং করেছেন। তার কাছে সব কিছু পজেটিভ মনে হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, প্রথম থেকেই আজ ফুল রানআপে বল করেছি। ইনটেনসিটি হয়তো শতভাগ ছিল না। দিনকে দিন আস্তে আস্তে বাড়াব। যেহেতু আমার শরীর, আমি তো বুঝতে পারছি অবস্থা। আগের চেয়ে ভালো বোধ করছি বলেই আত্মবিশ্বাসী আমি। দেবাশীষ দাদার (বিসিবির প্রধান চিকিৎসক) সঙ্গে এখনও দেখা হয়নি। বায়েজিদ ভাই পর্যবেক্ষণ করেছেন। কালকেই বোলিং দেখবেন। যদি সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে ইনশাআল্লাহ খুলনায় প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলতে যাব।’
এমপি/টিটি
