‘ফাইনাল’ জেতার অপেক্ষায় অ্যালান ডোনাল্ড
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশের পেসারদের তুলনায় স্পিনাররা বেশি ভালো করেছেন। প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের দুইশোর্ধ রানের ইনিংসে স্পিনারদের কেউই ওভার প্রতি ১০ এর উপরে রান দেননি। কিন্তু তিন পেসারেরই রান ছিল ১০ এর উপরে। মাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ১৭ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ জয় সাত উইকেটে। কিন্তু এই ম্যাচেও স্পিনারদের বোলিং ছিল চোখে পড়ার মতো। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত চার ওভারে ২০ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়ে করেছিলেন ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। আর শেখ মেহেদি হাসান তিন ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র ১০ রান। এই ম্যাচেও বাংলাদেশ তিন পেসার খেলিয়েছিল। শুধু তাসকিনের পরিবর্তে হাসান মাহমুদ ঢুকেছিলেন সেরা একাদশে। এই হাসান মাহমুদই শুধু ভালো বোলিং করতে পেরেছিলেন চার ওভারে ২৬ রান দিয়ে। বাকি দুই বোলার মোস্তাফিজ ও শরিফুলের রান ছিল তার থেকে বেশি। দলে অ্যালান ডোনাল্ডের মতো একজন সাবেক গ্রেট ফাস্ট বোলার কোচ হিসেবে থাকার পরও পেসারদের এ রকম বোলিং ছিল হতাশজনক। এটি ভাবাচ্ছে ডোনাল্ডকেও।
মঙ্গলবারের (২ আগষ্ট) সিরিজ নির্ধারণী অলিখিত ফাইনালের আগে তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এমনই। যেকোনো দিনই এমন নিষ্ঠুর হয়ে উঠতে পারে। তাই আপনাকে স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে হবে। কিভাবে প্রথম বল করবেন। কিভাবে বল করবেন। দলের সঙ্গে আলোচনায় আমরা এ নিয়ে অনেকবার আলোচনা করেছি।’
ডোনাল্ড আসার পর প্রথমবারের মতো পেয়েছেন পেসান হাসাম মাহমুদকে। তার বোলিংয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে তার মাঝে। তিনি বলেন, ‘হাসান মাহমুদের বোলিং দেখে আমি খুবই মুগ্ধ হয়েছি। তার কথা আমি আগেও শুনেছি। শরীরী ভাষা অন্য রকম। বোলিং করেছে দারুণ। ওকে আমার দারুণ ভালো লেগেছে। আশা করছি কালকের( আজ) ম্যাচেও একইভাবে ভালো বোলিং করবে।’
এই সাবেক গ্রেট ফাস্ট বোলার মনে করেন, আজকের অলিখিত ফাইনালে বাংলাদেশে ভালো করবে। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে কখনোই সেভাবে ত্রুটি ধরি না। লক্ষণীয় বিষয় হলো আপনি ওই রকম অবস্থা থেকে কিভাবে কামব্যাক করবেন। প্রথম ম্যাচে ভালো করতে না পারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা তা করে দেখিয়েছি। আগামীকালের (আজ) ম্যাচ ফাইনাল। প্রথম ম্যাচ যে পিচে হয়েছে, সেই পিচেই খেলা হবে। আমরা আবারো আমাদের সেরাটা দিয়ে জিততে চাই। আমরা সে অপেক্ষায়ই আছি।’
এমপি/এসআইএইচ