সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রাম নিয়ে যা বললেন রাজ্জাক
যাদের হাত ধরে বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ পরিচিতি পেয়েছে, তাদের অনেকেই এখন দলের অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার। কিন্তু তাদের দিনকাল এখন ভালো যাচ্ছে না। এই দলের কেউ কেউ ছিলেন ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাটের অধিনায়ক। সেই দায়িত্ব তাদের কেড়ে নেওয়া হয়েছে। রাখা হয়নি দলে।
বিসিবির ভাষ্য তারা বিশ্রামে। এই তালিকায় আছেন টেস্ট ক্রিকেটের সাইনবোর্ড আঁকা সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল। তার পাল্লা পরে ভারি করেছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যুক্ত হয়ে। মুশফিকুর রহিমও আছেন তাদের দলে।
এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। বিশেষ করে মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিমকে জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি দল না রাখার পর। এ নিয়ে আজ উইন্ডিজ সফরে ‘এ’ দলের সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচক কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজে সাকিবও নাই, সিনিয়ররা নাই।
বিশ্রামের ব্যাপারটা এরকম। আমাদের টি-টোয়েন্টিতে খুব ভাল হচ্ছে তা না। আমাদের জন্য তুলনামুলক সহজ সিরিজ জিম্বাবুয়ে। একটা নতুন ক্রিকেটারকে তো আমরা অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ড সিরিজে নামিয়ে দিতে পারব না। এজন্য এখানে সুযোগ নেয়া হয়েছে।’
মুমিনুলকে ‘এ’ দলে রাখার গুঞ্জন ছিল। স্বয়ং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও সেকম ইংগিত দিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে শেষ পর্যন্ত রাখা হয়নি। এ নিয়ে রাজ্জাকের ব্যখ্যা, ‘মুমিনুল আসলে একটা অল্প সময়ের জন্য অফফর্মে আছে। ওকে এখানে বিবেচনা আনা, না আনার প্রশ্নই আসে না। আমি মনে করি ওকে প্রপার রেস্ট দেওয়া হয়েছে। টেস্ট ক্রিকেট এমনিতেই কঠিন। মুমিনুলের বাজে সময় যাচ্ছিল, আবার সে অধিনায়কও। তো মাঝে মাঝে মানুষের ছোট বিরতি দরকার হয়। এটা মানসিক রিফ্রেস, ফিজিক্যালি, পারফরম্যান্স ভালো করে ফিরুক এজন্য। আমি শুনেছি যে তাহলে মুমিনুলকে কি এ দলেও জায়গা দেয়া হবে না। না এটা এমন না। মুমিনুলকে বিবেচনা না, এটা ওকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। খুব চাপে ছিল সে। মুমিনুলের এমন কোনো বয়স হয়ে যায়নি যে আর ফিরতে পারবে না। এমন না। এটা একদমই রেস্ট।’
অভিষেকের পর থেকে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের সময় জন্য ভালো-মন্দেরে মিশ্র অনুভূতিতে। তাকে দলে রাখা নিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘জয় খুব তরুণ। ওর এখনো অনেক উন্নতি করার সুযোগ আছে। এই সময়ে ও যত বেশি খেলবে তত ভালো হবে। যেহেতু টপ অর্ডারে ব্যাট করে এবং ভাল করেছে। তার মানে এই না যে সে ফুলফিল। এর আগে সে শুধু যুব ক্রিকেটে খেলেছে। তো এই বয়সে যত বেশি খেলবে ততই তার জন্য ভাল। এটাই ওকে নিয়ে মূল লক্ষ্য।’
এমপি/এমএমএ/