ড্র ম্যাচে তৌহিদ হৃদয়ের ডাবল সেঞ্চুরি
চট্গ্রামে বিসিবির দুইটি দল উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের ম্যাচে শুরু থেকেই ছিল ব্যাটসম্যানদের দাপট। সেই দাপটে ম্যাচের গতিপথ নির্ধারিত হয়েছিল ড্র। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। তবে এই ড্রয়ের মাঝেও প্রাপ্তি ছিল দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয়ের ডাবল সেঞ্চুরি। ২১৩ রান করে তিনি আউট হন। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।
প্রথম ম্যাচে উত্তরাঞ্চল হেরেছিল মধ্যাঞ্চলের কাছে। আর দক্ষিণাঞ্চল জয়ী হয়েছিল পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে। এই ম্যাট ড্র হওয়াতে চার দলের আসরের ফাইনাল নিশ্চিত হয়নি কোনো দলের। শেষ রাউন্ডে হবে ফয়সালা। ২৬ ডিসেম্বর বক্সিং ডিতে চার দল মাঠে নামবে। ওয়াটন মধ্যঞ্চল খেলবে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে। অপর ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল ও বিসিবি উত্তরাঞ্চল।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য তৌহিদ হৃদয় আগের দিন ১৫৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন। এটি ছিল তার প্রথম শ্রেণির ম্যাচে প্রথম সেঞ্চুরি। সেই প্রথম সেঞ্চুরিকে তিনি পরে ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপ দেন। ৩৭৪ বলে ১৫ চার ও ৩ ছক্কায় ডাবল সেঞ্চরি পূর্ণ করেন তিনি। এরপর আর বেশি দূর ইনিংসকে টেনে নিয়ে যেতে পারেননি। ২১৭ রানে থেমে যায় তার ইনিংস। সানজামুলের বলে মার্শাল আইয়ুবের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ২৮৭ বল খেলে ১৬ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস।
৩ উইকেটে ৩৫০ রান নিয়ে খেলতে নেমে ৪৯৯ রানে অলআউট হয় দক্ষিণাঞ্চল। সানজামুল ও শরিফউল্লাহ ৪টি করে উইকেট নেন। নিয়ম রক্ষার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে উত্তরাঞ্চল ১ উইকেট হারিয়ে ৬২ রান করে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ওপেনার তানজিদ হাসান সাকিবকে আউট করে একমাত্র উইকেট নেন প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া নাসুম আহমেদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বিসিবি উত্তরাঞ্চল বনাম বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল:
উত্তরাঞ্চল: ৩৮৫ ও ৬২/১ ওভার ২৬( তানজিদ হাসান ৩৪, পারভেজ হোসেন ইমন ১৭*, জুনায়েদ সিদ্দিক ৮*, নাসুম আহমেদ ১/১০)
দক্ষিণাঞ্চল: ৪৯৯/১০ (আগের দিনের ৩৫০/৩) ওভার ১৭৫.৫ (তৌহিদ হৃদয় ২১৩, অমিত হাসান ১৩১, নাহিদুল ৪১এনামুল ৩৫, জাকির ২২, শরিফউল্লাহ ৪/১৫৬, সানজামুল ইসলাম ৪/১৬৭)।
এমপি/এসআইএইচ