সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গুজরাট যেন আইপিএলের ভিনি ভিডি ভিসি

গুজরাটের আইপিএল জয়কে ‘ভিনি, ভিডি, ভিসি’ বলা যায়। এলাম, দেখলাম, জয় করলাম। আইপিএলের নামী-দামি তারকা সমৃদ্ধ দলগুলোর ভিড়ে গুজরাটের আইপিএলের শিরোপা জয়তো আক্ষরিক অর্থে ভিনি, ভিডি, ভিসিই।

বিশ্ব ক্রিকেটের রঙ্গমঞ্জে কুড়ি ওভারের ক্রিকেট যেন সুন্দরী যুবতী। সবাই দেখার জন্য যেন হুমড়ি খেয়ে পড়ে। সেই কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে মায়াবী আকর্ষণ তৈরি করেছে আইপিএল। এ যেন সুন্দরী যুবতীকে মেকআপ দিয়ে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলা। আইপিএলের মোহনীয় আকর্ষণ এতোই বেশি যে এর স্বাদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে চান না কোনো ক্রিকেটার। আইপিএল শুরু হলে বিশ্ব ক্রিকেট অনেকটা থমকে যায়। অনেক ক্রিকেটারই জাতীয় দল ছেড়ে আইপিএলের মায়াজালে জড়িয়ে পড়েন। সবাই অপেক্ষায় থাকেন আইপিএলের ঘণ্টা বাজবে কখন, খেলব কোন দলে। সঙ্গে ব্যাংক অ্যাকাউন্টও ফুলে ফেঁপে উঠা।

দিন যতই যাচ্ছে, আইপিএলের কদর ততই বাড়ছে। আইপিএলের রুপের পসরার শেষ নেই। এবার সেই রুপে আরও বেশি লাবণ্যতা আনতে আট দলের জায়গায় বাড়িয়ে ১০ দল করা হয়। নতুন দুই দল ছিল গুজরাট টাইটানস ও লৌক্ষনাউ সুপার জায়ান্টস। আগে থেকেই সেখানে আছে কোহালির ব্যাঙ্গালুরু, ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস, রোহিত শর্মার মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, ভুবেনেশ্বর কুমারের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, শেখর ধাওয়ানের পাঞ্জাব কিংস, অশ্বিনের রাজস্থান রয়্যালস, রিশাভ পন্থের দিল্লি ক্যাপিটালস, অজিঙ্কা রায়ানের কলকাতা নাইট রাইডার্স। এখানে এক একটি দল যেমন ব্যাপক জনপ্রিয়, তেমনি দলের ক্রিকেটারও। দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের মিলন মেলায় তারকাদের ভিড়। এরই মধ্যে প্রথমবার খেলতে এসেই গুজরাটের চমক। সবাইকে টেক্কা দিয়ে চ্যাম্পিয়ন।

গুজরাট যে শুধু প্রথমবার খেলতে এসেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তা কিন্তু নয়, দলের ক্রিকেটারদের দিকে দৃষ্টি ফেরালেও অবাক হওয়ার মতো! কারণ তারকা ক্রিকেটার বলতে যা বুঝায় তা ছিল না দলটিতে। দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সেরা ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তার হাতেই ন্যস্ত করা হয়েছিল নেতৃত্বের ভার। দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে গুজরাট যে দল গড়েছিল তার মধ্যে একমাত্র এই হার্দিক পান্ডিয়া ছাড়া আর কেউই ভারতীয় জাতীয় দলে নিয়মিত নন। সবচেয়ে মজার বিষয় ছিল ফাইনালে খেলা দেশি সাতজনের মধ্যে হার্দিক পান্ডিয়া ছাড়া শুধুমাত্র পেসার মোহাম্মদ সামির জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা আছে। বাকি পাঁচজনের দুই জন জাতীয় দলে খেললেও কখনই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেননি। অপর তিনজন জাতীয় দলে খেলার সুযোগই পাননি।

