সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সাকিব-লিটনের প্রতিরোধের পরও বাংলাদেশের ১০ উইকেটে হার

দিনটি শুরু হয়েছিল ভয়ে। চোখের সামনে হারের শঙ্কা। সেটা হতে পারে আবার ইনিংস ব্যবধানেও। তা থেকে রক্ষা পাওয়া খুবই কঠিন। দিতে হবে ২২ গজে উত্তাল সাগর পাড়ি। থাকতে হবে টিকে। পার করতে হবে সময়। নিতে হবে লিড। সে ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কাকে আবারো ব্যাট করতে নামতে হবে। সময় থাকলে তখন তারা জয়ের চেষ্টা করবে। কিন্তু সরল অংকের যোগফল মেলানোর মতোই কঠিন এই সমীকরন। কিন্তু যোগফল মেলাতে হলে ধাপে ধাপে এগুতে হবে। বাংলাদেশও এই প্রক্রিয়া অনুসরন করে এগুচ্ছিল কক্ষপথেই। কান্ডারি হয়ে উঠেছিলেন লিটন ও সাকিব। ষষ্ট উইকেট জুটিতে তাদের ১০৩ রান ভয় আর আতঙ্কের প্রথম শেসন পার করে দেয় শুধুই মুশফিকের উইকেট হারিয়ে। কিন্তু তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি। দ্বিতীয় শেসনে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে। ৭.৪ ওভারে মাত্র ১৩ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় ১৬৯ রানে। লিড পায় মাত্র ২৮ রানের। সেই রান লঙ্কানরা আবার অতিক্রম করে উল্লাকার গতিতে তিন ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে। সেই সঙ্গে জিতে নেয় সিরিজও। চট্টগ্রামে দুই দলের প্রথম টেস্ট ড্র হয়েছিল।

তিন কাঠির খেলা অনিশ্চয়তার। যে কোনো সময় বাক বদল হতে পারে। পাল্টে দিতে পারে ম্যাচের চিত্রনাট্য। চতুর্থ দিন শেষেই এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের হার। কারণ তখন বাংলাদেশের রান ছিল চার উইকেটে ৩৪। তখনো প্রথম ইনিংস এগাতে হলে দরকার ১০৭ রানের। ক্রিজে মুশফিক লিটন এবং ড্রেসিং রুমে সাকিব-মোসাদ্দেক-তাইজুলরা থাকাতে নিভু নিভু করে আশার প্রদীপ জ্বলার সম্ভাবনা ছিল। সেই সম্ভাবনাই জাগিয়ে তুরেছিলেন লিটন ও সাকিব দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে। কিন্তু তাদের বিচ্ছেদের পর বাংলাদেশের শিবিরেও নেমে আসে বিষাদের সূর। যে সুরে আর কেউ মূর্চ্ছনা তৈরি করতে পারেননি। কারণ ১৩ রানে পড়ে পাঁচ উইকেট।

বাংলাদেশের জন্য ভয়ের কারণ ছিল দিনের প্রথম সেশন। কারণ অতীতে এ রকম অনেক বাজে অভিজ্ঞতা আছে। আবার দিনের শুরুতে পেসাররাও বেশ ফায়দা পেয়ে থাকেন। আগের দিন প্রেস কনফারেন্সে সাকিবও এই রকম আশঙ্কার কথা বলেছিলেন। সেই আতঙ্ক আর ভয় বাংলাদেশ প্রথম সেশনে টিকই কাটিয়ে দিয়েছিল শুধু মুশফিকুর রহিমের উইকেট হারিয়ে। মুশফিক আগের দিনের ১৪ রানের সঙ্গে ৯ রান যোগ করে ২৩ রানে ফিরে যাওয়ার পর লিটনের সঙ্গে জুটি বেঁধে সাকিব ৮ রানের লিড নিয়ে পার করে দেন প্রথম সেশনের বাকি সময়। দুই জনে মিলে ২৫.৩ ওভার খেলে যোগ করেছেন ৯৬ রান। বাংলাদেশের রান পাঁচ উইকেটে ১৪৯। সাকিব ক্যারিয়ারের ২৭তম হাফ সেঞ্চুরি করে ৫২ ও ১৩তম হাফ সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা লিটন ৪৮ রানে অপরাজিত। আড়াই ঘন্টার প্রথম সেশনে বাংলাদেশ ৩৩ ওভার খেলে যোগ করেছে এক উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান।



