সমালোচনা সামলেই মিঠুন টিকে আছেন
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রঙিন দুনিয়ায় মোহাম্মদ মিঠুনের অভিষেক হয়েছিল ২০১৪ সালে। যদিও এর আগে ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি দলে ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু কোনো ম্যাচ না খেলেই তাকে বাদ পড়তে হয়েছির। অবশেষে সেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়েই তার পথ চলা শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এরপর একই বছর মার্চে মিরপুরে একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ভারতের বিপক্ষে। অবশ্য সাদা পোষাকে অভিষেক ঘটেছিল অনেক পরে ২০১৮ সালের নভেম্বরে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ১০টি টেস্টে, ৩৪টি ওয়ানডে আর ১৭টি টি-টোয়েন্টি খেললেও নিজের আসন পাকাপোক্ত করতে পারেননি। শামিল হন আসা-যাওয়ায়। এই প্রক্রিয়া তিনি বর্তমানে আছেন জাতীয় দলের বাইরে। সর্বশেষ আর্ন্তজাতিক ম্যাচ খেলেছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ। তবে জাতীয় দলে ফেরার আশা ছেড়ে দেননি। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিও সরে যায়নি তার উপর থেকে। সেই প্রক্রিয়ায় তিনি বাংলাদেশ টাইগার্স দল হয়ে এখন জাতীয় দলের ছায়া ‘এ’ দলে আছেন। পেয়েছেন নেতৃত্ব। দল নিয়ে যাচ্ছেন উইন্ডিজ। খেলবেন দুইট চার দিনের ম্যাচের পাশাপাশি তিনটি একদিনের ম্যাচ।
নিজের ক্যারিয়ারের এ রকম পরিস্থিতিকে মোহাম্মদ মিঠুন ‘অভিজ্ঞতা’ অর্জন বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের পুরো জীবনটাই তো একটা অভিজ্ঞতা। যেদিন থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি, অভিজ্ঞতা কাকে বলে- খেলতে খেলতে একটা সময় গিয়ে আপনি অভিজ্ঞ হবেন।’
ক্রিকেট বাংলাদেশের মানুষের এক আবেগের জায়গা। কেউ ভালো করলে হৃদয়ের মনিকোঠায়,আকাশের চূড়ায়। ভালো করতে না পারলে মুহুর্তে ধপাস। সমালোচনার তীরে বিদ্ধ। মিঠুনও বাদ যাননি এ সব থেকে। এ সবের প্লাটফর্ম হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এ নিয়ে মিঠুন বলেন, 'বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক বেশি মাতামাতি হয়। এগুলো সামলানোর মতো চাপ না থাকলে আমি ক্রিকেট খেলতে পারব না। সেটা সামলানোর মতো মানসিক দৃঢ়তা থাকতে হবে। এজন্য আমি যথেষ্ট সময় পেয়েছি। সময় পেয়ে ক্রিকেটে ফিরেছি, ক্রিকেট খেলছি। কোনদিকে কী হচ্ছে তা আমার ভাববার ব্যাপার না। আমি ভাবিও না।’
এমপি/এএস