মাঠে থাকলে হার্ট অ্যাটাক করতেন পাপন
আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলের বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনের খেলার প্রথম সেশন বা পুরো সেশন দেখার কথা। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে যাওয়ার কথা সিলেটে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আইসিসি চেয়ারম্যানের সৌজন্য সাক্ষাৎ সে সময় হওয়াতে তিনি আর সরাসরি মাঠে আসেননি।
বিসিবি সভাপতি তাকে নিয়ে চলে যান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। তারা যখন ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে ব্যস্ত, মিরপুরে তখন বাংলাদেশ দলের উপর দিয়ে বহে যাচ্ছে কাল বৈশাখি ঝড়। ৬.৫ ওভারে ২৪ রানে নেই পাঁচ উইকেট। এ সময় বিসিবি সভাপতি মাঠে থাকলে তিনি হার্ট অ্যাটাক করতেন বলে জানান।
সোমবার (২৩ মে) মিরপুরে প্রথম দিনের খেলা শেষে আইসিসি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলনে শেষে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘৫ উইকেট পড়ার সময় আমি ছিলাম না। থাকলে হয়তো হার্ট অ্যাটাক করতাম। তখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলাম। উনি বললেন কী অবস্থা খেলার, আমি বললাম ‘ আপা আমি এখনো দেখিনি, গিয়ে দেখতে চাই।’
লিটন-মুশফিক জুটি যখন পিচে জমে যান তখন বিসিবি সভাপতি আসেন মিরপুরে। তিনি থাকা অবস্থায় কোনো উইকেটতো পড়েনি, এমনকি পরে আইসিসি চেয়ারম্যানকে নিয়ে হেলিক্পটারে সিলেট গিয়ে ঘুরে আবার মিরপুরে আসার পরও পেয়েছেন লিটন-মুশপিক জুটিকে। এর মাঝে হেলিকপ্টারে থাকা অবস্থায়, এমনকি সিলেট গিযেও ম্যাচের আপডেটচ জেনেছেন।
হেলিকপ্টারে করে সিলেট যাওয়ার পথে ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুইটি ম্যাসেজ পাওয়ার কথা উল্লেখ করে বিসিবি সভাপতি বলেন,‘আমি নিশ্চিত বার্কলে চমকে গেছে একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেট এতটা ভালোবাসেন। এমনকি যখন আমরা হেলিকপ্টারে ছিলাম।
লিটন যেই মুহূর্তে সেঞ্চুরি করলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে বার্তা পাঠিয়েছেন, লিটনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমি তো দেখতে দেখতে ভয় পাচ্ছিলাম। কারণ আগেরবার লিটন অল্পের জন্য মিস করেছে। তাই দেখতে ভয় পাচ্ছিলাম। এরপর আপার দ্বিতীয় বার্তা দেখলাম, মুশফিককে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এরপরও তিনি অনেক বার্তা পাঠিয়েছেন। তো দেখেন, এটা বার্কলের জন্যও একটা অভিজ্ঞতা। আমরা ক্রিকেট ভালোবাসি এবং আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই।’
এমপি/এমএমএ/