বিসিবি সভাপতির অপেক্ষায় আকরাম খান
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান। বাংলাদেশ ক্রিকেটের নতুন যুগের সূচনার নায়ক। আইসিসি ট্রফি জয় এসেছিল তারই নেতৃত্বে। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে আছেন বিসিবির সাথে জড়িয়ে। দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে নিজের মেধা আর প্রজ্ঞা দিয়ে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন সেই ২০১৪ সাল থেকে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন তার ওপর অর্পন করেছেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেট অপেরেশন্স কমিটির দায়িত্ব। ৮ বছর পালন করেছেন এই দায়িত্ব।
সর্বশেষ বিসিবির নির্বাচনের পর বিসিবি সভাপতি এখনো নতুন স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন না করলেও আগের দায়িত্ব হিসেবে এই দায়িত্ব পালন করে আসছেন আকরাম খান। যেহেতু এই দায়িত্ব নতুন করে বন্টন করা হয়নি, তাই আকরাম খান নতুন করে আর এই দায়িত্ব পালন করতে চান না বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। তার এই সিদ্ধান্ত পারিবারিক। এখন বাস্তবায়নের জন্য বিসিবি সভাপতির সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছেন তিনি।
আকরাম খান বলেন, ‘আমরা পারিবারিকভাবে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার ব্যাপারে। যেহেতু গত ৮ বছর ক্রিকেট অপারেশন্সের দায়িত্বে ছিলাম। গত ৮ বছরে আমাদের মাননীয় বোর্ড সভাপতি, যিনি আমার অভিভাবক, তার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা পেয়েছি। যত খারাপ বা ভালো সময় গিয়েছে সবসময় তিনি আমার সাথে ছিলেন। উনার সাথে আলাপ করে কালকের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিব।’
বিসিবি সভাপতির সঙ্গে কথা না বলে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আর কোনো কিছু বলতে সম্মত হয়নি। তিনি বলেন, ‘বোর্ড সভাপতির সাথে কথা বলার আগে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে আপনাদের কিছু বলতে পারব না। আপনারা এখানে এসেছেন, আপনাদের এটাই বলার আছে।’
উল্লেখ্য, আকরাম খানের এই সিদ্ধান্তের খবর প্রথম প্রকাশ হয় তার স্ত্রী সাবিনা আকরামের ফেসবুক পেজে। এই সংবাদ পাওয়ার পর সাংবাদিকরা তার বাসায় গিয়ে হাজির হলে তিনি এ কথা বলেন।
বিসিবি সভাপতিকে আকরাম খান তার সিদ্ধান্তের কথা জানাতে ফোন দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি রিসিভ না করাতে আর জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, আমি ৩টার দিকে একবার কল করেছি। উনি সাড়া দেননি। হয়তো যেকোনো সময় কল ব্যাক করবেন। কল ব্যাক করলে আমি আলোচনা করে নিব। কালকে বোর্ডে উনার সাথে দেখা হবেই। হ্যাঁ, পারিবারিক কারণেই। অনেক বছর ধরে এখানে ছিলাম। এখানে মানসিক-শারীরিক স্ট্রেন্থের দরকার আছে। সবকিছু মিলিয়েই একটু ব্রেক চাচ্ছি।’
এমপি/এসআইএইচ