কোচদের কোচ সিডন্স
জিমি সিডন্স এক সময় বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িদ্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের ভুমিকায় আছেন। সেই সিডন্সকে এবার দেখা যাচ্ছে নতুন ভূমিকায়। তিনি দেশি কোচদের কোচের ভূমিকায় অবতীর্ন হয়েছেনে। সেই কাজ শুরুও করে দিয়েছেন।
সোমবার (৩০ মে) তিনি সেই সব কোচদের ব্যাটিং নিয়ে তালিম দিয়েছেন। আগের দিন এই সব কোচদের ক্লাস নিয়েছিলেন জাতীয় দলের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ।
জাতীয় দলের কোচদের এভাবে আগে কখনো কাজ করতে দেখা যায়নি। তারা সব সময় জাতীয় দল নিয়েই কাজ করেছেন। এর বাইরে তারা জাতীয় দলের খেলা না থাকলে অলস সময় কাটাতেন বা ছুটিতে চলে যেতেন নিজ দেশে। বিসিবি এবার সেই সব কোচদের জাতীয় দলের বাইরে কাজে লাগানো শুরু করেছে দেশি কোচদের নিয়ে।
সিডন্সের ক্লাসে আছেন আফতাব আহমেদ, ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স, তুষার ইমরান, নাজমুল হোসেন, ডলার মাহমুদ, সৈয়দ রাসেলরা। এদের কেউ কেউ এক সময় জাতীয় দলের অপরিহার্য সদস্য ছিলেন।সময়ের পরিক্রমায় খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর কোচিংয়ে জড়িয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ সাফল্যও পাচ্ছেন। সবাই ইতিমধ্যে লেবেলে-১ কোচিং কোর্স সম্পন্ন করে লেবেলে-২ কোর্স সম্পন্ন করছেন। সেখানেই হাজির হয়েছেন হেরাথের পর সিডন্স।
জাতীয় দলের কোচদের আগে এভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি সময়-সুযোগ না হওয়াতে। এবার সেই সুযোগ হওয়াতে তার সদ্বব্যবহার করা হচ্ছে। এ নিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, ‘এটা আগেই পরিকল্পনা ছিল। হেরাথ ওয়েস্ট ইন্ডিজে যেতে পারছে না তার একটা ব্যক্তিগত কাজের জন্য। ওকে অস্ট্রেলিয়া যেতে হবে। সেখানে থাকতে হবে। ইমিগ্রেশনের একটা ব্যাপার আছে।’
উইন্ডিজ যেতে পারছে না বলে সে বাংলাদেশে কিছু সময় দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করাতে বিসিবি তাকে এভাবে কাজে লাগিয়েছে জানিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেতে পারছে না বলে বলে এখানে কিছু দিন সময় দিব। এই সময়টা আমরা কাজে লাগাতে চাচ্ছিলাম। খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে স্পিন ক্যাম্পের ব্যবস্থা করেছি।’
জিমি সিডন্সকে কাজে লাগানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সিডন্সও এভেলএবল ছিল। ও এখান থেকে সরাসরি ইংল্যান্ড হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবে। আগেই পরিকল্পনা ছিল তাদের দিয়ে কাজ করানোর জন্য।’
এভাবে দেশি কোচদের নিয়ে কোচিং কোর্স করানোর ফলে তারা অনেক উপকৃত হবেন জানিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, ‘উপকার তো অবশ্যই হবে। সবচেয়ে বড় সমস্যা এমন প্রোগ্রামের শিডিউল বের করা। জাতীয় দলের একটার পর একটা সিরিজ আছে। সময় বের করা খুব কঠিন। আমরা তো চাই যারা আছে কোচরা তারা স্থানীয় খেলোয়াড়-কোচদের নিয়ে কাজ করুক। সময় বের করা কঠিন হয়ে যায়।’
কোচ সিডন্সও এভাবে দেশি কোচদের কোচিং ক্লাস করাতে পেরে খুবই খুশি। তার খুশির হওয়ার আরেকটি কারণ ছিল ক্লাসে অনেক ছাত্রই যে তার আগের শিষ্য। তিনি তার এই খুষির প্রতিক্রিয়া জনিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘ডলার, আফতাব, নাজমুল, রাসেল, তুষারের মত আমার অনেক সাবেক খেলোয়াড়দের কোচিংয়ে পেয়ে ভালো লাগছে। দেখে ভালো লাগছে তারা এখনো দেশের ক্রিকেটে অবদান রাখছে।’
এমপি/এমএমএ/