খেলা শুরু চারটায়
দুপুর ১২টার দিকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টা পর থেমে যায়। কিন্তু থামলে কী হবে। আম্পায়ারদের পক্ষে খেলা শুরু করতে যথেষ্ট সময় নিতে হয়েছে। তিন দফা পর্যবেক্ষনের পর তারা বেলা চারটা বাজে খেলা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বৃষ্টির কারণে খেলা হয়নি ১৭৯ মিনিট। এই সময় আবার লাঞ্চের ৪০ ও চা বিরতির ২০ মিনিটের বাইরে। খেলার সময় বাড়িয়ে ছয়টা পর্যন্ত করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ মে) খেলা হবে ৩৭ ওভার। তবে তা ছয়টা পর্যন্ত যত ওভার করা সম্ভব হয়। এই সময় পুষিয়ে নিয়ে চতুর্থ ও পঞ্চম দিনের খেলা আধঘন্টা আগে সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হবে।
এর আগে, লাঞ্চ বিরতির আগের ওভারের প্রথম বলের পর বৃষ্টি আসলেও আকাশে শেঘের ঘনঘটা আরও আগে থেকেই ছিল। কিন্তু পাঁচ বলের জন্য আম্পায়াররা আর প্রথম শেসনের খেলা পুরোটা শেষ করতে পারেননি। লাঞ্চ বিরতির পর দ্বিতীয় সেশনের খেলা আর শুরু করা সম্ভব হয়নি। কারণ, তখনো বৃষ্টি হচ্ছিল। যে কারণে বৃষ্টিতে দ্বিতীয় সেশনের খেলা পুরোটাই ভেসে যায়।
বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর আম্পায়াররা প্রথমে মাঠ পর্যবেক্ষণ করেন দুইটা ১০ মিনিটে। এরপর দ্বিতীয়বার পর্যবেক্ষণ করেন তিনটা ১০ মিনিটে। কিন্তু আম্পায়াররা খেলা শুরু করার মতো পরিস্থিতি না হওয়াতে তৃতীয় দফা পর্যবেক্ষণ করেন সাড়ে তিনটায়। এবার পর্যবেক্ষণ করে দুই আম্পায়ার উইলসন ও শরফউদৌল্লাহ সন্তুষ্ট হয়ে বিকেল চারটায় খেলা শুরুর সিন্ধন্ত নেন। দিনের খেলা নিয়ে যাওয়া হয় ছয়টা পর্যন্ত। কিছুটা অন্ধকার থাকাতে লাইট জ্বালানো হয়েছে।
খেলা বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল চার উইকেটে ২১০ রান। বাংলাদেশের চেয়ে তারা এখনো পিছিয়ে আছে ১৫৫ রানে। ম্যাথিউস ২৫ ও ধনাঞ্জায়া ২৬ রানে অপরাজিত। দুই উইকেটে ১৪৩ রান নিয়ে খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক করোনারত্নে (৮০) ও নাইটওয়াচম্যান কাসুন রাজিথার (০) উইকে হারিয়ে যোগ করে ৬৭ রান। রাজিথাকে এবাদত ও করোনারত্নে কে সাকিব আউট করেন। সাকিব ও এবাদত দুইটি করে উইকেট নেন। আগের দিন এই দুই জনই একটি করে উইকেট নিয়েছিলেন।
এমপি/এমএমএ/