স্বাধীনতা সংঘের চমক দিয়ে শুরু অবনমনে শেষ
বসুন্ধরা কিংস ঘরোয়া ফুটবলের পাওয়ার হাইজ। আর্বিভাবেই তারা পরপর তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে হ্যাট্রিট শিরোপা জিতেছে। অথচ এবারের মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এই দলকে লিগের প্রথম ম্যাচেই নবাগত স্বাধীনতা সংঘ হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল। কিন্তু সেই চমক তারা আর পরবর্তিতে ধরে রাখতে পারেনি। বসুন্ধরা পরবর্তিতে একের পর এক ম্যাচ জিতে শিরোপা জিতে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়। কিন্তু স্বাধীনতা সংঘ একের পর এক ম্যাচ হেরে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ফিরে গেছে আগের জায়গায়। অবনমন হয়েছে তাদের। আজ তারা মুন্সিগঞ্জ বীরশ্রেষ্ট ফ্লাইট লেফটেনেন্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে নিজেদের বিপদ ডেকে আনে। একই দিন রেলিগেশন অঞ্চলে থাকা উত্তরা বারিধারা গোপালগঞ্জ শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে ৭-০ গোলে হেরেও এখনো প্রিমিয়ার ঠিকে থাকার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে। এই দুই দলের এ রকম ফলাফলে মাঠের বাইরে থেকে হাফ ছেড়ে বেঁচেছে। ২১ ম্যাচে স্বাধীনতা সংঘের ১০, উত্তরা বারিধারার ১৪ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পয়েন্ট ১৫। এই রাউন্ডে জিতলেই তারা অবনমন এড়াত পারবে। আর এক ম্যাচ কম খেলে রহমতগঞ্জের পয়েন্ট ১৮।
পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা স্বাধীনতা সংঘের অবনমন এড়াতে হলে জয়ের বিকল্প ছিল না। প্রথম লিগে শেখ জামালের কাছে ৩-১ গোলে হার মানা ক্লাবটি সবাইকে চমকে দিয়ে ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল। ২৬ মিনিটে ইকবাল ও ৪৯ মিনিটে জিল্লুর গোল করেন। কিন্তু এই লিড তারা পরে আর ধরে রাখতে পারেনি। ৭০ মিনিটে ওটাবেকের গোলে শেখ জামাল ব্যবধান কমানোর পর যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে সিজোকের গোলে স্বাধীনতা সংঘের সর্বনাশ ডেকে আনে। ড্র করে শেখ জামাল ২১ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলেল চারে আছে।
এদিকে গোপালগঞ্জ শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে গফুরভ ও অপির জোড়া গোলের সঙ্গে এমফোন উদোহ, রহিম উদ্দিন ও আবিদ আহমেদের একটি করে গোলের সুবাদে সাইফ স্পোর্টিং ৭-০ গোলে পরাজিত করে উত্তরা বারিধারাকে। এই জয়ে ২১ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে নিজেদের অবস্থানকে আরো সুসংহত করেছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।
এমপি/