৩৬৫ রানে থামল বাংলাদেশ, মুশফিক অপরাজিত ১৭৫
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে অলআউট করতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা। ২৪ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের ইনিংস গিয়ে থেমেছে ৩৬৫ রানে। শেষ ব্যাটসম্যান এবাদত রান আউট হলে যবনিকা ঘটে বাংলাদেশের ইনিংসের। তখন মাথা উঁচু করা ১৭৫ রানে অপরাজিত মুশফিকুর রহিম।
লাঞ্চের এক মিনিট আগে বাংলাদেশের নবম উইকেটের পতন হলে আধা ঘণ্টা সময় বাড়ানো হয়েছিল শেষ উইকেটের পতনের লক্ষে। এবাদতকে নিয়ে মুশফিক এই সময় পার করে দেন। কিন্তু লাঞ্চের পর আরও বেশি সময় টিকতে পারেননি। মাত্র ৩.২ ওভার খেলে পাঁচ রান যোগ হওয়ার পরই এবাদত রান আউট হয়ে যান। লাঞ্চের আগেও তিনি একবার রান আউটের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন উইকেট কিপার ডিকাভেলা বল ধরতে না পারলে। পরে সেই রান আউটই হলেন। রাজিথার বলে কঠিন দুই রান নিতে গিয়ে এবাদত আর পৌঁছাতে পারেননি। ইনিংসে ষষ্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি শূন্য রানে আউট হন। এবাদত এভাবে রান আউট হওয়াতে ড্রেসিং রুমে ফেরার পথে ১৭৫ রানে অপরাজিত থাকার পরও মুশফিককে হতাশ হতে দেখা যায়। কারণ তার সামনে ছিল চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা। তার এই ইনিংসের পর আছে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংস। এই তিনটি ইনিংস হলো- অপরাজিত ২১৯, অপরাজিত ২০৩ ও ২০০। প্রথম দুইটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, অপরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি ছিল তার প্রথম।
প্রথম দিন টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর ২৪ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দল যখন অকুল ধরিয়াতে ভাসছিল তখনই সেখানে মাঝি হয়ে হাজির হন মুশফিক ও লিটন। দুইজনে ষষ্ট উইকেট জুটিতে রেকর্ড গড়া ২৭২ রান করে বাংলাদেশের জন্য ত্রাতা হয়ে উঠেন। প্রথম দিনে আর কোনো উইকেট পড়তে দেননি তারা। লিটন আউট হন আজ সকালে প্রথম সেশনে ক্যারিয়ারের সেরা ১৪১ রান করে। পরে তাইজুলকে নিয়ে মুশফিক ৪৯ রান যোগ করলে বাংলাদেশের ইনিংস ৩০০ রান ছাড়িয়ে সাড়ে তিনশ অতিক্রম করে ৩৬৫ রানে গিয়ে থামে। তাইজুল আউট হয়েছিলেন ১৫ রানে। মুশফিক, লিটন ও তাইজুল ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অংকের রান করতে পারেননি। মুমিনুল ৯ ও নাজমুল ৮ রান করেন। ছয়জন ব্যাটসম্যান আউট হন শূন্য রানে। তারা হলেন-দুই ওপেনার মাহমুদুল, তামিম, সাকিব, মোসাদ্দেক, খালেদ ও এবাদত। শ্রীলঙ্কার হয়ে কাসুন রাজিথা ৫৪ রানে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট নেন। আশিতা ফার্নান্ডো চার উইকেট নেন ৯৩ রানে।
এসআইএইচ