এ রকম প্রথম সেশন পার করার পর আশা প্রদীপ আবার ধীরে ধীরে জ্বলে উঠতে থাকে। দুই জনে যেভাবে খেলছিলেন তাতে করে ম্যাচ বাঁচানোর একটা সম্ভাবনা জেগে উঠে। লিড যত বাড়বে লঙ্কানদের জয়ের সম্ভবানা ততই কমে আসতে থাকবে। চা বিরতি পার করে দিতে পারলে লিড বেড়ে তিন অংকের ঘরে চলে যাবে। এ রকম কল্পনা তখন প্রায় সবার অন্তরেই। আবার অনেকেই এ রকম বদ্ধমূল ধারনা নিয়ে জুম্মার নামাজও পড়তে যান। কিন্তু তিন কাঠির খেলা ক্রিকেট বলে মুহুর্তেই তার রূপ বদলে ফেলে। চা বিরতির পর খেলা শুরু হতে না হতেই বাংলাদেশের ইনিংসে মড়ক লাগে। এমনই মড়ক যে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠা সাকিব-লিটনসহ পরে আর কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। জুম্মার নামাজ পড়ে এসে অনেকেই দেখেন বাংলাদেশের ইনিংস ১৬৯ রানে শেষ। লঙ্কানদের সামনে জয়ের টার্গেট মাত্র ২৯ রানের।

বাংলাদেশকে এমন নাভিশ্বাস্য করে তুলেন পেসার আশিথা ফার্নান্ডো। লাঞ্চ বিরতির পর প্রথম ওভারেই লিটন দাস ১৩০বলে ক্যারিয়ারের ১৩তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। এই শেসনে এটিই ছিল একমাত্র সাম্ভাবনা। এরপর শুরু হয় আশিথা ফার্নান্ডোর গোলা। যে গোলা ছিল প্রথম শেসনে কাসুন রাজিথার। প্রথম শেসনে তিনি মাত্র এক উইকেট পেলেও ব্যাটসম্যানদের কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। এর এই শেসনে উইকেট পাওয়ার নেয়াশ মেতে উঠেন আশিথা। প্রথম ওভারেই ৫২ রানে ফিরিয়ে দেন লিটনকে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ধরে। সাত রান পরে ৫৮ রানে সাকিবকে শিকার করেন উইকেটের পেছনে ডিকভেলা ক্যাচ ধরলে। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ২২ বলে ৯ রানে রমেশ মেন্ডিসের শিকার হয়ে হতাশা বাড়ান। এরপর দলীয় একই রানে পরপর দুই বলে আশিথা প্রথমে তাইজুল ও পরে খালেদকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করেন ৫১ রানে ছয় উইকেট নিয়ে।
এমপি/এএজেড

Header Ad

নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান

সাধারণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভিন্ন মতকে শত্রুতা বা নির্লজ্জ দলাদলিতে পরিণত করলে কী পরিণতি হতে পারে তা দেশবাসী দেখেছে। আওয়ামী লীগ আর স্বাধীনতা একসঙ্গে যায় না। এরইমধ্যে নানান ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। পতিত স্বৈরাচাররা দেশ ও দেশের বাহিরে থেকে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত জনগণের রায়ই চূড়ান্ত।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, আওয়ামীলীগ আর গণতন্ত্র একে অপরের শত্রু। আমাদের চলমান গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে এই মুহূর্তে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গিয়েছে। বিতাড়িত অপশক্তি আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না।

তিনি বলেন, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। সাগর-রুনির বিচারের বিষয়ে রাষ্ট্র উদাসীন থাকবে না- এমন ব্যবস্থা চাই। এছাড়া স্বৈরাচার আমলে যে সাংবাদিকরা চাকরি হারিয়েছেন, তাদের চাকরিতে ফেরত নিতে কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি দাবি করেন, বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী ঘরছাড়া। হাজারো হতাহত ছাত্রজনতার ত্যাগের মাধ্যমে ঐক্য গড়ে উঠেছে। শহীদদের ঋণ পরিশোধ করা আমাদের দায়িত্ব। পলাতক মাফিয়াদের পুনর্বাসন ঠেকাতে জনগণের ইচ্ছা তাদের বিচার প্রয়োজন। বিএনপি মনে করে, সংস্কার কার্যক্রমের পাশাপাশি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন। শুধু নির্বাচনের জন্যই আন্দোলন হয়নি। তবে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন অবশ্যই দরকার।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এমন হওয়া প্রয়োজন যে ইউনিয়ন থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত ভোট ছাড়া কেউ প্রতিনিধি হতে পারবেন না। ক্ষমতাসীনকে জনগণের কাছে যতটা দায়বদ্ধ রাখা যাবে রাষ্ট্র ততই শক্তিশালী হবে। সেজন্য সংসদ প্রয়োজন। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে বৈষম্যহীন অধিকার প্রয়োগের সুযোগ থাকতে হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে সরকার, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে আমরা মনে করি।

