উইন্ডিজ সফরে মোস্তাফিজে টেস্ট খেলার অবস্থান জানা যাবে রবিবার
বৈশাখ মাস চলে গেছে। এবার খুব একটা কাল বৈশাখি ঝড় হয়নি। কিন্তু না হলে কী হবে? বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের উপর দিয়ে ঠিকই কাল বৈশাখি ঝড় বহে যাচ্ছে। এই ঝড়ের নাম ইনজুরি ঝড়। শুরুটা সেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে। যা বহমান শ্রীলঙ্কা সিরিজেও। এমন কি তা অব্যাহত থাকবে আগামী মাসে উইন্ডিজ সফরেও।
বাংলাদেশ দলের উপর দিয়ে যে ইনজুরি নামক কাল বৈশাখি ঝড় বয়ে যাচ্ছে, তা শুধু বোলিং বিভাগের উপর দিয়ে। তা যেমন পেস বোলারদের ক্ষেত্রে, তেমনি স্পিনারদের ক্ষেত্রেও। ইনুজরির মিছিল এতোই ভয়াবহ যে পরিপুরক নিতে সংকটে পড়েছেন নির্বাচকরা। বিকল্প যে নেই-ই। চট্টগ্রাম টেস্টে সর্বশেষ ইনজুরিতে পড়া অফ স্পিনার নাঈম হাসানের বিকল্প খোঁজে পাননি নির্বাচকরা। যে কারণে তার কোনো বিকল্প নেয়া হয়নি।
এদিকে একই সংকটে পেস বিভাগও। তাসকিনতো সেই দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকেই ইনুজরিতে। সঙ্গি হয়েছিলেন আরেক পেসার শরিফুলও। পরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট খেললেও শেষ করতে পারেননি। আবারো পড়েন ইনজুরিতে। ফলে তিনিও ছিটকে গেছেন। এই দুই জনের বিকল্প পেসার দলে থাকলেও তাদের মানের নেই। যে কারণে নির্বাচকরা দ্বারস্থ হয়েছেন মোস্তাফিজকে ফিরে পেতে।
নির্বাচকরা চেয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজেই মোস্তাফিজকে পেতে। কিন্তু আইপিএলে পুরো সময়ের অনাপত্তি পত্র নিয়ে খেলতে যাওয়ার কারণে এখানে বিসিবির হাত-পা বাঁধা ছিল। তাই তাকে আর শ্রীলঙ্কা সিরিজে ডাকা হয়নি। শরিফুল ও এবাদত সুস্থ হয়ে উঠাতেও তাকে ডাকার প্রয়োজন মনে করেননি নির্বাচকার। কিন্তু বিদ্যমান পরিস্থিতিতে উইন্ডিজে সফরে তাকে আবার পেতে চাচ্ছেন নির্বাচকরা। এর মাঝে অবশ্য আইপিএলও শেষ হয়ে যাবে। তাই বিসিবির পক্ষ থেকে মোস্তাফিজকে চিঠি দিয়ে টেস্ট খেলার বিষয়ে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে উইন্ডিজ সফরে টেস্ট খেলার জন্য মানসিক প্রস্তুতিও নিয়ে রাখতে বলা হয়ছে।
আজ মিরপুরে সংবাদ মাধ্যমকে বিসিবির ক্রিকেট অপারশেনস কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরা বলেছি তাকে খেলতে। মুস্তাফিজ তো চাচ্ছিলো না খেলতে। আমরা বলেছি কারণ দেখেন আমাদের দুইটা ফ্রন্ট লাইন বোলার নেই। আমরা মনে করি মুস্তাফিজের সেবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এখানে। তার সমর্থনটা অনেক দরকার। আমরা তাকে জানিয়েছি। সে নির্বাচকদের সাথে যোগাযোগ করেছে। কালকে দল দিলে আপনারা জানতে পারবেন।
মোস্তাফিজ দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে দলের সঙ্গে দেশে না ফিরে আইপিএল খেলতে সরাসরি ভারত চলে যান। সেখানে তিনি আছেন প্রায় দুই মাস হতে চলেছে। তার আগে তিনি দলের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা ছিলেন আরো প্রায় এক মাসের মতো। সব মিলিয়ে প্রায় তিন মাস। অনেক লম্বা সময় দেশের বাইরে। আছেন খেলার মাঝে। মোস্তাফিজ টেস্ট না খেলার পেছনে আপতত এটাকে (তার ভাষায় আইপিএলে খেলার সময়টা) এটাকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জালাল ইউনুস বলেন, ‘তার যুক্তি হল সে ওখানে (আইপিএলে) আছে দুই মাস ধরে। বলছে তার লম্বা একটা সময় চলে যাচ্ছে। এখানে তার সময় নিয়ে নিচ্ছে বেশি। ফিজিক্যালি সে হয়তো বলতে পারে ফিট না। আমরা বলেছি তুমি আসো, দেখা যাক কি করা যায়। সে হয়তো খেলতেও পারে। আসুক কালকের মধ্যে। আজকে হয়তো নির্বাচকদের সাথে তার কথা হবে। আর এর ফল হয়তো আপনারা কালকে জেনে যাবেন।
এমপি/এএজেড