মোহাম্মদ সামি ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে নিয়মিত নন। শুভমান গিল, ঋদ্ধিমান সাহা এই দুইজনতো জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের স্বাদই নিতে পারেননি। এদের বাইরে ফাইনালে খেলা দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে রাহুল তিওয়াতিয়া, ইয়াস দিওয়াল, রবিশ্রীনিবাসন সাই কিশোর জাতীয় দলের হয়ে কোনো ফরম্যাটেই খেলার সুযোগ পাননি। এর বাইরে দেশি ক্রিকেটার যারা ছিলেন তাদের নাম না বলাই উত্তম। কারণ তাদের সে রকম কোনো পরিচিতি নেই। এই সব ক্রিকেটারদের মধ্যে শুধু বরুন আরুনই জাতীয় দলের হয়ে ৯টি করে টেস্ট ও ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। তবে গুজরাটের বিদেশি কালেকশন বেশ ভালো ছিল। অবশ্য সবাই নন। টি-টোয়েন্টির আদর্শ ক্রিকেটার বলতে যা বুঝায় সেই হিসেবে সবার থেকে এগিয়ে ছিলেন আফগানিস্তানের রশিদ খান ও দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার। এরা গুজরাটের হয়ে সবকটিই ম্যাচই খেলেছেন। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু ওয়েড ১০টি ও নিউ জিল্যান্ডের লুকি ফার্গুসন ১৩টি ম্যাচ খেলেছেন। এই এগারজন মিলে গুজরটের হয়ে আইপিএল জয় করেন।

গুজরাটের বিদেশি চারজনের বাইরে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে উইন্ডিজের আলজারি জোসেফ ৯টি ম্যাচ খেলেছেন। বাকি যাদের নেওয়া হয়েছিল তাদের একটি ম্যাচও খেলানো হয়নি। তারা ছিলেন আফগানিস্তানের রহমতউল্লাহ গুরবাজ ও নুর আহমেদ, উইন্ডিজরে ডমিনিক ডারকেস।

গুজরাট আসর শুরু করেছিল আরেক নতুন দল লৌক্ষনউকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে। টানা তিন ম্যাচ জেতার পর সানরাইজার্সের কাছে হেরেছিল প্রথম। এরপর আবার টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে। যেখানে আবার সানরাইজার্সকে হারিয়ে প্রতিশোধও নিয়েছিল। তাদের দ্বিতীয় হার ছিল পাঞ্চাব কিংসের কাছে। পরের ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের কাছেও হেরে যায়। যেখানে তারা প্রথম মোকাবিলাতে আবার জয়ী হয়েছিল। এরপর তারা লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে হেরেছিল ব্যাঙ্গালুরুর কাছে।

গুজরাটের চার হারের মধ্যে দুইটি ছিল পরপর। যে কারণে তারা আসরের শুরু থেকেই পয়েন্ট টেবিলেরর্ শীর্ষে থেকে সবার আগে কোয়ালিফায়ার রাউন্ডে খেলা নিশ্চিত করে। ১৪ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ছিল ২০। প্রথম কোয়ালিফায়ারে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল রাজস্থান রয়্যালস। ছয় উইকেটে ১৮৮ রান করেও রাজস্থান রয়্যালস জিততে পারেনি। গুজরাট ফাইনালের মতো করেই ম্যাচ জিতেছিল সাত উইকেটে। ফাইনালসহ রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গে এবারের আসরে চারবারের মোকাবিলাতে চারবারই তারা জয়ী হয়েছে।

গুজরাটের শিরোপার তরী নিয়ে সফলতার সঙ্গে তীরে ভেড়াতে ব্যাট হাতে সামনে থেকে ভূমিকা রেখেছেন হার্দিক পান্ডিয়া (৪৮৭), ডেভিড মিলার (৪৮১), শুভমান গিল (৪৮৩)। বল হাতে এ কাজটি আবার করে দেখিয়েছেন মোহাম্মদ সামি (২০), রশিদ খান (১৯), লুকি ফার্গুসন (১২), অশ্বিন (১২), ইয়াস দিয়াল (১১)।