‘সংস্কার কাজ নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির বিরোধ নেই। সংস্কার আগে না, নির্বচন আগে এ কথা বলে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে অন্যজন চলমান রাখবে’, যোগ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ইকবাল সেবহান চৌধুরী মনে হয় সেদিন পুলিশ ডেকে এনে মহাসচিবকে প্রেস ক্লাব থেকে গ্রেফতার করিয়েছিলেন। প্রেস ক্লাবের ভেতরে ফ্যাসিবাদের থাবা ছিল। শ্যামল দত্তরা আন্দোলনের সময় টকশোতে বলেছেন ছাত্ররা ভুল আন্দোলন করছেন।

তিনি বলেন, টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কারণ সব টাকা যাবে শেখ পরিবারের কাছে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, দ্রুততম সময়ে জনগণের দাবি নিষ্পত্তি করবেন-এটা আমাদের দাবি। আরেকটি কঠিন পথ আমাদের পাড়ি দিতে হবে।

Header Ad

হামলার পেছনে ইউসিবি গ্রুপ

মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ

অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীদের হামলায় ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) প্রায় ৭০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফকালে তিনি এ দাবি করেন।

অধ্যক্ষ নয়ন বলেন, শিক্ষার্থীদের হামলায় আমাদের ১২তলা ভবনের কোনো কাঁচ আর অক্ষত নেই। ৫টি লিফট, কম্পিউটার ও সায়েন্স ল্যাব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হামলাকারী শিক্ষার্থীরা নগদ টাকা, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, সার্টিফিকেট, ৩ শতাধিক ফ্যান, প্রায় ৩০টির মতো ল্যাপটপ, অসংখ্য কম্পিউটারসহ মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস লুট করেছে। এতে করে প্রায় ৭০ কোটির মতো ক্ষতি হয়েছে।

এ সময় তিনি ঘটনার জন্য ন্যাশনাল মেডিকেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে বলে দাবি করেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইউসিবি নামের একটি গ্রুপ থেকে হামলার উসকানি ও ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ নয়ন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এমন করতে পারে আমরা ভাবিনি। আমাদের সব ধ্বংস করে দিয়েছে। দ্বন্দ্ব-সংঘাত থেকে ফেরাতে শিক্ষার্থীদের কলেজমুখী করার বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে কুচক্রী মহল কাজ করছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশ অন্যদিকে চলে যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা আমরা চাই না।

হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ভূমিকা রাখেনি বলেও অভিযোগ করেন ডিএমআরসি অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, সকাল থেকেই পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু হামলার সময় তারা দূরে থেকে পরিস্থিতি দেখেছেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

ঘটনাস্থলে থাকা ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ওয়ারী বিভাগ) মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ছাত্ররা দেশের ভবিষ্যৎ। আমরা চাই না দেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এভাবে আক্রান্ত হোক। কলেজ ভার্সাস কলেজ প্রতিযোগিতা হোক, মারপিট হোক এটা কিন্তু আমরা কখনো চাই না। আমি সব কলেজের গভর্নিং বডি এবং অভিভাবককে বলব, আপনাদের সন্তানকে বাসায় রাখুন। এটা আলোচনার মধ্যে সমাধান হবে। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি, এই জাতীয় সমস্যা যাতে ভবিষ্যতে না হয় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিকেল চারটায় তাদের সঙ্গে বসেছি। আমরা চেষ্টা করছি আলাপ-আলোচনার মধ্যে যেন সমাধান হয় সে প্রচেষ্টা আমরা রাখব। সর্বশক্তি দিয়ে আমরা এটা অব্যাহত রাখব। বর্তমানে আমাদের সঙ্গে র‍্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আছেন। সবার প্রচেষ্টায় এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

Header Ad

ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। ছবি: সংগৃহীত

সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।

সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ও রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ৮ দফা দাবি নিয়ে কয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। মো. ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এ মামলা দায়ের হয়। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা হলেন- রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাশ।

মামলার আসামিরা হলেন- ইসকনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পুণ্ডরীক ধাম মন্দিরের অধ্যক্ষ চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী (৩৮), চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্ত (৩৪), নগরীর প্রবর্তক ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলা রাজ দাশ ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ টিপু(৩৮), ডা. কথক দাশ (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ (৩৮), রাজীব দাশ (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী (৪০), নিউটন দে ববি (৩৮), তুষার চক্রবর্তী রাজীব (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ (২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮) এবং হৃদয় দাস (২৫)। একই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি চিন্ময় প্রভু নামে পরিচিত। এছাড়া তিনি পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ
ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার
সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত
সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড জয় ভারতের
বদলগাছীতে বাসের ধাক্কায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত, আহত ২
মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি পেলেন রিশাদ
শাকিব খানের সঙ্গে আইটেম গানে নুসরাত
রাজধানীর মোল্লা কলেজে হামলা-ভাঙচুর, শিক্ষার্থীদের দখলে সড়ক
ওয়ানডে সিরিজেও অনিশ্চিত মুশফিক
জানুয়ারিতে আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল
বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা
বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর
কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার
ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার
পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