প্রথম সেশনে বাংলাদেশের শুরুর চাপ সামাল দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা
দিনের দ্বিতীয় বলেই কাসুন রাজিথা ও প্রথম ঘণ্টার আগে অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেকে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ দল বেশ ভালোভাবেই চেপে ধরেছিল শ্রীলঙ্কাকে। কিন্তু ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও চট্টগ্রাম টেস্টে মাত্র এক রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি বঞ্চিত অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের প্রতিরোধে বাংলাদেশের সেই চাপ কিছুটা আলগা হয়ে আসে। নিজেদের ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় আছে শ্রীলঙ্কা।
লঙ্কানরা লাঞ্চ বিরতিতে গেছে চার উইকেট হারিয়ে ২১০ রান করে। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে তারা অবশ্য খুব বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি। শুরুর ধাক্কা সামলে ২৪.১ ওভার দুই উইকেট হারিয়ে ৬৭ রান করে। ধনাঞ্জয়া ২৬ ও ম্যাথিউস ২৫ রানে অপরাজিত আছেন। লাঞ্চের আগে শেষ ওভারের প্রথম বলের পর বৃষ্টি শুরু হলে আম্পায়ারা তখনই লাঞ্চ বিরতি দিয়ে দেন।
কঠিন সংগ্রামের পর বাংলাদেশ ৩৬৫ রান করলেও শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের সে রকম কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয়নি। অনেকটা অনায়েসেই তারা রান সংগ্রহ করে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল দুই উইকেটে ১৪৩ রানে। যেভাবে তারা রান সংগ্রহ করছিল তাতে করে বাংলাদেশের সংগ্রহও টপকে যাওয়া তাদের জন্য অসম্ভব কিছু হবে না। যে কারণে বাংলাদেশের জন্য অত্যাবশাকীয় হয়ে উঠে তাদের সে সুযোগ না দেওয়া।
দিনের শুরুতেই ইনিংসে আঘাত হানা। চাপ সৃষ্টি করা। দ্বিতীয় দিন খেলা শেষে সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস জানিয়েছিলেন সকালের দিকে তাদের দুই-একটি উইকেট নেওয়া। সে কাজটি বাংলাদেশের বোলাররা বেশ ভালোভাবেই করে দেখিয়েছেন। প্রথম ঘণ্টায়ই তারা তুলে নেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান কাসুন রাজিথা ও অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেকে। একপ্রান্ত থেকে এবাদত আক্রমণ শুরু করলেও অপরপ্রান্ত থেকে সাকিবকে দিয়ে শুরু করান মুমিনুল। এর ফলও পান তিনি
দিনের দ্বিতীয় বলেই এবাদত আগের দিনের নাইটওয়াচম্যান কাসুন রাজিথাকে বোল্ড করেন কোনো রান না করার সুযোগ দিয়েই। অপরদিকে টানা বোলিং করতে থাকা সাকিব সাফল্যের মুখ দেখেন নিজের পঞ্চম ওভারে। ১৫৫ বলে নয় চারে ৮০ রানে অপরাজিত থাকা অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেকে তিনি বোল্ড করেন। আগের দিন তিনবার তিনি জীবন পেয়েছিলেন।
প্রথম ঘণ্টায় দুই উইকেট তুলে নেওয়ায় ম্যাচে তখন বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে। চাপে লঙ্কানরা। ক্রিজে ম্যাথিউস ১১ রানে অপরাজিত। তার সঙ্গে যোগ দেন নতুন ব্যাটসম্যান ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। এই দুইজন দলের বিপর্যয় কাটাতে সওয়ারি হন। বাংলাদেশের বোলারদের লক্ষ্য তাকে আবারো আঘাত হানা। কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি। সাকিব টানা ৮ ওভার বল করেন প্রথম স্পেলে। মাত্র ১৯ রান দিয়ে উইকেট নেন সেই একটিই। পরবর্তীতে খালেদ-তাইজুল বল হাতে তুলে নিয়েও দলকে আর কোনো সাফল্য এনে দিতে পারেননি। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ম্যাথিউস ও ধনাঞ্জয়া ১৩.১ ওভারে যোগ করেছেন ৪৬ রান।
এমপি/এসজি/