গুজরাটের তিন ব্যাটসম্যানই সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের তালিকায় আছেন যথাক্রমে চার,পাঁচ ও ছয়ে। সবার উপরে ৮৬৩ রান করে আছেন ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ রাজস্থানের ইংলিশ ব্যাটসম্যান জস বাটলার। তিনি হয়েছেন আসরের সেরাও। এরপর আছেন লৌক্ষনাউ সুপার জায়ান্টসের দুই ব্যাটসম্যান লুকেশ রাহুল ( ৬১৬) ও ডি কক (৫০৮)। বল হাতে আবার সামি-রশিদ খানের সম্মিলিত তালিকায় একটু পেছনেই আছেন। সামির অবস্থান সাতে। রশিদ খান আছেন নয়ে। ফার্গুসন ২৯, অশ্বিন ৩০ ও দিয়াল ৩১তম স্থানে আছেন।

এমপি/আরএ/

Header Ad

নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান

সাধারণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভিন্ন মতকে শত্রুতা বা নির্লজ্জ দলাদলিতে পরিণত করলে কী পরিণতি হতে পারে তা দেশবাসী দেখেছে। আওয়ামী লীগ আর স্বাধীনতা একসঙ্গে যায় না। এরইমধ্যে নানান ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। পতিত স্বৈরাচাররা দেশ ও দেশের বাহিরে থেকে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত জনগণের রায়ই চূড়ান্ত।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, আওয়ামীলীগ আর গণতন্ত্র একে অপরের শত্রু। আমাদের চলমান গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে এই মুহূর্তে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গিয়েছে। বিতাড়িত অপশক্তি আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না।

তিনি বলেন, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। সাগর-রুনির বিচারের বিষয়ে রাষ্ট্র উদাসীন থাকবে না- এমন ব্যবস্থা চাই। এছাড়া স্বৈরাচার আমলে যে সাংবাদিকরা চাকরি হারিয়েছেন, তাদের চাকরিতে ফেরত নিতে কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি দাবি করেন, বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী ঘরছাড়া। হাজারো হতাহত ছাত্রজনতার ত্যাগের মাধ্যমে ঐক্য গড়ে উঠেছে। শহীদদের ঋণ পরিশোধ করা আমাদের দায়িত্ব। পলাতক মাফিয়াদের পুনর্বাসন ঠেকাতে জনগণের ইচ্ছা তাদের বিচার প্রয়োজন। বিএনপি মনে করে, সংস্কার কার্যক্রমের পাশাপাশি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন। শুধু নির্বাচনের জন্যই আন্দোলন হয়নি। তবে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন অবশ্যই দরকার।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এমন হওয়া প্রয়োজন যে ইউনিয়ন থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত ভোট ছাড়া কেউ প্রতিনিধি হতে পারবেন না। ক্ষমতাসীনকে জনগণের কাছে যতটা দায়বদ্ধ রাখা যাবে রাষ্ট্র ততই শক্তিশালী হবে। সেজন্য সংসদ প্রয়োজন। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে বৈষম্যহীন অধিকার প্রয়োগের সুযোগ থাকতে হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে সরকার, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে আমরা মনে করি।

‘সংস্কার কাজ নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির বিরোধ নেই। সংস্কার আগে না, নির্বচন আগে এ কথা বলে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে অন্যজন চলমান রাখবে’, যোগ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ইকবাল সেবহান চৌধুরী মনে হয় সেদিন পুলিশ ডেকে এনে মহাসচিবকে প্রেস ক্লাব থেকে গ্রেফতার করিয়েছিলেন। প্রেস ক্লাবের ভেতরে ফ্যাসিবাদের থাবা ছিল। শ্যামল দত্তরা আন্দোলনের সময় টকশোতে বলেছেন ছাত্ররা ভুল আন্দোলন করছেন।

তিনি বলেন, টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কারণ সব টাকা যাবে শেখ পরিবারের কাছে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, দ্রুততম সময়ে জনগণের দাবি নিষ্পত্তি করবেন-এটা আমাদের দাবি। আরেকটি কঠিন পথ আমাদের পাড়ি দিতে হবে।

