আইপিএলে অভিষেকেই গুজরাটের বাজিমাত!
অভিষেক আইপিএলেই গুজরাটের বাজিমাত! আসরে প্রথম খেলতে নামা গুজরাট টাইটান্স ৭ উইকেটে জয় পেয়ে প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছে। ফাইনালে গুজরাটের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে আহামরি কিছু করতে পারেনি রাজস্থান রয়্যালস।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিল লক্ষাধিক রেকর্ড সংখ্যক দর্শক। যেমনটা বিশ্বকাপ বা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হলেই চোখে পড়ে। তবে বলা হচ্ছে- এবারের আইপিএল ফাইনাল নাকি আগের সব কিছুকেই পেছনে ফেলেছে। টস জেতা রাজস্থান প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি মোটেই। ৯ উইকেটে ১৩০ রান করতে পেরেছে মাত্র। জবাবে ১৮.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্য টপকে গেছে গুজরাট।
মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লের মধ্যে ম্যাথিউ ওয়েড ও রিদ্ধিমান সাহাকে হারালেও, ছন্দ হারায়নি টাইটানস। শুভমান গিল, হার্ডিক পান্ডিয়া ও দেভিড মিলারের ব্যাটে সহজে জয় ছিনিয়ে নেয় তারা।
গিল ৪৫ ও মিলার ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন আর ইউজবেন্দ্র চাহালের বলে আউট হওয়ার আগে পান্ডিয়ার ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান।
আইপিএলের গ্রুপ পর্বে ১৪ ম্যাচের মধ্যে ১০টি জিতে সেরা দল হিসেবে নক আউট পর্ব খেলতে আসে গুজরাট। সেই ধারা অব্যাহত রেখে টুর্নামেন্ট সেরার খেতাবটিও জিতে নিল তারা।
এর আগে, আইপিএলের ফাইনাল শুরু হয় জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। রোববার রাত ৮টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সমাপনী অনুষ্ঠানের কারণে দেরিতে শুরু হয় ম্যাচটি। অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন অস্কার বিজয়ী শিল্পী এ আর রহমানসহ অনেকেই।
গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি রাজস্থান।
২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রানে শেষ হয় রাজস্থানের ইনিংস। ম্যাচের শুরুতে ইয়াশসভি জেইসওয়াল ও জস বাটলার মিলে ৩১ রানের জুটি গড়েন। এরপর ব্যাট হাতে তেমন কোন সুবিধা করতে পারেনি আইপিএলের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
১৬ বলে ২২ রান করে আউট হন জেইসওয়াল। অধিনায়ক স্যামসন করেন ১৪ রান। ১৫ রান করেন রায়ান পরাগ। ১১ রান করেন শিমরন হেটমায়ার এবং ট্রেন্ট বোল্ট। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা বাটলার আউট হন ৩৯ রানে, তাকে ফেরান হার্দিক পান্ডিয়া। তার আউটে বড় ধাক্কা খায় রাজস্থান।
অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া বোলিং তোপে নাকাল হয় রাজস্থান। ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে উইকেট নেন ৩টি। ২টি উইকেট নেন রভিশ্রিনিভাসান কিশোর। একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি, ইয়াশ দায়াল এবং রাশিদ খান। রাশিদ খান ১ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে দেন ১৮ রান।
এমএসপি