বিপিএলে থাকছে না উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
করোনার কারণে গতবার বিপিএল হয়নি। এবারের আসর শুরু হবে নতুন বছরের জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ। বিপিএলের অন্যতম আকষর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এবারে থাকছে না সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিপিএলের গর্ভনিং কাউন্সিলের সভা শেষে সদস্য সচিব ডা. ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘আজ অনেক বোর্ড পরিচালক ছিলেন, সভাপতি ছিলেন। এখন যে পরিস্থিতি, তাতে একটু কঠিন। একদম না বলে দিচ্ছি না। তবে না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’
আজকের এই সভায় বিপিএল আয়োজন নিয়ে সব ধরনের জটিলতার অবসান হয়েছে। নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ করোনায় আক্রন্ত হলে কোয়ারেন্টিন সময় বেড়ে যায়। দলের আর কেউ আক্রান্ত হলে এই সময় আরো বাড়তে পারে। এতে করে সিরিজের ম্যাচগুলোও পিছিয়ে যাবার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এর প্রভাব পড়ত গিয়ে বিপিএলেও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলের সবার করোনা রেজাল্ট নেগেটিভ আসলে আগের র্সূচি অনুযায়ী সিরিজের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। ফলে বিপিএলও শুরু হবে যথা সময়ে। তাই ভেন্যু কিংবা দলও কমছে না।
এ নিয়ে ডা. ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘বিপিএল নিয়ে এবার একটু অনিশ্চয়তা ছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে নিউজিল্যান্ডে দল খেলতে পারবে কি না, করোনা ফলাফল কী হবে?এসব বিবেচনা করতে হয়েছে। আমাদের সব প্রস্তুতি ছিল। এখন পর্যন্ত ৬টি দল প্রায় চুড়ান্ত। এই দলগুলোকে আমরা কিছু শর্ত দিয়েছি, যেমন-টাকা জমা দেওয়া, পার্টিসিপেশন মানি জমা দেওয়া। আজ-কালকের মধ্যে যারা দিয়ে দিবে তাদের আমরা গ্রহণ করে নিব। না হলে আমাদের আরো ২-৩টি আগ্রহী ফ্রাঞ্চাইজির সঙ্গে কথা বলা আছে, মানে ব্যাকআপ আছে আমাদের। এই ছয়টির মধ্যে ঢাকা, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা আছে। এই ছয়টি দলকে নিয়ে আয়োজন করার ব্যাপারে ঠিক করেছি।’
প্লেয়ার্স ড্রাফটের জন্য দুইটি তারিখ চুড়ান্ত করা হয়েছে। ডিসেম্বরের ২৭ তারিখ না হলে জানুয়ারির ৩-৫ তারিখ। ড্রাফটের বাইরে একজন দেশি ও তিনজন বিদেশি ক্রিকেটার নেওয়া যাবে।
এবার কোনো আইকন খেলোয়াড় রাখা হয়নি। এ সংক্রান্ত নিউজ ঢাকা প্রকাশে আগেই প্রকাশিত হয়েছে। ড্রাফটের বাইরে যারা চুক্তি করবে তারা যেকোনো দামে খেলতে পারবে। ড্রাফটে দেশি ক্রিকেটারদের জন্য ৭০, ৩৫, ২৫, ১৮, ১২ লাখ টাকা করে রাখা হয়েছে। বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য সর্বোচ্চ ৭০ হাজার ডলার। এরপর ৫০ হাজার, ৩০ হাজার, ২৫ হাজার, ২০ হাজার রাখা হয়েছে।
খেলা হবে তিন ভেন্যু ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্য বিশ্রামের সুযোগ রাখা হয়েছে। নিউজিল্যান্ড থেকে ১৪ বা ১৫ তারিখ দল আসার কথা। ৪-৫ দিন খেলোয়াড়রা বিশ্রাম পাবে। তবে চাইলে তারা ২/৪ টা ম্যাচ বিশ্রামও নিতে পারবে। প্রাইজমানি চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য ১ কোটি টাকা, রানার্সআপ দলের জন্য ৫০ লাখ টাকা রাখা হয়েছে।
২০ জানুয়ারি থেকে শুরু করে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার ইচ্ছা বিপিএলের গর্ভনিং কমিটির। প্রাইজমানি নিয়েও কথা হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য ১ কোটি টাকা ও রানার-আপ দলের জন্য ৫০ লাখ টাকা।
এমপি/এসআইএইচ