Header Ad

হামলার পেছনে ইউসিবি গ্রুপ

মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ

অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীদের হামলায় ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) প্রায় ৭০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফকালে তিনি এ দাবি করেন।

অধ্যক্ষ নয়ন বলেন, শিক্ষার্থীদের হামলায় আমাদের ১২তলা ভবনের কোনো কাঁচ আর অক্ষত নেই। ৫টি লিফট, কম্পিউটার ও সায়েন্স ল্যাব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হামলাকারী শিক্ষার্থীরা নগদ টাকা, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, সার্টিফিকেট, ৩ শতাধিক ফ্যান, প্রায় ৩০টির মতো ল্যাপটপ, অসংখ্য কম্পিউটারসহ মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস লুট করেছে। এতে করে প্রায় ৭০ কোটির মতো ক্ষতি হয়েছে।

এ সময় তিনি ঘটনার জন্য ন্যাশনাল মেডিকেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে বলে দাবি করেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইউসিবি নামের একটি গ্রুপ থেকে হামলার উসকানি ও ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ নয়ন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এমন করতে পারে আমরা ভাবিনি। আমাদের সব ধ্বংস করে দিয়েছে। দ্বন্দ্ব-সংঘাত থেকে ফেরাতে শিক্ষার্থীদের কলেজমুখী করার বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে কুচক্রী মহল কাজ করছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশ অন্যদিকে চলে যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা আমরা চাই না।

হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ভূমিকা রাখেনি বলেও অভিযোগ করেন ডিএমআরসি অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, সকাল থেকেই পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু হামলার সময় তারা দূরে থেকে পরিস্থিতি দেখেছেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

ঘটনাস্থলে থাকা ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ওয়ারী বিভাগ) মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ছাত্ররা দেশের ভবিষ্যৎ। আমরা চাই না দেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এভাবে আক্রান্ত হোক। কলেজ ভার্সাস কলেজ প্রতিযোগিতা হোক, মারপিট হোক এটা কিন্তু আমরা কখনো চাই না। আমি সব কলেজের গভর্নিং বডি এবং অভিভাবককে বলব, আপনাদের সন্তানকে বাসায় রাখুন। এটা আলোচনার মধ্যে সমাধান হবে। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি, এই জাতীয় সমস্যা যাতে ভবিষ্যতে না হয় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিকেল চারটায় তাদের সঙ্গে বসেছি। আমরা চেষ্টা করছি আলাপ-আলোচনার মধ্যে যেন সমাধান হয় সে প্রচেষ্টা আমরা রাখব। সর্বশক্তি দিয়ে আমরা এটা অব্যাহত রাখব। বর্তমানে আমাদের সঙ্গে র‍্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আছেন। সবার প্রচেষ্টায় এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

Header Ad

ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। ছবি: সংগৃহীত

সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।

সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ও রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ৮ দফা দাবি নিয়ে কয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। মো. ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এ মামলা দায়ের হয়। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা হলেন- রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাশ।

মামলার আসামিরা হলেন- ইসকনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পুণ্ডরীক ধাম মন্দিরের অধ্যক্ষ চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী (৩৮), চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্ত (৩৪), নগরীর প্রবর্তক ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলা রাজ দাশ ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ টিপু(৩৮), ডা. কথক দাশ (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ (৩৮), রাজীব দাশ (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী (৪০), নিউটন দে ববি (৩৮), তুষার চক্রবর্তী রাজীব (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ (২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮) এবং হৃদয় দাস (২৫)। একই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি চিন্ময় প্রভু নামে পরিচিত। এছাড়া তিনি পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ
ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার
সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত
সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড জয় ভারতের
বদলগাছীতে বাসের ধাক্কায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত, আহত ২
মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি পেলেন রিশাদ
শাকিব খানের সঙ্গে আইটেম গানে নুসরাত
রাজধানীর মোল্লা কলেজে হামলা-ভাঙচুর, শিক্ষার্থীদের দখলে সড়ক
ওয়ানডে সিরিজেও অনিশ্চিত মুশফিক
জানুয়ারিতে আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল
বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা
বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর
কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার
ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার
পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