মিরপুর মানেই ফলাফল
ফাইল ছবি
টেস্ট ক্রিকেটে ২২ বছরের পথ চলায় বাংলাদেশের সাফল্য রেখা নিম্নগামী। ১৩১ টেস্ট খেলে জয় পেয়েছে ১৬টিতে। এর মাঝে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামেই জয়ী হয়েছে ছয়টিতে। ছয় জয়ের দুইটি আবার কালজয়ী। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়। বাকি চার জয়ের তিনটি জিম্বাবুয়ে ও একটি উইন্ডিজের বিপক্ষে। ভেন্যু হিসেবে মিরপুরেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি জয়। এই অর্থে মিরপুর বাংলাদেশের জন্য লাকি গ্রাউন্ডই বলা যায়। কিন্তু এখানে আবার বাংলাদেশের হারের পাল্লাও বেশ ভারী। ২৩ টেস্ট খেলে হেরেছে ১৩টিতে। কিন্তু মিরপুর বাংলাদেশের জন্য জয়ের পাল্লা বেশি না কম সেটা মূখ্য বিষয় নয়।
মূল বিষয় হলো এখানে খেলা ২৩টি ম্যাচের মাছে ১৯টিতেই জয়-পরাজয় নিষ্পত্তি হয়েছে। বাকি চার ম্যাচের তিনটি হয়েছে ড্র। দুইটি নিউ জিল্যান্ড একটি দক্সিণ আফ্রিকার সঙ্গে। একটি টেস্ট বাতিল হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার আগামীকাল এখানে শুরু হবে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। আবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন টেস্ট খেলে সব কটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। প্রতিটি হারেই ছিল আবার বেশ বড় ব্যবধানে যথাক্রমে ১০৭ রান (২০০৮), ইনিংস ও ২৪৮ রান (২০১৪) এবং ২১৫ রান( ২০১৮)। তাই মিরপুর মানেই ফলাফল। বাংলাদেশের অধিনায়ক মুমিনুল হক পরিসংখ্যানের আলোকে এভাবেই দেখছেন। কিন্তু এবার তিনি নিজেদের জয়ের সম্ভাবনা বেশি দেখছেন।
রবিবার (২২ মে) তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আপনি মিরপুরে খেলুন বা দেশের বাইরে, সুযোগ তো সব সময়ই থাকে। সুযোগটা কীভাবে দেখছেন এটা হল সবচেয়ে বড় জিনিস। কন্ডিশন বা সব কিছুর কথা চিন্তা করলে এটা একটা ভালো সুযোগ। সর্বোচ্চ সুযোগ না, তবে এটাও একটা সুযোগ। সুযোগ সবসময় থাকে, এটাও আমাদের জন্য আরেকটা সুযোগ সিরিজ জেতার। মিরপুরে ফলাফল ছাড়া ম্যাচ খুব কমই হয়। শেষ কবে ফলাফল আসেনি বলা কঠিন। সবসময় ফলাফল আসে। বোলিং খুব ইম্পরট্যান্ট, সঙ্গে ব্যাটিংও। অবশ্যই আমরা প্ল্যানিং করি, কোন জিনিস নিয়ে কাজ করলে জেতার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
তিনি বলেন, ‘সবসময় তো এক রকম থাকতে চাই না। আমার কাছে মনে হয় আমাদের জন্য ভালো একটা সুযোগ। চট্টগ্রাম টেস্টের কথা চিন্তা না করে এখন আমাদের নতুন করে চিন্তা করতে হবে। আশা করি ঢাকা টেস্টেও যেন দলগতভাবে খেলতে পারি। তাহলে ফলাফল আমাদের পক্ষে আসবে।’
এমপি/এমএমএ/